ঢাকা , সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo জাতীয় লেখক পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo সদরপুরে উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভা ও আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালকের অপসারণের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান Logo চাটমোহরে ৫ লক্ষাধিক টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস Logo নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা Logo বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদ ফরিদপুর সদর উপজেলা শাখার শরবত বিতরণ Logo মাগুরায় চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র তীর্থ রুদ্রর খুনের প্রধান আসামি গ্রেফতার Logo তানোরের কামারগাঁ ইউপি উপ-নির্বাচনে মসলেম এগিয়ে Logo বাংলাদেশ দূতাবাস ডেনমার্কে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকদের সাথে অশৌজন্য মূলক আচরণের প্রতিবাদে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর পরিচালক হুমায়ূন কবিরকে প্রত্যাহারের দাবি প্রেসক্লাবের 
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে গ্রামীণ ব্যাংকের গাছ বাণিজ্য

রাজশাহীর তানোরে  গ্রামীণ ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গাছের চারা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংকের হতদরিদ্র ঋণ গ্রহীতা গ্রাহকদের জিম্মি করে গাছের চারা কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। অন্যদিকে নোবেল বিজয়ী এই প্রতিষ্ঠানের চরম ইমেজ সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছে চারা কিনে গ্রাহকদের কাছে মাথা পিছু দুটি গাছের চারা দিয়ে একশ’ টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। অথচ বাজারে এসব চারা গাছের মুল্য ২০ থেকে ৩০ টাকা।

 

জানা গেছে, তানোর গ্রামীণ ব্যাংকের (সদর) শাখায় গ্রাহক রয়েছে প্রায় তিন হাজার। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, ঋণ গ্রহীতা প্রতিটি গ্রাহককে দুটি করে গাছের চারা কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। প্রতিটি চারার দাম নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা করে।

 

এ সময় দেখা যায় কয়েকজন গ্রাহক সকাল থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত বসে আছেন। গাছের চারা না নেয়ায় তাদের ঋণ দেয়া হয়নি। তারা বলেন, ৫০ টাকা সঞ্চয় বকেয়া থাকলে ঋণ দেয়া হয় না, তাহলে গাছ কেনো কিনতে হবে ? তানোর পৌর সদরের এক গ্রাহক জানান, গাছ না কিনলে ঋণ দিবে না, আমি ঋণ নিচ্ছি প্রয়োজনের তাগিদে। আর তারা সুযোগ বুঝে গাছের চারা বিক্রি শুরু করেছেন। যদি গাছের চারা প্রতি ২০ টাকা মুনাফা করা হয় তাহলে তিন হাজার গ্রাহকের কাছে ৬০ হাজার টাকা বানিজ্যে করা হচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান। ফলে তাদের এমন চারা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তিক্ষুন্ন ও ইমেজ সংকটের সৃষ্টি করেছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণ ব্যাংক তানোর শাখা (ম্যানেজার) ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম জানান, জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবের কারনে দেশে ব্যাপক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। এ জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বৃক্ষ রোপণের শুভ উদ্বোধন করে সকলকে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সেই মোতাবেক গ্রাহকদের মাঝে গাছ বিক্রি করা হচ্ছে। গাছ না কিনলে কোনভাবেই ঋন দিচ্ছেন না জানতে চাইলে তিনি জানান, বাধ্য করা হচ্ছে কথা সঠিক নয় তাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণ ব্যাংকের এরিয়া ম্যানেজার শুভঙ্কর বলেন, আমরা গাছ রোপণের জন্য গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করতে বলেছি, বিক্রি করে বলিনি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় লেখক পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

তানোরে গ্রামীণ ব্যাংকের গাছ বাণিজ্য

আপডেট টাইম : ০৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

রাজশাহীর তানোরে  গ্রামীণ ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গাছের চারা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংকের হতদরিদ্র ঋণ গ্রহীতা গ্রাহকদের জিম্মি করে গাছের চারা কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। অন্যদিকে নোবেল বিজয়ী এই প্রতিষ্ঠানের চরম ইমেজ সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছে চারা কিনে গ্রাহকদের কাছে মাথা পিছু দুটি গাছের চারা দিয়ে একশ’ টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। অথচ বাজারে এসব চারা গাছের মুল্য ২০ থেকে ৩০ টাকা।

 

জানা গেছে, তানোর গ্রামীণ ব্যাংকের (সদর) শাখায় গ্রাহক রয়েছে প্রায় তিন হাজার। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, ঋণ গ্রহীতা প্রতিটি গ্রাহককে দুটি করে গাছের চারা কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। প্রতিটি চারার দাম নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা করে।

 

এ সময় দেখা যায় কয়েকজন গ্রাহক সকাল থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত বসে আছেন। গাছের চারা না নেয়ায় তাদের ঋণ দেয়া হয়নি। তারা বলেন, ৫০ টাকা সঞ্চয় বকেয়া থাকলে ঋণ দেয়া হয় না, তাহলে গাছ কেনো কিনতে হবে ? তানোর পৌর সদরের এক গ্রাহক জানান, গাছ না কিনলে ঋণ দিবে না, আমি ঋণ নিচ্ছি প্রয়োজনের তাগিদে। আর তারা সুযোগ বুঝে গাছের চারা বিক্রি শুরু করেছেন। যদি গাছের চারা প্রতি ২০ টাকা মুনাফা করা হয় তাহলে তিন হাজার গ্রাহকের কাছে ৬০ হাজার টাকা বানিজ্যে করা হচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান। ফলে তাদের এমন চারা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তিক্ষুন্ন ও ইমেজ সংকটের সৃষ্টি করেছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণ ব্যাংক তানোর শাখা (ম্যানেজার) ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম জানান, জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবের কারনে দেশে ব্যাপক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। এ জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বৃক্ষ রোপণের শুভ উদ্বোধন করে সকলকে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সেই মোতাবেক গ্রাহকদের মাঝে গাছ বিক্রি করা হচ্ছে। গাছ না কিনলে কোনভাবেই ঋন দিচ্ছেন না জানতে চাইলে তিনি জানান, বাধ্য করা হচ্ছে কথা সঠিক নয় তাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণ ব্যাংকের এরিয়া ম্যানেজার শুভঙ্কর বলেন, আমরা গাছ রোপণের জন্য গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করতে বলেছি, বিক্রি করে বলিনি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।