ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি Logo দৌলতপুরে থানার সামনে স্বর্ণের দোকানে দূর্ধর্ষ চুরি Logo শ্রেণিকক্ষে পানিঃ দৌলতপুরে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা Logo সারাদেশে এনসিপির সাড়া দেখে বলা হচ্ছে নিবন্ধনের কাগজে ঝামেলা আছেঃ -হান্নান মাসউদ Logo মাদারিপুরে দু’টি বাস-পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৬ Logo প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার মজলিস Logo ইবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ বিক্ষোভ Logo গোমস্তাপুরে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু Logo চরভদ্রাসনে টানা বৃষ্টিতে কর্মহীন ভ্যান-রিকশাচালকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ Logo বাগাতিপাড়ায় লোকালয়ে দেখা মিললো বিরল কালো মুখ হনুমানের
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জেলা শিক্ষা অফিসারের নামে সেলামী নেওয়ায় কালুখালীর স্কুল শিক্ষক লাঞ্চিত

জেলা শিক্ষা অফিসারের নামে ৪ লক্ষ টাকার সেলামী গ্রহন করায় রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় এক স্কুল লাঞ্চিত হয়েছে। ওই স্কুল শিক্ষকের নাম আয়ুব আলী। সে রতনদিয়া রজনীকান্ত মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক।  বিদ্যালয়ের জাতীয় করন হওয়া শিক্ষকদের কাগজপত্র স্বাক্ষরের জন্য ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষকের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা গ্রহন করে।
টাকা গ্রহনকালে তিনি শিক্ষকদের বলেন এই টাকা জেলা শিক্ষা অফিসারকে কাগজপত্র স্বাক্ষরের জন্য দিতে হবে। এঘটনার পর  টাকা প্রদানকারী শিক্ষকরা জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে খোজ নিয়ে জানতে পারেন তাদের কাজগপত্র স্বাক্ষরের জন্য কোন টাকা লাগেনি।তারা বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষকের নামে সালিসের ডাক দেন। কালুখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলীউজ্জান চৌধুরী টিটুসহ গন্যমান্যগন ওই সালিসে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য শিক্ষক আয়ুব আলীকে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। সালিস মেনে চলে এলেও শিক্ষক আয়ুব আলী ওই টাকা না দিয়ে নানা তানবাহানা করতে থাকে।
গত ৬ আগষ্ট স্কুল চলাকালে স্থানীয় ছাত্র জনতা জানতে পারে রতনদিয়া রজনীকান্ত মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বসে গাঁজা সেবন করছে। এসময় ছাত্র জনতা তাকে অফিস  কক্ষে অবরুদ্ধ করে গাঁজা সেবনের কথা জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় আমি গাঁজা নয় বিড়ি খাই। ছাত্র জনতা জেলা শিক্ষা অফিসারের নামে সেলামী নেওয়ায় কথা জিজ্ঞেস করলে উনি ভুল স্বীকার করেন।পরে তিনি পৃথক দুটি চেক মারফত শিক্ষকদের ৪ লক্ষ টাকা ফেরত দেন।
প্রতারনামূলক টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে আয়ুব আলী জানান,যেহেতু চেক প্রদান করেছি তাই এ নিয়ে লেখালেখি করার দরকার নেই।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি

error: Content is protected !!

জেলা শিক্ষা অফিসারের নামে সেলামী নেওয়ায় কালুখালীর স্কুল শিক্ষক লাঞ্চিত

আপডেট টাইম : ০৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
সাহিদা পারভীন, কালুখালী (রাজবাড়ী)  প্রতিনিধি :
জেলা শিক্ষা অফিসারের নামে ৪ লক্ষ টাকার সেলামী গ্রহন করায় রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় এক স্কুল লাঞ্চিত হয়েছে। ওই স্কুল শিক্ষকের নাম আয়ুব আলী। সে রতনদিয়া রজনীকান্ত মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক।  বিদ্যালয়ের জাতীয় করন হওয়া শিক্ষকদের কাগজপত্র স্বাক্ষরের জন্য ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষকের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা গ্রহন করে।
টাকা গ্রহনকালে তিনি শিক্ষকদের বলেন এই টাকা জেলা শিক্ষা অফিসারকে কাগজপত্র স্বাক্ষরের জন্য দিতে হবে। এঘটনার পর  টাকা প্রদানকারী শিক্ষকরা জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে খোজ নিয়ে জানতে পারেন তাদের কাজগপত্র স্বাক্ষরের জন্য কোন টাকা লাগেনি।তারা বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষকের নামে সালিসের ডাক দেন। কালুখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলীউজ্জান চৌধুরী টিটুসহ গন্যমান্যগন ওই সালিসে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য শিক্ষক আয়ুব আলীকে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। সালিস মেনে চলে এলেও শিক্ষক আয়ুব আলী ওই টাকা না দিয়ে নানা তানবাহানা করতে থাকে।
গত ৬ আগষ্ট স্কুল চলাকালে স্থানীয় ছাত্র জনতা জানতে পারে রতনদিয়া রজনীকান্ত মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বসে গাঁজা সেবন করছে। এসময় ছাত্র জনতা তাকে অফিস  কক্ষে অবরুদ্ধ করে গাঁজা সেবনের কথা জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় আমি গাঁজা নয় বিড়ি খাই। ছাত্র জনতা জেলা শিক্ষা অফিসারের নামে সেলামী নেওয়ায় কথা জিজ্ঞেস করলে উনি ভুল স্বীকার করেন।পরে তিনি পৃথক দুটি চেক মারফত শিক্ষকদের ৪ লক্ষ টাকা ফেরত দেন।
প্রতারনামূলক টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে আয়ুব আলী জানান,যেহেতু চেক প্রদান করেছি তাই এ নিয়ে লেখালেখি করার দরকার নেই।

প্রিন্ট