রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে টানা চতুর্থ বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। ফলে এবার তাকে মন্ত্রীসভায় দেখতে চায় এই অঞ্চলের মানুষ। এটা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। নিজস্ব, স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব এই মানুষটি ছাত্র রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পুরুষে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তাতে তিনি না চাইলেও এই অঞ্চলের মানুষ তাকেই তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে, এখানে তার কোনো বিকল্প নাই। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নাই। তাকে মন্ত্রী সভায় দেখতে এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসন থেকে রাজশাহীর কৃতী সন্তান জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা প্রবাসী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। বিগত ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সরকারে সংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও চারদলীয় জোট সরকারের (ডাক ও টেলিযোগাযোগ) পূর্ণ মন্ত্রী হন ব্যারিস্টার আমিনুল হক। বিগত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে রাজশাহী থেকে ওমর ফারুক চৌধুরীকে শিল্প প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিলো কয়েক মাসের জন্য। এবার তাকে পুর্ণমন্ত্রী করার জোর দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী (নৌকা) প্রতিক নিয়ে ১১ হাজার ১৭৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তানোরে ওমর ফারুক চৌধুরী নৌকা প্রতিক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৩৭২টি। স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী কাঁচি প্রতিক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৯ হাজার ১০৯টি। এছাড়াও মাহিয়া মাহী ট্রাক প্রতিক নিয়ে দুই হাজার ৮২টি, আয়েশা আক্তার ডালিয়া বেলুন প্রতিক নিয়ে ৪০৮টি ও শামসুদ্দিন মন্ডল লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে ৩৬৭টি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে গোদাগাড়ী উপজেলায় ওমর ফারুক চৌধুরী নৌকা প্রতিক নিয়ে ৬০ হাজার ২২০টি, গোলাম রাব্বানী কাঁচি প্রতিক নিয়ে ৪৩ হাজার ৩১০টি ও মাহিয়া মাহী ট্রাক প্রতিক নিয়ে ৬ হাজার ৯২৭টি ভোট পেয়েছেন।
নৌকার প্রার্থী এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ১১ হাজার ১৭৩ ভোট বেশি পেয়ে পুনরায় এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। একটানা পর পর চার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় ওমর ফারুক চৌধুরীকে এবার মন্ত্রী সভায় স্থান দেবার দাবি করেছেন দলমত নির্বিশেষে এই অঞ্চলের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর থেকেই রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের আদর্শিক-পরীক্ষিত মূলধারার নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। রাজশাহী-১ ভিআইপি এই সংসদীয়
আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী শহীদ পরিবারের সন্তান রাজনৈতিক সহাবস্থানের প্রবর্তক, সৎ রাজনৈতিকের প্রতিকৃতি ও বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনার দৌহিত্র (ভাগ্নে) গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বা মন্ত্রীসভায় দেখতে না পাওয়ায় নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের হৃদয়ে এই রক্তক্ষরণের সূত্রপাত হয়েছে।
রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ গণমানুষের নেতা এমপি ফারুককে আগামি দিনে মন্ত্রীসভায় দেখতে চাই, কেবলমাত্র মন্ত্রী সভায় স্থান দেয়া হলেই এসব নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ প্রশমিত হবে। পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, পারিবারিক ঐতিহ্য-সামাজিক মর্যাদা ও পরিচিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, জনবল বা কর্মী বাহিনী, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা, সাংগঠনিক দক্ষতা , আদর্শিক ও বিশ্বস্তত নেতৃত্ব হিসেবে প্রেসিডিয়াম সদস্য বা মন্ত্রীসভায় স্থান পাবার মতো সব যোগ্যতা ও সক্ষমতা রয়েছে ফারুক চৌধূরীর।
ইতোমধ্যে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে ব্যক্তি স্বার্থকে জলাঞ্জলী ও দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সভাপতি পদে বিনা প্রতিদন্দিতায় তার বিজয় নিশ্চিত এটা জেনেও তিনি নিজে সভাপতি প্রার্থী না হয়ে বিতর্কমুক্ত একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিয়ে তিনি তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত ফারুক চৌধূরী আওয়ামী লীগের কত বড় সম্পদ। আওয়ামী লীগে তার আশার আগে ও আশার পরে রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থান পর্যালোচনা করা হলেই সেটার বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যাবে। এর জন্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হবার প্রয়োজন নাই। ফলে এই সম্পদ অক্ষত ও ধরে রাখতে তাকে মন্ত্রীসভায় স্থান দেবার কোনো বিকল্প নাই বলে মনে করছে আমজনতা।
বিগত রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাবেক সাংসদ প্রয়াত মেরাজ উদ্দিন মোল্লাকে সভাপতি ও কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে সম্পাদক করে বিতর্কমুক্ত একটি সুন্দর কমিটি উপহার দেয়া হয় যার সিংভাহ কৃতিত্ব এমপি ফারুক চৌধূরীর বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, জেলা কমিটি ঘোষণার পর রাজশাহী আওয়ামী লীগে রাজনৈতিক অঙ্গনে বির্তকিত নেতৃত্বের অবসান ঘটেছে বলে আলোচনা রয়েছে। অপরদিকে আদর্শিক, পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত্ব নেতৃত্ব ফারুক চৌধূরীকে এবার প্রেসিডিয়াম সদস্য বা মন্ত্রীসভায় দেখতে চায় আমজনতা। রাজশাহী আওয়ামী লীগের তৃণমূলের দাবি এমপি ফারুক চৌধুরী যেকোনো রাজনৈতিক দলের কাছে একটি বিশাল সম্পদ তাই তারা এই সম্পদ ধরে রাখতে আগামি দিনে তাকে মন্ত্রীসভায় স্থান দেয়ার জন্য দলের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমজনতা আকুল আবেদন করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রিন্ট