চলতি বর্ষা মৌসুমে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার লোহারটেক কোল ও ভূবেনেস্বর শাখা নদের বিভিন্ন স্থানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অবৈধ ভাবে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করায় বাধাগ্রস্থ হচ্ছে মাছের অবাধ বিচরন ও বংশবিস্তার। রবিবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভীরচর বাজার বড় ব্রীজের সন্নিকটে লোহারটেক কোলে সরজমিনে গিয়ে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা যায়।
এ সময় বাঁধের মালিক মোঃ জসিম ফকির(৫০) জানায় তিনিসহ ঐ ইউনিয়নের দবিরউদ্দিন প্রামানিকের ডাঙ্গী ও আব্দুল মজিদখাঁর ডাঙ্গীর বাসিন্দা নুরুল ইসলাম মন্ডল, কামাল ও সাইদ ফকির মিলে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এই বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে চলেছে। তারা শখের বসে একাজ করছে বলে জানায়। এছাড়া উত্তর আলমনগর মধুশিকদারের ডাঙ্গী এলাকা ও সর্দদার বাড়ী ব্রীজ সংলগ্ন কোলে আড়াআড়ি বাঁধ ও চায়না দোয়রী দিয়ে দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা যায়।
জানা যায় বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদী হতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে খাল ও জলাসয়ে পানি প্রবেশ করে। প্রতিবছর মৎস্য আইন অমান্য করে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যাক্তি আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে উপজেলার বিভিন্ন খাল ও জলাশয়ে অবাধ বিচরন ও বংশ বিস্তার করতে পারছে না দেশীয় প্রজাতির মাছ।
বাঁধ অপশারনে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে সোমবার (১৫জুলাই) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম বলেন ‘নদী বা কোলে আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়া সম্পূর্ন অবৈধ। বর্ষা মৌসুমে নদী বা কোলে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে থাকলে সরজমিনে গিয়ে শীঘ্রই তা উচ্ছেদের পাশাপাশি এ কাজে জরিতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে’।
আড়াআড়ি বাঁধ অপশারনের ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অ:দা:) চরভদ্রাসন মোঃ জাহাঙ্গীর কবীর বলেন “গত সপ্তাহে তিনি একটি অভিযান করেছেন। বর্তমানে অসুস্থ থাকাতে ছুটিতে আছেন। ছুটি শেষ হলে খোজ খবর নিয়ে এব্যাপারে যথাযত ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন”।
প্রিন্ট