অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৪তম (জরুরি) সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবাসিক হলের ছাত্রদের আজ দুপুর ১টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ছাত্রীদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেলা ১১টার দিকে সিন্ডিকেট সভা শেষ হয়।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা সকল হলে চিঠি পাঠিয়েছি।
মঙ্গলবার রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এইচ এম আলী হাসান বলেন, আজ বেলা ১টার মধ্যে ছাত্রদের এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগ করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছাত্রদের যাতায়াতের জন্য ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসের ব্যবস্থা করা হবে। ছাত্রীদের জন্যও একই ব্যবস্থা থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক হলের আবাসিক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে আমাদের হল ছাড়তে বলা হয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে আমরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে বের হবো কীভাবে? প্রশাসন চাইলে একটু সময় বাড়িয়ে দিতে পারতো। হঠাৎ গাড়ি পাওয়াও কঠিন হয়ে যাবে। এখন আমাদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। আমাদের যাদের বাসা দূরে তারা টিকিটও পাবো না।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইউজিসি এক অফিস আদেশে জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্য সব কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা প্রদানের নিমিত্তে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।
প্রিন্ট