ফরিদপুর শহরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের বক্ষ্মসমাজ সড়কে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সমাবেশে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় দুজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।
গুরুতর আহত কাজী নিশাত গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। তার মাথায় গুরুত্বর জখম রয়েছে। অন্য আহত শিক্ষার্থী ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ শিক্ষার্থী আবরার নাদিম ইতু।
আন্দোলনকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বক্ষ্মসমাজ সড়কে জড়ো হতে থাকে। শুরু হওয়া আন্দোলনের সময়ই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় আন্দোলনকারী ছাত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও বেলা সাড়ে ১১ টায় তারা আবার সমবেত হন সেখানেই। এসময় আন্দোলনকারীরা ঘন্টাব্যাপী শহরের প্রধান মুজিব সড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এসময় তারা শান্তিপূর্ন সমাবেশে হামলার জন্য ছাত্রলীগের হামলাকারীদের তীব্র নিন্দা ও শাস্তিদাবী জানান। সেই সাথে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন আহত ছাত্রনেতা আবরার নাদিম ইতু। পরে তারা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শহরের প্রধান সড়কে ধরে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে মিছিল নিয়ে জনতার ব্যাংকের মোড়ে যায়। সেখান থেকে আবার তারা আন্দোলন স্থানে ফিরে আসেন। আন্দোলন চালিয়ে যান।
আহত গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কাজী নিশাত বলেন, আমি কোটা বিরোধী আন্দোলনে একাত্বতা পোষন করে ফরিদপুরের আন্দোলনকারীদের সাথে সকাল ১১ টায় সেখানে যোগ দেই। তার মিনিট দুয়েকের মধ্যেই ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা আমাদের উপর হামলা চালায়। পুলিশ সেখানে উপস্থিত থাকলে তাদের কোন ভূমিকা নিতে দেখা যায় নি।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একটি পক্ষের মধ্যে উত্তোজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেই।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একটি পক্ষের মধ্যে উত্তোজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেই।
প্রিন্ট