রাজশাহীর তানোরে দীর্ঘ প্রায় দেড়যুগ পর বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য, নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ ফুরফুরে।
জানা গেছে, বিগত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ক্ষমতার লাগাম ছুটে যাওয়ার পর থেকেই প্রায় দুই দশক কঠিন সময় পার করেছে রাজনীতির মাঠের মিত্র বিএনপি-জামায়াত ও তাদের অন্যান্য জোটসঙ্গীরা। শত চেষ্টায় বিপদ কাটাতে না পারলেও এবার আকস্মিক এক গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে দীর্ঘদিনের দুই মিত্রকে ক্ষমতার কাছাকাছি এনে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
অথচ তানোরে দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক বিএনপি-জামায়াত বিনা বাধায় তাদের শান্তিপুর্ণ কোনো কর্মসুচি পালন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার রাস্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াতকে কোনঠাসা করে রাখে।কিন্ত্ত ছাত্র-জনতার আআন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন টানা চতুর্থ মেয়াদে দেশ পরিচালনায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই তানোরে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে রাতারাতি নাটকীয় পরিবর্তন দেখা গেছে। এতদিন যে সকল নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কারণে নিজেদের রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে রেখেছিল তাঁরা আবারো রাজনীতিতে সক্রীয় হয়েছে। আবারও গা-ঝাড়া দিয়ে নবউদ্দ্যোমে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে শুরু করেছেন। যে কারণে দীর্ঘদিন পর এখানে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে ফিরেছে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য।
অন্যদিকে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরপরই তানোরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কথিত হেবিওয়েট নেতারা আত্মগোপণ করেছে। এতে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এতো অল্প সময়ের মধ্যে মানুষ ভুলে যেতে বসেছে আওয়ামী লীগ বলে একটি রাজনৈতিক দল ছিলো।
প্রিন্ট