ঢাকা , সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সালথায় পাট সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা দারিদ্র্য-ক্ষুধামুক্ত স্মার্ট ও সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর দ্রুতই আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে বাংলাদেশঃ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া হলো বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃপ্ত শপথ বাঘায় উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন খোকসায় যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত র‍্যাব আটকের পর নারীর মৃত্যু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যোগে ‌ সেহরি ও ইফতার বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত ফরিদপুরে মহান “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন'” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

হতাশায় স্বজনরা

তিন মাসেও উদঘাটন হয়নি ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়া হত্যার মূল রহস্য

তৃতীয় লিঙ্গের কারিশমা। -ফাইল ছবি।

ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়া হত্যার ঘটনায় ৮০ দিন পেরিয়ে গেলেও মূলরহস্য উদঘাটন না হওয়ায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছে তার স্বজনরা।

গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে কারিশমা (৪০) নামে তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কারিশমা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর সন্তান।

কারিশমার বড় ভাই নুরুন্নবী বলেন, উদয়পুর গ্রামে ওই বাড়িতে কারিশমা একাই থাকতো। সম্প্রতি অন্যত্র বাড়ি তৈরী করায় শহরের টার্মিনাল এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি বাড়িটি বিক্রি জন্য বায়না করে। বুধবার দুপুরে ওই বাড়িতে ক্রেতারা গেলে তার নিজ ঘরে লাশ দেখতে পায়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিছানায় বসা অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখা যায় কারিশমার মৃতদেহ। টাকা ও গহনার কারণে কে বা কারা তাকে নির্মমভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তিনি তদন্ত স্বাপেক্ষে কারিশমা হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

কারিশমার ভাই শরাফত হোসেন অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার অগ্রগতির জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হলেও পুলিশ বিষয়টি সঠিকভাবে আমলে না নেওয়ায় ফলে মামলার মোটিভ একেক সময় একেক দিকে মোড় নিচ্ছে। যে কারণে কারিশমার হত্যাকারীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তাই মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এব্যাপারে মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপারেশন আবুল খায়ের শেখ বলেন, এটি একটি ক্লুলেস হত্যা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যা প্রমাণিত হয়েছে। ঘটনার সূত্র ধরে প্রথমেই আলামত জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এঘটনার রহস্য উদঘাটনে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুতই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

Tag :

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

সালথায় পাট সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা

error: Content is protected !!

হতাশায় স্বজনরা

তিন মাসেও উদঘাটন হয়নি ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়া হত্যার মূল রহস্য

আপডেট টাইম : ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০

ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়া হত্যার ঘটনায় ৮০ দিন পেরিয়ে গেলেও মূলরহস্য উদঘাটন না হওয়ায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছে তার স্বজনরা।

গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে কারিশমা (৪০) নামে তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কারিশমা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর সন্তান।

কারিশমার বড় ভাই নুরুন্নবী বলেন, উদয়পুর গ্রামে ওই বাড়িতে কারিশমা একাই থাকতো। সম্প্রতি অন্যত্র বাড়ি তৈরী করায় শহরের টার্মিনাল এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি বাড়িটি বিক্রি জন্য বায়না করে। বুধবার দুপুরে ওই বাড়িতে ক্রেতারা গেলে তার নিজ ঘরে লাশ দেখতে পায়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিছানায় বসা অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখা যায় কারিশমার মৃতদেহ। টাকা ও গহনার কারণে কে বা কারা তাকে নির্মমভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তিনি তদন্ত স্বাপেক্ষে কারিশমা হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

কারিশমার ভাই শরাফত হোসেন অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার অগ্রগতির জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হলেও পুলিশ বিষয়টি সঠিকভাবে আমলে না নেওয়ায় ফলে মামলার মোটিভ একেক সময় একেক দিকে মোড় নিচ্ছে। যে কারণে কারিশমার হত্যাকারীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তাই মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এব্যাপারে মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপারেশন আবুল খায়ের শেখ বলেন, এটি একটি ক্লুলেস হত্যা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যা প্রমাণিত হয়েছে। ঘটনার সূত্র ধরে প্রথমেই আলামত জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এঘটনার রহস্য উদঘাটনে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুতই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।