কুষ্টিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও (মাহাবুব উল আলম হানিফের চাচাতো) ভাই আতাউর রহমান আতার বাসা বাড়ির কাজের মেয়ে সুখিলা খাতুন কে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সুখিলাকে হত্যা করে গুম করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে সুখিলার বাবা আব্দুর রশিদ কুষ্টিয়া সদর থানায় অভিযোগ করেন। তারই ভিত্তিতে অনলাইন গণমাধ্যম সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
আজ ৫ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় আঃলীগ নেতা আতার ভেড়ামারা ১৬ দাগ গ্রামের বাড়ি থেকে কাজের মেয়ে সুখিলা খাতুন কে তার বাবা আব্দুর রশিদ মাতা রোকসানা খাতুন এসে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অক্ষত অবস্থায় ভেড়ামারা থেকে কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যাই।
এ সময় সাংবাদিক সম্মেলনে কাজের মেয়ে সুখিলা খাতুন বলেন আমি আতা সাহেবের বাসা বাড়িতে কাজ করতাম। অনেক ভালো ছিলাম। তারা আমার উপর কোন রকম অত্যাচার করেনি। আমি ভালো আছি।
উল্লেখ্য, বাসাবাড়িতে কাজের কথা বলে তের বছরের এক কিশোরী মেয়ে সখিলা খাতুন কে গুম করার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ও তার স্ত্রী সাম্মীয়ারা পারভীনের বিরুদ্ধে। গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর থানায় সুখিলা খাতুনের পিতা আঃ রশিদ একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতার বাসা বাড়িতে সুখিলা খাতুন (১৩) কাজ করতো। সে কুষ্টিয়া সদরের জিকে ঘাট এলাকার মো. আঃ রশিদ ওরফে হৃদয়ের মেয়ে। তার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক দেড় বছর আগে সুখিলা নামের কিশোরীকে বিবাদীরা মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনে তাদের বাসায় বাচ্চাকে দেখভাল করার জন্য গৃহপরিচারিকা হিসেবে রাখেন। কিন্তু বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া মেয়েকে ঢাকার বাসায় নিয়ে যায়।
এরপর থেকে ২-৩ মাস ধরে ওই কিশোরীর কোনো খোঁজ নেই জানিয়ে মডেল থানায় আতাউর রহমান আতা ও তার স্ত্রী সাম্মীয়ারা পারভীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কিশোরীর পরিবার।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, আজ দুপুরে থানায় সুখিলা খাতুন কে নিয়ে তার বাবা মা থানায় হাজির হয়। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রিন্ট