জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অমর সৃষ্টি ‘হিমু’ চরিত্রটিকে ভালোবেসে কয়েকজন তরুণ চালু করেন ‘হিমু পরিবহন’। এই পরিবহনের সদস্যরা নিজেদের পরিচয় দেন ‘হেলপার’ হিসেবে। জুবায়ের কবির তুষার তাদের অন্যতম কাণ্ডারি।
ইচ্ছে ছিল ক্যানসারে মারা যাওয়া হুমায়ূন আহমেদের শেষ ইচ্ছা অনুসারে একটি ক্যানসার হাসপাতাল করবেন তারা। এরই মধ্যে ক্যানসার নিয়ে দেশব্যাপী সচেতনতামূলক নানা কার্যক্রমও পরিচালনা করেছিল জনপ্রিয় এ সংগঠনটি। সেই হিমু পরিবহনের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা জুবায়ের কবির তুষার (৩৫) মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সিলর হিসেবে কর্মরত ছিলেন জুবায়ের কবির তুষার। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হিমু পরিবহনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানী ঢাকার মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তুষারের ভাই দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর হিমু জানান, রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পেটের ব্যথা নিয়ে তুষার মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন এবং ভোরে হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার সকাল ১১টায় শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যান তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোমবার রাত ৮টায় তার প্রথম নামাজের জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় নামাজের জানাজা মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার খন্দকবাড়ীয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।
তুষার কুষ্টিয়ার মিরপুর বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি ২০০৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তুষার। তুষারের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার খন্দকবাড়িয়ায়। তিনি ২০১৫ সালের ১৫ জুন লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগদান করেন। এর আগে তুষার প্রথম আলো বন্ধু সভার পরিচালনা পরিষদের সদস্য হিসেবে কাজ করেন।
প্রিন্ট