রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপ-নির্বাচন উপলক্ষে ইউপি আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিতসভা আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে ,গত ৯ জুলাই সোমবার ইউপি আওয়ামী লীগ দক্ষিন শাখা (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি নুরুল নবী প্রভাত মৃধার সভাপতিত্বে ও সম্পাদক (উত্তর) নির্মল কুমার সরকারের সঞ্চালনায় ছাঐড় বালিকা বিদ্যালয় চত্ত্বরে আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও ভাইস-চেয়ারম্যান তানভির রেজা। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জিল্লুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মুন্সেফ আলী, বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি আতাউর রহমান, পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগ ( দক্ষিণ) শাখার সভাপতি আব্দুল মতিন, চাঁন্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান, কামারগাঁ ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগ (উত্তর) সভাপতি আলাউদ্দিন আলী প্রামানিক, কলমা ইউপি আওয়ামী লীগ (পুর্ব) সভাপতি আব্দুর রাহিম, পশ্চিম সম্পাদক আতাউর রহমান, বাধাইড় ইউপি আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম, উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি রাম কমল সাহা, কামারগাঁ ইউপি উপ-নির্বাচনের প্রার্থী মোসলেম আলী প্রামানিক ও সুফি কামাল মিন্টুপ্রমুখ।
এদিন সভার শুরুতে কাঁমারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপ-নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে সুফি কামাল মিন্টুকে সমর্থন দিয়ে দলের সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করেন মোসলেম আলী প্রামানিক। এতোদিন তিনি এমপি বিরোধী শিবিরে ছিলেন। তবে অপর প্রার্থী মাসুদ করিম বর্ধিত সভায় উপস্থিত হয়নি। মসলেম উদ্দিন সমর্থকদের দাবি তাকে চাপ দিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে মাসুদ করিস প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করায় বর্ধিত সভার বক্তারা মাসুদ করিমকে প্রতারক আখ্যা দিয়ে তার তীব্র সমালোচনা করেন। তফসিল অনুযায়ী কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপ-নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১০ জুলাই বুধবার এবং প্রতীক বরাদ্দ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার।
এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য,তানোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে আওয়ামী লীগ কি জনবিচ্ছিন্ন ও রাজনৈতিকভাব দেউলিয়া হয়ে পড়েছে,যে কারণে একটি ইউপির উপ-নির্বাচনে তাদের সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে প্রতিদন্দী প্রার্থীকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করাতে হচ্ছে। এবিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীদের নিয়ে বর্ধিত সভা করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান কোনভাবেই এসব সভা করা যাবে না,, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান। এবিষয়ে উপজেলা রিটার্নিং ও নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, দলীয়ভাবে বর্ধিত সভা করতে বাধা নাই।#
প্রিন্ট