ঢাকা , রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পাবনা মিছিল করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৫ Logo কুমারখালীতে দেড়শ রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করলো ইয়থ ডেভলপমেন্ট ফোরাম Logo আমিরাতের ৫২ জন সিআইপিকে সম্মাননা প্রদান Logo গুঁজিশহর মেলা বাণিজ্যের অর্থ নয়ছয় দুদুকের হস্তক্ষেপ কামনা Logo নাটোরে মিষ্টিতে ভ্যাট না কমালে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির Logo বড়াইগ্রামে লালন স্মরণ উৎসব অনুষ্ঠিত Logo সদ্য কারা মুক্ত বিডিআর সদস্যকে ভেড়ামারা বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ফুল দিয়ে সংবর্ধনা Logo জাকিরের যন্ত্রণায় জনজীবন অতিষ্ঠ, প্রশাসন নির্বিকার Logo সময়ের প্রত্যাশা’য় সংবাদ প্রকাশের পর বসন্তপুর বিলের জলাবদ্ধতার সমাধান Logo বাগাতিপাড়ায় পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

হতাশায় স্বজনরা

তিন মাসেও উদঘাটন হয়নি ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়া হত্যার মূল রহস্য

তৃতীয় লিঙ্গের কারিশমা। -ফাইল ছবি।

ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়া হত্যার ঘটনায় ৮০ দিন পেরিয়ে গেলেও মূলরহস্য উদঘাটন না হওয়ায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছে তার স্বজনরা।

গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে কারিশমা (৪০) নামে তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কারিশমা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর সন্তান।

কারিশমার বড় ভাই নুরুন্নবী বলেন, উদয়পুর গ্রামে ওই বাড়িতে কারিশমা একাই থাকতো। সম্প্রতি অন্যত্র বাড়ি তৈরী করায় শহরের টার্মিনাল এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি বাড়িটি বিক্রি জন্য বায়না করে। বুধবার দুপুরে ওই বাড়িতে ক্রেতারা গেলে তার নিজ ঘরে লাশ দেখতে পায়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিছানায় বসা অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখা যায় কারিশমার মৃতদেহ। টাকা ও গহনার কারণে কে বা কারা তাকে নির্মমভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তিনি তদন্ত স্বাপেক্ষে কারিশমা হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

কারিশমার ভাই শরাফত হোসেন অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার অগ্রগতির জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হলেও পুলিশ বিষয়টি সঠিকভাবে আমলে না নেওয়ায় ফলে মামলার মোটিভ একেক সময় একেক দিকে মোড় নিচ্ছে। যে কারণে কারিশমার হত্যাকারীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তাই মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এব্যাপারে মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপারেশন আবুল খায়ের শেখ বলেন, এটি একটি ক্লুলেস হত্যা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যা প্রমাণিত হয়েছে। ঘটনার সূত্র ধরে প্রথমেই আলামত জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এঘটনার রহস্য উদঘাটনে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুতই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

পাবনা মিছিল করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৫

error: Content is protected !!

হতাশায় স্বজনরা

তিন মাসেও উদঘাটন হয়নি ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়া হত্যার মূল রহস্য

আপডেট টাইম : ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ :

ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়া হত্যার ঘটনায় ৮০ দিন পেরিয়ে গেলেও মূলরহস্য উদঘাটন না হওয়ায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছে তার স্বজনরা।

গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে কারিশমা (৪০) নামে তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কারিশমা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর সন্তান।

কারিশমার বড় ভাই নুরুন্নবী বলেন, উদয়পুর গ্রামে ওই বাড়িতে কারিশমা একাই থাকতো। সম্প্রতি অন্যত্র বাড়ি তৈরী করায় শহরের টার্মিনাল এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি বাড়িটি বিক্রি জন্য বায়না করে। বুধবার দুপুরে ওই বাড়িতে ক্রেতারা গেলে তার নিজ ঘরে লাশ দেখতে পায়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিছানায় বসা অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখা যায় কারিশমার মৃতদেহ। টাকা ও গহনার কারণে কে বা কারা তাকে নির্মমভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তিনি তদন্ত স্বাপেক্ষে কারিশমা হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

কারিশমার ভাই শরাফত হোসেন অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার অগ্রগতির জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হলেও পুলিশ বিষয়টি সঠিকভাবে আমলে না নেওয়ায় ফলে মামলার মোটিভ একেক সময় একেক দিকে মোড় নিচ্ছে। যে কারণে কারিশমার হত্যাকারীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তাই মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এব্যাপারে মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপারেশন আবুল খায়ের শেখ বলেন, এটি একটি ক্লুলেস হত্যা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যা প্রমাণিত হয়েছে। ঘটনার সূত্র ধরে প্রথমেই আলামত জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এঘটনার রহস্য উদঘাটনে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুতই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।


প্রিন্ট