অবহেলিত গ্রাম- গঞ্জের পিছিয়ে পড়া নারীদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোগক্তা সৃষ্টি ও তাদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে বিকাশ সাধন প্রকল্প প্রশংসীত।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় এই সাফল্য আজ সমাজে চোখে পড়ার মতো।
জাতীয় মহিলা সংস্থার বাস্তবায়নে ‘তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোগক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পটি ৫ বছর মেয়াদি। উপজেলায় চলমান প্রকল্প থেকে প্রায় ৩ হাজার অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত, বিধবা ও প্রতিবন্ধীনারী উপকৃত এবং স্বাবলম্বী হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
পৌরসভার বাসিন্দা প্রতিবন্ধী আয়শা খাতুন জানায়, ইন্টেরিয়র ডিজাইনের উপর ৮০ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে ১২ হাজার টাকা পেয়ে সে এখন বাড়ীতে বসেই ইন্টেরিয়রের কাজ করে সংসারের হাল ধরেছে। কচাকাটা ইউনিয়নের ৩ সন্তানের জননী বিধবা শিউলি বেগম বলেন, কি আর কই বাবা দুক্ষের কতা। সোয়ামী মরি যাওয়ার পরে হামলার কুনো কুল-কিনারা আইচলো না। ভাত আন্দাবারির (কাটারিং) প্রশিক্ষণ নিয়া এলা বেটাক দিয়া প্যাকেটোত করি অফিসে অফিসে ভাত বেচে ভালে আছি। অন্যদিকে রামখানার বিএ পাস মুক্তা খাতুন জানায়, সে চাকরির পিছে আর না ঘুরে বিউটিফিকেশনের প্রশিক্ষণ নিয়ে সদরে একটি বিউটি পার্লার খুলেছে। তার আয় মন্দ নয়।
নাগেশ্বরীতে ২০২১ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। প্রতি অর্ধ বছরে ৫ টি বিষয়ে এখানে প্রশিক্ষণ নেয় প্রায় ১ হাজার জন নারী। ৮০ ও ৪০ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে প্রদান করা হয় ১২ ও ৬ হাজার টাকার চেক।
উপজেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, গ্রামীণ জনপদের নারী উন্নয়নের লক্ষ্যেই এপ্রকল্প। স্বচ্ছতা ও উন্নত প্রশিক্ষণ নিশ্চিতে আমাকে গত ১০ মার্চ ২০২৪ সালে এখানে যোগদান করানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় ও জেলার নির্দেশনায় উত্তম সেবা চেষ্টা করছি। সরকারের এ প্রকল্পে নাগেশ্বরীবাসী কৃতজ্ঞ।
প্রিন্ট