ঢাকা , শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মহাসড়ক দখলকরে আমের হাট; বানেশ্বরে তীব্র যানজট Logo বিএমডিএ চেয়ারম্যানের শূন্য পদ ঘিরে গুঞ্জন আলোচনায় এক বোর্ড সদস্য Logo নরসিংদীতে মেধা, যোগ্যতা, ঘুষ ছাড়া ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি দিল এসপি আব্দুল হান্নান Logo ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুঈনুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের পরিচালক Logo সিংড়ায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo গোমস্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহতসহ আহত এক Logo শালিখায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক ৩ Logo নিম্নচাপের প্রভাবে ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বরগুনার উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল Logo শালিখায় আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস ২০২৫ উদযাপন Logo হাতিয়ায় তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কর্মবিরতি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় কলেজ রাজনীতি কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ভাংচুর ও লুটপাট

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের শেষ সীমান্তে অবস্থিত নবকাম পল্লী কলেজ, গ্রাম্য পরিবেশে কলেজটি আজ সুনামের সাথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে।

যখনই এই প্রতিষ্ঠানটি সুমানের সাথে এগোচ্ছিলো, তখনই ছোয়া লাগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি। দীর্ঘদিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অত্র ইউনিয়েনের তিনবারের চেয়ারম্যান রব মোল্লা কলেজ টি কে নিজের আয়ত্তে রেখে চালাচ্ছিলো। হঠাৎ ২০২১ সালে রব মোল্লার আপন ভাই হক মোল্লার ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা কাইয়ুম মোল্লা কলেজটির দিকে নজর দেয়। আর তাতেই বাদে বিপত্তি কলেজের রাজনীতি কাইয়ুৃম মোল্লা তার দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

 

 

কলেজের রাজনীতি কাইয়ুমের দখলে নিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর নিজ দলীয় কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে হাতুড়ীপেটা করে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্র সই করিয়ে নেয়, এবং তাকে কলেজ থেক বের করে দেয়। এর কারনে রয়েছে অধ্যক্ষ কাইয়ুম মোল্লার কথা না শুনা। ঘটনার পরের দিন অধক্ষ ওবাইদুর রহমান নিজে বাদী হয়ে কাইয়ুম মোল্লা ও তার সসযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় পুলিশের তৎপরতা না থাকায় কাইয়ুম মোল্লা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাত আনুৃমানিক ৯ টার দিকে যদুনন্দী বাজারের আওয়ামীলীগ নেতা রব মোল্লা সমর্থীত কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

 

এই খবর রব মোল্লা দলের লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বাজারে এসে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয় দুদলের মধ্যে। পরবর্তীতে কাইয়ুম মোল্লার লোকজন পিছু হটে বাজার থেকে বেরিয়ে যায়। এই সুযোগ নেয় বর মোল্লার লোকজন তারা কাইয়ুম মোল্লার দলীয় প্রায় ১৪ টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর টহল টীম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ যেন লুটেররাজ্যে পরিনত হয়েছে। চোর পুলিশ খেলছে তারা পুলিশ সরে গেলে তারা একে অপরের সাথে বাকবিতন্ডে জড়াচ্ছে লুটপাট চালাচ্ছে। আবার পুলিশ ও ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হলে তারা আশপাশের বাগান বা জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে।

 

 

স্থানীয়রা বলছে তাদের চাচা ভাতিজার দোন্দলের শেষ কোথায়? এর ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ নিরহ মানুষ। নিরহ কিছু লোক হচ্ছে সর্বশান্ত , সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনেক পরিবারের নিরব কান্না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে কিছু কিছু পরিবার শুধু এই দুই চাচা ভাতিজার কোন্দলে।
সরেজমিনে গিয়ে পাওয়া যায়, পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল কে তিনি বলেন, চাচা – ভাতিজার এই কোন্দল দীর্ঘদিনের আমরা বার বার তাদের আইনের আওতায় এনেছি। জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় এসে আবার এরা জড়িয়ে পড়ে কোন্দলে। এবার আমরা আরো কঠোর অবস্থানে থেকে তাদের বিরুদ্ধে একশনে যাবো। এলাকা এখন শান্ত রয়েছে, এলাকা শান্ত রাখতে আমাদের পুলিশ মোতায়ন ও সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

মহাসড়ক দখলকরে আমের হাট; বানেশ্বরে তীব্র যানজট

error: Content is protected !!

