ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুত্রবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলায় শ্বশুর রেজাউল মিয়াকে (৫০) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (০১ জুলাই) দুপুরের দিকে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী রেজাউল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার মোবারকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী মতিয়ার মিয়ার স্ত্রী রুমি খাতুন দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করতেন। স্বামী বিদেশে থাকেন, শ্বাশুড়ী মারা গেছেন দীর্ঘদিন আগে। বাড়িতে রুমি খাতুন, তার দুই সন্তান ও শ্বশুর থাকতেন।
স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে শ্বশুর রেজাউল মিয়া তাকে নানাভাবে কু-প্রস্তাব দিতো। রুমি খাতুন রাজি না হওয়ায় গত ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে শ্বশুর রেজাউল মিয়া তার ঘরে ঢুকে তার সন্তানের গলায় ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে রুমি খাতুন অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েন।
আত্মীয় স্বজনদের কাছে বলেও তিনি কোনো বিচার না পেয়ে পরবর্তীতে আদালতে মামলা দায়ের করেন। শুনানী ও সাক্ষী শেষে সোমবার আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট স্বপন পাল বলেন, দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালতের বিচারক শ্বশুর রেজাউল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এই রায়ে বাদী সহ আমরা খুশি।
প্রিন্ট