কয়েকদিন ধরে অনৈতিক ভিডিও টি রিমা আক্তার ও মেরিনা রানী ফেসবুক আইডি সহ বিভিন্ন ফেসবুক আইডি, হটসএপ, ম্যাসেঞ্জার ও ইমোর মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা জুড়ে কথিত সাংবাদিক রুহুল আমিন মুন্সী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ণী এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে দাবি উঠেছে রুহুল মুন্সী এবং তার পরিবারের সদস্যদের সমাজ থেকে বয়কট করার।
এবিষয়ে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছামাদ মুন্সী সাংবাদিকদের জানান, রুহুল আমিনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার কারণে এলাকাবাসী বিব্রত। আমাদের বর্ণী গ্ৰামের একটা ঐতিহ্য আছে, রুহুল আমিনের কারণে এটি ধ্বংস হচ্ছে। এর একটা বিহিত করার উদ্দেশ্যে আগামী শুক্রবার গ্ৰামের মুরব্বিদের নিয়ে সালিশ বৈঠক হবে।
রুহুল আমিন মুন্সী গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের বর্ণী দক্ষিণ পাড়া গ্ৰামের মৃত হায়দার মুন্সীর ছেলে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে নিজেকে প্রেসক্লাব টুঙ্গিপাড়ার সহ-সভাপতি দাবি করে পরিচয় দিয়ে আসছেন। এছাড়াও সে একজন কুরআনে হাফেজ এবং নুরানী কিন্ডারগার্টেন এর পরিচালক। সে প্রকাশ্যে এখন পর্যন্ত ২টি বিবাহ করেছে। তার দুই স্ত্রীর ঘরে ৪টি সন্তান রয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কথিত সাংবাদিক রুহুল ও তার সাথে একই কক্ষে থাকা সুন্দরী এক নারীকে পূর্ণ নগ্ন করে বিভিন্ন কৌশলে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় রুহুল আমিন এবং ঐ নারী নিজেরাই নিজেদের ভিডিও ইচ্ছাকৃতভাবে ধারন করেছে।
কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সূত্র ধরে বর্ণী ইউনিয়নের স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কথিত সাংবাদিক রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে টাকার বিনিময়ে সুন্দরী নারীদের এনে তার নিজের পরিচালনাধীন নুরানী কিন্ডারগার্টেন ও নিজ বাড়িতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। পাশাপাশি নিজের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ধারণ করে রেখে বিভিন্ন পয়সাওয়ালা পুরুষদের হটসএপ ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠিয়ে তাদের আকৃষ্ট করে আহ্বান জানান।
এবিষয়ে নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত দেওয়া রুহুল আমিন মুন্সী সাংবাদিকদের বলেন, ভিডিওর নারী আমার স্ত্রী ছিল। তবে ঐ নারী যে তার স্ত্রী ছিলেন সে বিষয়ের কোন ডকুমেন্টস দেখাতে পারেনি। রুহুল আমিন আরো বলেন, আমাদের সাথে বর্ণী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাদশার বিরুদ্ধে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর করা ধর্ষন মামলা থাকায় আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বর্ণী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাদশা জানান, রুহুল মুন্সী একজন দেহ ব্যবসার সরদার, সে তার নিজের ছোট ভাইয়ের চরিত্রহীন স্ত্রী কে দিয়ে আমার নামে ধর্ষণ মামলা দিয়ে আমার সম্মান হানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
প্রিন্ট