ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লালপুরে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন Logo মুকসুদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মিয়া আটক Logo “এখনো গুলির শব্দ কানে বাজে” – শাহদৌলা সরকারি কলেজ কর্তৃক স্মরণ সভায় গুলি বিদ্ধ রনি আহমেদ Logo লালপুরে রেললাইনে ফাটল, ট্রেন চলাচলে ধীরগতি Logo লালপুরে পদ্মা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান Logo আমতলীতে শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ Logo বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলেন মেয়েরা, উদ্ধারের পর ইউএনওের তৎপরতা Logo দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিসের গাড়িবহর: মধ্যরাতে ইবিতে বিক্ষোভ Logo ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ঘোষণা, ১৪৪ ধারা জারি Logo ৪ মাসে ৩ শতাধিক আন্দোলন, দাবি আদায়ে এ কী কৌশল!
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোয়ালন্দে ওসির পদবী ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির (তদন্ত) পদবী ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। প্রতারক নিজের নাম মাসুদ বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু গোয়ালন্দ ঘাট থানার তদন্ত ওসির নাম উত্তম কুমার ঘোষ।
প্রতারক মাসুদ গোয়ালন্দ বাজার প্রধান সড়কে স্হাপিত এ জে ফ্যাশন হতে ৭ টি নতুন পোশাক হাতিয়ে নেয়। যার মূল্য ১২ হাজার টাকা। রবিবার (৩০ জুন) দুপুর ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ জে ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী ফয়সাল চৌধুরী জানান, রবিবার দুপুরে প্রতারক ব্যাক্তি (মাসুদ) তার দোকানে প্রবেশ করে পোশাক দেখতে থাকেন। এ সময় আমি দোকানের বাইরে ছিলাম। ওই ব্যাক্তি দোকান থেকে ৭ টি পোশাক পছন্দ করে দোকানের নারী সেলসম্যান জয়াকে বলে আমার ফোনে ফোন করতে। জয়া তার ফোন হতে আমাকে রিং করে আমার সাথে ওই প্রতারকের কথা বলিয়ে দেয়।
এ সময় সে নিজেকে থানার তদন্ত ওসি পরিচয় দিয়ে ৭ টি ড্রেস নিয়ে যাচ্ছে এবং সন্ধ্যায় এসে বিল পরিশোধ করবে বলে জানায়। আমি সরল বিশ্বাসে তাতে রাজি হই। কিন্তু সন্ধ্যায় সে ফিরে না আসাতে সন্দেহ হয়। এরপর বিষয়টি থানায় জানালে প্রতারণার বিষয়টি টের পাই। দোকানে অবস্থানকালীন তার কোমরে একটি ওয়াকিটকি, মুখে কালো রংয়ের মাস্ক এবং গায়ে কারো রংয়ের শার্ট পরিহিত ছিল।
এদিকে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এই প্রতারক (মাসুদ) গত শনিবার রাজবাড়ী শহরের একটি মুদি দোকানে গিয়ে নিজেকে ডিএসবির এসআই বলে পরিচয় দেয় এবং সেখান থেকে ৫/৭ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ জানান, প্রতারণার ঘটনাটি শোনার পর আমরা ঘটনাস্হল পরিদর্শন করি এবং দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখে প্রতারক ব্যাক্তিকে সনাক্তের চেষ্টা করছি। তবে এ বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন হওয়া দরকার। কেউ নিজেকে ওসি কিংবা অন্য কোন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিলেই  সেটা যাচাই না করে বিশ্বাস করতে হবে সেটা কিন্তু ঠিক না !

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লালপুরে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন

error: Content is protected !!

গোয়ালন্দে ওসির পদবী ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির (তদন্ত) পদবী ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। প্রতারক নিজের নাম মাসুদ বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু গোয়ালন্দ ঘাট থানার তদন্ত ওসির নাম উত্তম কুমার ঘোষ।
প্রতারক মাসুদ গোয়ালন্দ বাজার প্রধান সড়কে স্হাপিত এ জে ফ্যাশন হতে ৭ টি নতুন পোশাক হাতিয়ে নেয়। যার মূল্য ১২ হাজার টাকা। রবিবার (৩০ জুন) দুপুর ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ জে ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী ফয়সাল চৌধুরী জানান, রবিবার দুপুরে প্রতারক ব্যাক্তি (মাসুদ) তার দোকানে প্রবেশ করে পোশাক দেখতে থাকেন। এ সময় আমি দোকানের বাইরে ছিলাম। ওই ব্যাক্তি দোকান থেকে ৭ টি পোশাক পছন্দ করে দোকানের নারী সেলসম্যান জয়াকে বলে আমার ফোনে ফোন করতে। জয়া তার ফোন হতে আমাকে রিং করে আমার সাথে ওই প্রতারকের কথা বলিয়ে দেয়।
এ সময় সে নিজেকে থানার তদন্ত ওসি পরিচয় দিয়ে ৭ টি ড্রেস নিয়ে যাচ্ছে এবং সন্ধ্যায় এসে বিল পরিশোধ করবে বলে জানায়। আমি সরল বিশ্বাসে তাতে রাজি হই। কিন্তু সন্ধ্যায় সে ফিরে না আসাতে সন্দেহ হয়। এরপর বিষয়টি থানায় জানালে প্রতারণার বিষয়টি টের পাই। দোকানে অবস্থানকালীন তার কোমরে একটি ওয়াকিটকি, মুখে কালো রংয়ের মাস্ক এবং গায়ে কারো রংয়ের শার্ট পরিহিত ছিল।
এদিকে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এই প্রতারক (মাসুদ) গত শনিবার রাজবাড়ী শহরের একটি মুদি দোকানে গিয়ে নিজেকে ডিএসবির এসআই বলে পরিচয় দেয় এবং সেখান থেকে ৫/৭ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ জানান, প্রতারণার ঘটনাটি শোনার পর আমরা ঘটনাস্হল পরিদর্শন করি এবং দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখে প্রতারক ব্যাক্তিকে সনাক্তের চেষ্টা করছি। তবে এ বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন হওয়া দরকার। কেউ নিজেকে ওসি কিংবা অন্য কোন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিলেই  সেটা যাচাই না করে বিশ্বাস করতে হবে সেটা কিন্তু ঠিক না !

প্রিন্ট