ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের ফুলবাড়ী উপজেলায় মতবিনিময় সভা Logo তানোরে যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ Logo মাগুরাতে এসএমসি’র পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo রূপগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন Logo অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষে স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo প্রত্যন্ত গ্রামে নারী ফুটবল প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করলেন হাজারো দর্শক Logo বাঘায় উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা Logo ফরিদপুরে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বিএনপির নেতা কর্মীরা আমাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির পাহারা দিচ্ছেনঃ -দেবাশীষ দাস

গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর যশোরে কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা মন্দিরে হামলা হয়নি। গত ১৭ বছরে যেটুকু হয়েছে তা অতি উৎসাহীদের কারণে। এখন যারা সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে বলে প্রতিবাদ করছে ৫ আগস্টের পর চারদিন তারা কোথায় ছিল? হিন্দুদের রক্ষার জন্য তারা কাদের সাথে কথা বলেছিল।
আমাদের সংগঠন বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছে। বেশিরভাগ জায়গায় আওয়ামী লীগের সমর্থক এক গ্রুপের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আরেক গ্রুপের বাড়িঘরে হামলা করেছে। বরং বিএনপি জামায়াতের লোকজন পাহারা দিয়ে হিন্দুদের সুরক্ষা দিয়েছে। রোববার (১১ আগস্ট) বিকালে যশোর শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্ত্বরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সম্প্রীতি সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি দেবাশীষ দাস সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অ্যাড. দেবাশীষ দাস আরো বলেন, পার্শ্ববর্তী একটি দেশের কিছু মিডিয়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের জিগির তুলছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, যখন ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙা হয়েছিল তখনো যশোরে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়নি। বরাবরই একটি দল ও তাদের সমর্থকরা হিন্দুদেরই নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে আসছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, গুজবে ভীত হয়ে তার পরিচিত ঝিনাইদহ এবং সাতক্ষীরার তালার দু’পরিবার অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেয়। তাদের বাড়িঘর মুসলিমরা পাহারা দিয়ে রাখে এবং তাদের নিয়ে বাড়িতে তারাই পৌঁছে দেয়। বিভিন্ন জায়গায় এখনো মুসলিমরা হিন্দুদের বাড়ি পাহারা দিচ্ছে।
দেবাশীষ দাস বলেন, যারা লুটপাট করে এরা কোনো দলের হতে পারে না। এরা দুষ্কৃতিকারী। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে অনুরোধ করে বলেন, দয়া করে কেউ অসত্য তথ্য প্রচার করবেন না। এটি খুবই ভয়ংকর। এটির মাধ্যমে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব বাবু নির্মল বিট বলেন, গত ১৭ বছর বিভিন্ন সময় হিন্দুদের ওপর হামলা হয়েছে তখন কারো মাথাব্যথা ছিল না। এখন হাতেগোনা কোনো কোনো সংগঠনের নেতাদের সংখ্যালঘুদের প্রতি দরদ উতলে পড়ছে। যখন বিশ্বজিৎকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল তখন তারা কোথায় ছিল। বর্তমানে কিছু লোক হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট যশোর জেলার সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক অলোক কুমার ঘোষ সংখ্যালঘু নির্যাতনের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, বাঘারপাড়ার ভাঙ্গুড়া কলেজের অধ্যক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা নিখিল আঢ্যের কারণে আওয়ামী লীগের আরেকটি গ্রুপের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন চরম ক্ষুব্ধ ছিল। তারাই ৫ আগস্টের পর অপর গ্রুপের সুবিধাভোগীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আর তার দায় চাপাচ্ছে অন্যদের ওপর। যারা অতি উৎসাহী হয়ে অন্যদের নির্যাতন করেছে তারাই এখন কমবেশি সেটা ফেরত পাচ্ছে।
সংগঠনের মণিরামপুর থানার নেতা অরূপ মিত্র বলেন, মণিরামপুরে বিএনপি জামায়াতের নেতারা পাহারা দিয়ে হিন্দুদের সুরক্ষা দিচ্ছেন। অথচ তাদের দেখাশোনার জন্য তিনটি সংগঠন রয়েছে। তারা কী কাজ করেছে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

error: Content is protected !!

