জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা শিমুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে ৪-৫ জন আহত হয়েছে।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ পিপিএম।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত দাউদ কবিরাজের ভাই এনামুল কবিরাজের সঙ্গে একই এলাকার ওহিদ কবিরাজের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে ওহাব গ্রুপের সঙ্গে এনামুল গ্রুপের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারধর শুরু হয়। এ সময় দাউদকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করে ওহাব ও তার লোকজন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক বিকেলে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ওহাব ও এনামুল একই বংশের মানুষ। একে অপরের চাচাতো ভাই। জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এনামুল গ্রুপের সঙ্গে ওহাব গ্রুপের মারামারি হয়েছে। এ সময় এলোপাথাড়ি মারপিট করে দাউদকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
নিহতের ছেলে আশরাফুল ইসলাম বলেন, জমিজমা ও চলাচলের পথ নিয়ে আমার চাচা এনামুলের সঙ্গে প্রতিবেশী ওহাবের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়। এ সময় আমার আব্বাকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারপিট করে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ পিপিএম বলেন, জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হাতে বৃদ্ধ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।