ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন: ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে কোটা পদ্ধতির সংস্কার এবং ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির আওতায় কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

 

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ এবং কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে ইবির শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এক শিক্ষার্থী তাঁর শিশুসন্তানকে নিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ছবি টি তোলা হয়।

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃষ্টির মাঝেও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান রাখেন।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আজ বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি করেন শিক্ষার্থীরা।

 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ কেন্দ্র ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম’ এমন স্লোগান দেয় তারা।

 

বিক্ষোভে ‘বঙ্গবন্ধুর বাঙলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘স্বাধীন এই বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘১৮ সালের পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাবৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

 

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল। সম্প্রতি হাইকোর্ট সেটি পুনর্বহাল করেছেন। আমরা হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি।

 

তারা আরো বলেন, চাকরি ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সবখানে কোটার ছড়াছড়ি। এর ফলে মেধাবীদের বঞ্চিত করে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা সুবিধা নিচ্ছে। আমরা এই বৈষম্য মানি না। আমাদের আন্দোলন কোটা একেবারে বাতিলের দাবিতে নয়। আমরা চাই, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে।

 

 

এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমি একজন নারী এবং আমার বাবা একজন শিক্ষক। আমার দুটি কোটা থাকার পরও জাগ্রত বিবেকের কারণে আমি কোটা সুবিধা নিতে চাই না। আমরা জানি, কোটা সুবিধা শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য। আজ নারীরা অগ্রসর। আমরা শপথ করছি, দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কোটা সংস্কার আন্দোলন: ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

আপডেট টাইম : ০৪:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
ইসমাইল হােসেন বাবু, ষ্টাফ রিপােটার :

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে কোটা পদ্ধতির সংস্কার এবং ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির আওতায় কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

 

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ এবং কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে ইবির শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এক শিক্ষার্থী তাঁর শিশুসন্তানকে নিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ছবি টি তোলা হয়।

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃষ্টির মাঝেও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান রাখেন।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আজ বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি করেন শিক্ষার্থীরা।

 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ কেন্দ্র ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম’ এমন স্লোগান দেয় তারা।

 

বিক্ষোভে ‘বঙ্গবন্ধুর বাঙলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘স্বাধীন এই বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘১৮ সালের পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাবৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

 

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল। সম্প্রতি হাইকোর্ট সেটি পুনর্বহাল করেছেন। আমরা হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি।

 

তারা আরো বলেন, চাকরি ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সবখানে কোটার ছড়াছড়ি। এর ফলে মেধাবীদের বঞ্চিত করে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা সুবিধা নিচ্ছে। আমরা এই বৈষম্য মানি না। আমাদের আন্দোলন কোটা একেবারে বাতিলের দাবিতে নয়। আমরা চাই, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে।

 

 

এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমি একজন নারী এবং আমার বাবা একজন শিক্ষক। আমার দুটি কোটা থাকার পরও জাগ্রত বিবেকের কারণে আমি কোটা সুবিধা নিতে চাই না। আমরা জানি, কোটা সুবিধা শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য। আজ নারীরা অগ্রসর। আমরা শপথ করছি, দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।


প্রিন্ট