বিএনপির নেতা কর্মীরা আমাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির পাহারা দিচ্ছেনঃ -দেবাশীষ দাস

আপডেট টাইম : ১০:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি :
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর যশোরে কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা মন্দিরে হামলা হয়নি। গত ১৭ বছরে যেটুকু হয়েছে তা অতি উৎসাহীদের কারণে। এখন যারা সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে বলে প্রতিবাদ করছে ৫ আগস্টের পর চারদিন তারা কোথায় ছিল? হিন্দুদের রক্ষার জন্য তারা কাদের সাথে কথা বলেছিল।
আমাদের সংগঠন বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছে। বেশিরভাগ জায়গায় আওয়ামী লীগের সমর্থক এক গ্রুপের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আরেক গ্রুপের বাড়িঘরে হামলা করেছে। বরং বিএনপি জামায়াতের লোকজন পাহারা দিয়ে হিন্দুদের সুরক্ষা দিয়েছে। রোববার (১১ আগস্ট) বিকালে যশোর শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্ত্বরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সম্প্রীতি সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি দেবাশীষ দাস সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অ্যাড. দেবাশীষ দাস আরো বলেন, পার্শ্ববর্তী একটি দেশের কিছু মিডিয়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের জিগির তুলছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, যখন ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙা হয়েছিল তখনো যশোরে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়নি। বরাবরই একটি দল ও তাদের সমর্থকরা হিন্দুদেরই নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে আসছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, গুজবে ভীত হয়ে তার পরিচিত ঝিনাইদহ এবং সাতক্ষীরার তালার দু’পরিবার অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেয়। তাদের বাড়িঘর মুসলিমরা পাহারা দিয়ে রাখে এবং তাদের নিয়ে বাড়িতে তারাই পৌঁছে দেয়। বিভিন্ন জায়গায় এখনো মুসলিমরা হিন্দুদের বাড়ি পাহারা দিচ্ছে।
দেবাশীষ দাস বলেন, যারা লুটপাট করে এরা কোনো দলের হতে পারে না। এরা দুষ্কৃতিকারী। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে অনুরোধ করে বলেন, দয়া করে কেউ অসত্য তথ্য প্রচার করবেন না। এটি খুবই ভয়ংকর। এটির মাধ্যমে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব বাবু নির্মল বিট বলেন, গত ১৭ বছর বিভিন্ন সময় হিন্দুদের ওপর হামলা হয়েছে তখন কারো মাথাব্যথা ছিল না। এখন হাতেগোনা কোনো কোনো সংগঠনের নেতাদের সংখ্যালঘুদের প্রতি দরদ উতলে পড়ছে। যখন বিশ্বজিৎকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল তখন তারা কোথায় ছিল। বর্তমানে কিছু লোক হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট যশোর জেলার সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক অলোক কুমার ঘোষ সংখ্যালঘু নির্যাতনের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, বাঘারপাড়ার ভাঙ্গুড়া কলেজের অধ্যক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা নিখিল আঢ্যের কারণে আওয়ামী লীগের আরেকটি গ্রুপের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন চরম ক্ষুব্ধ ছিল। তারাই ৫ আগস্টের পর অপর গ্রুপের সুবিধাভোগীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আর তার দায় চাপাচ্ছে অন্যদের ওপর। যারা অতি উৎসাহী হয়ে অন্যদের নির্যাতন করেছে তারাই এখন কমবেশি সেটা ফেরত পাচ্ছে।
সংগঠনের মণিরামপুর থানার নেতা অরূপ মিত্র বলেন, মণিরামপুরে বিএনপি জামায়াতের নেতারা পাহারা দিয়ে হিন্দুদের সুরক্ষা দিচ্ছেন। অথচ তাদের দেখাশোনার জন্য তিনটি সংগঠন রয়েছে। তারা কী কাজ করেছে।

প্রিন্ট