রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়ন এলাকা আয়তনে এবং জনসংখ্যার দিক দিয়ে উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি ইউনিয়ন। ইউনিয়নের উন্নয়নের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের শোভাবর্ধনে অবদান রেখে চলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আল মামুন খান।
জানা যায়, মামুন খান ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো হাবাসপুর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২৭-০৭-২০১১ থেকে ২৬-০৭-২০১৬ পর্যন্ত মেয়াদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনকালে তিনি একটি অর্থ বছরে রাজবাড়ী জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে পদক লাভ করেন। ২০২২ সালের নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয় বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চলতি মেয়াদের জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ১ম স্থান অধিকার করায় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদকে পুরস্কৃত করেন।
সূত্র মতে, হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর রাস্তা থেকে বেশ নিচু ছিল। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ কর্দমাক্ত হতো। কর্দমাক্ত মাঠ দিয়ে পরিষদে চলাচলে সর্বসাধারণ দুর্ভোগের শিকার হতেন।
এ বছর বর্ষা মৌসুমের আগেই ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন খান ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাকির হোসেনসহ সকল ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে সড়ক থেকে সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন পর্যন্ত পাকা সড়ক নির্মাণ করেছেন। পাশাপাশি সড়কের দু’পাশসহ ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরের শোভাবর্ধনে বিভিন্ন ফুলের গাছ রোপন করে ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরকে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রবিবার (১৮ই আগস্ট) দুপুরে সরেজমিন ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন খান বলেন, হাবাসপুর ইউনিয়ন আয়তনে ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। পদ্মা নদী বেষ্টিত হাবাসপুর ইউনিয়নের মানুষ খুবই পরিশ্রমী। অনেক গুণী মানুষের জন্ম হয়েছে হাবাসপুর ইউনিয়নে।
তিনি বলেন, উন্নয়নের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরের শোভাবর্ধনে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও আসবাবপত্র সুরক্ষায় প্রাচীরসহ একটি গেট নির্মাণ খুবই জরুরী। এ ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এলাকার উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমসহ ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরের শোভাবর্ধন কাজে সহযোগিতার জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সকল ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ সদস্যদের প্রতি তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রিন্ট