ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সঞ্জায় সাহার আবাসন প্রকল্পের অফিস ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দীন ঝুনু মিয়ার গাড়ি বহরে মধুখালীর দীঘলিয়া এলাকায় হামলা হয়েছে।
জানা যায়, জেলার মধুখালি উপজেলার দীঘলিয়ায় বিএনপির শান্তি শোভাযাত্রায় হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ১টি মাইক্রোবাস ও ১০/১২ টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। হামলায় বেশকিছু নেতা কর্মী মারাত্মক আহত হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করে যাওয়ায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফরিদপুর-১ আসনের বিএনপির একাংশ শান্তি শোভাযাত্রা বের করে। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, পিক-আপে সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে।
শোডাউনটি ১৪ আগস্ট বুধবার সকালে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী উপজেলা হয়ে মধুখালি উপজেলায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দিঘলিয়ায় পৌঁছালে এ হামলা হয়। উপজেলার দীঘলিয়ায় অবস্থিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সদ্য সাবেক মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত আয়শা-সামী টেকনিক্যাল কলেজের সামনে পৌছালে শোভাযাত্রার গাড়ি বহরে অতর্কিত হামলা চালায় পূর্ব থেকে প্রস্তুত থাকা বিএনপির অপর পক্ষ।
এ সময় ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুকে বহন করা গাড়ি বহরে ভাঙচুর চালায় তারা। হামলায় কমপক্ষে ১০জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধুখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু বলেন- ফরিদপুর -১ আসনের বিএনপির একাংশের নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলামের ইন্ধনে, তারই পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী শান্তি শোভাযাত্রায় হামলা চালিয়েছে। দলের শীর্ষনেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ শোভাযাত্রা বের করি। এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা ও সঠিক বিচার চাই।
এ ঘটনার জের ধরে বিকাল চারটার দিকে বোয়ালমারীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সঞ্জয় সাহার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় । সঞ্জয় সাহা ও তার ২ ছেলে বাধা দিলে তাদের উপর হামলা চালায় ২০/২৫ জনের একটি দল । এ হামলায় সঞ্জয় সাহাসহ চারজন মারাত্মক আহত হয়েছে। হামলার সময় মাঝকান্দি ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে টহলরত সেনাবাহিনীর একটি দল দুইজন হামলাকারীকে আটক করে। আটকৃত একজন পৌরসভার নলিয়াপাড়া মৃত দেলোয়ারের ছেলে দুখু, অপর জনের নাম জানা যায়নি।
সঞ্জয় সাহা বলেন- আমি কিছুই জানি না, বাসায় ছিলাম। হঠাৎ ভাঙচুরের শব্দে বের হয়ে এসে দেখি আমার অফিস ভাঙচুর ও লুটপাট করছে ঝুনু মিয়ার অনুসারী কাউন্সিলর শেখ আজিজুলের লোকজন। আজিজুল হক- শেখ হাসিনার পতনের পর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদের একটি অফিস দখল করেছে ও তার নেতৃত্বে বোয়ালমারীতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন- আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ তৎপর রয়েছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আহতদের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রিন্ট