কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের নাসির উদ্দীন বিশ্বাস পোয়ালবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চালায় উঠে স্যান্ডেল পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
৯ জুলাই, মঙ্গলবার সকালে স্কুল বিল্ডিংয়ের টিনের চালায় জিসানকে (১০) স্যান্ডেল পাড়তে তুলে দেন প্রধান শিক্ষিকা মদিনা খাতুন। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছাত্রটির মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী আব্দুল মমিন জানায়, আমরা সহ জিসান বিদ্যালয়ে আসি, তখন প্রধান শিক্ষিকা মদিনা খাতুন জিসানকে ডেকে স্কুলের টিনের চালায় উঠিয়ে দেয়। এমন সময় জিসান টিনের চালায় আটকিয়ে হাত-পা ছুড়তে থাকে। এ সময় ম্যাডামকে ঘটনাটি বললে তিনি তখন বলেন ও এমনিতেই এমন করছে কোনো সমস্যা নাই। পরে আমরা পরিবারের সদস্যদের ডেকে এনে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে জিসানকে টিনের চালা থেকে নামিয়ে আনি।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীরা বলেন, বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট ছাত্রটিকে আমরা উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দিই।
বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার সাথে কথা হলে, তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি ক্লাসে ছিলাম, আমি টিনের চালায় জিসানকে উঠিয়ে দিইনি। তারা নিজেরাই উঠেছে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের হুমকির সুরে বলেন, আমার দুই ভাইও কিন্তু সাংবাদিক।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লা আল জুবায়ের বলেন, সকাল সাড়ে দশটার সময় জিসান নামের ছেলেটিকে হাসপাতালে আনলে বিপি ও পালস পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। থানায় খবর দেয়ার পরে পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ নিয়ে গিয়েছে।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা শুনেছি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রিন্ট