সালথায় কলেজ রাজনীতি কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ভাংচুর ও লুটপাট

আপডেট টাইম : ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এফ. এম আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের শেষ সীমান্তে অবস্থিত নবকাম পল্লী কলেজ, গ্রাম্য পরিবেশে কলেজটি আজ সুনামের সাথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে।

যখনই এই প্রতিষ্ঠানটি সুমানের সাথে এগোচ্ছিলো, তখনই ছোয়া লাগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি। দীর্ঘদিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অত্র ইউনিয়েনের তিনবারের চেয়ারম্যান রব মোল্লা কলেজ টি কে নিজের আয়ত্তে রেখে চালাচ্ছিলো। হঠাৎ ২০২১ সালে রব মোল্লার আপন ভাই হক মোল্লার ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা কাইয়ুম মোল্লা কলেজটির দিকে নজর দেয়। আর তাতেই বাদে বিপত্তি কলেজের রাজনীতি কাইয়ুৃম মোল্লা তার দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

 

 

কলেজের রাজনীতি কাইয়ুমের দখলে নিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর নিজ দলীয় কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে হাতুড়ীপেটা করে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্র সই করিয়ে নেয়, এবং তাকে কলেজ থেক বের করে দেয়। এর কারনে রয়েছে অধ্যক্ষ কাইয়ুম মোল্লার কথা না শুনা। ঘটনার পরের দিন অধক্ষ ওবাইদুর রহমান নিজে বাদী হয়ে কাইয়ুম মোল্লা ও তার সসযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় পুলিশের তৎপরতা না থাকায় কাইয়ুম মোল্লা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাত আনুৃমানিক ৯ টার দিকে যদুনন্দী বাজারের আওয়ামীলীগ নেতা রব মোল্লা সমর্থীত কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

 

এই খবর রব মোল্লা দলের লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বাজারে এসে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয় দুদলের মধ্যে। পরবর্তীতে কাইয়ুম মোল্লার লোকজন পিছু হটে বাজার থেকে বেরিয়ে যায়। এই সুযোগ নেয় বর মোল্লার লোকজন তারা কাইয়ুম মোল্লার দলীয় প্রায় ১৪ টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর টহল টীম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ যেন লুটেররাজ্যে পরিনত হয়েছে। চোর পুলিশ খেলছে তারা পুলিশ সরে গেলে তারা একে অপরের সাথে বাকবিতন্ডে জড়াচ্ছে লুটপাট চালাচ্ছে। আবার পুলিশ ও ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হলে তারা আশপাশের বাগান বা জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে।

 

 

স্থানীয়রা বলছে তাদের চাচা ভাতিজার দোন্দলের শেষ কোথায়? এর ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ নিরহ মানুষ। নিরহ কিছু লোক হচ্ছে সর্বশান্ত , সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনেক পরিবারের নিরব কান্না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে কিছু কিছু পরিবার শুধু এই দুই চাচা ভাতিজার কোন্দলে।
সরেজমিনে গিয়ে পাওয়া যায়, পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল কে তিনি বলেন, চাচা – ভাতিজার এই কোন্দল দীর্ঘদিনের আমরা বার বার তাদের আইনের আওতায় এনেছি। জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় এসে আবার এরা জড়িয়ে পড়ে কোন্দলে। এবার আমরা আরো কঠোর অবস্থানে থেকে তাদের বিরুদ্ধে একশনে যাবো। এলাকা এখন শান্ত রয়েছে, এলাকা শান্ত রাখতে আমাদের পুলিশ মোতায়ন ও সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।


প্রিন্ট