ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বোয়ালমারীতে দেউলিয়া মিলটির পাশেই নতুন জুটমিল প্রতিষ্ঠিত করেছেন পরিচালনাকারীরা Logo মাগুরায় শত্রুজিৎপুর নূরুল ইসলাম দাখিল মাদরাসায় জালিয়াতি করে চাকরির অভিযোগ Logo মুকসুদপুরে সাংবাদিক হায়দারের কুশপুত্তলিকা দাহ Logo মুকসুদপুরে যুবদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ Logo তানোরে সার চোরাচালানের মহোৎসব! Logo ফরিদপুরে ৫ দিনব্যাপী ৮৬১ ও ৮৬২ তম কাব স্কাউট ইউনিট লিডার বেসিক কোর্স উদ্বোধন Logo রূপগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Logo বালিয়াকান্দির ‘উকুন খোটা’ স্কুল এখন দেশসেরা হওয়ার অপেক্ষায় Logo তানোরের নারায়নপুর স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান Logo বাঘায় গলা কেটে হত্যা, নিহতের ভাইরা ভাই রায়হান গ্রেপ্তার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর শাখার ক্যাশিয়ারের জাল টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ

মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে জাল টাকা বাণিজ্যের অভ উঠেছে। প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগে ব্যাংক গ্রাহক  জানান, আমি মোছাঃ শিউলি বেগম (৫৩), স্বামীঃ মৃত শের আলী খান, সাং-টুপিপাড়া, থানাঃ শ্রীপুর, জেলাঃ মাগুরা। এই মর্মে আপনার বরাবর লিখিত ভাবে অভিযোগ করিতেছি যে, আমার সোনালী ব্যাংকে একটা একাউন্ট খোলা আছে প্রায় ৮/৯ বছর।
দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্যাংকে লেন দেন করে আসছি। কোন দিন এমন ঘটনা ঘটেনি। গত ২৩/০৬/২০২৪ ইং তারিখ সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় সোনালী ব্যাংক থেকে আমি ৭০,০০০/= (সত্তর হাজার) টাকা এত্তালন করি। সোনালী ব্যাংক থেকে আমাকে ৫০০ টাকার ১০০ টা নট আর ১০০০ হাজার টাকার ২০টা নট দুই বান্ডিল করে আমাকে দিয়েছিলো। আমি টাকা গুনে বের হয়ে অগ্রণী ব্যাংকে আমার ছেলের একাউন্টে গিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার আমাকে বলছে এই টাকা শকুন পাখী খেয়ে গেছে। আমি বল্লাম এই মাত্র সোনালী ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসলাম। উনি আমাকে বল্লেন আন্টি এই টাকাতো জাল, আপনি ওই সোনালী ব্যাংকে গিয়ে বলেন আপনারা জাল টাকা দিয়েছেন কেন। আমি অগ্রণী ব্যাংক থেকে বের হয়ে সোনালী ব্যাংকে আসি।
ওখানকার ক্যাশিয়ারকে বলি আমি একটা মহিলা মানুষ আপনি আমাকে জাল টাকা দিয়েছেন কেন। উনি আমার কাছ থেকে ১০০০ হাজার টাকার ২০টা নোট আমার কাছ থেকে নিয়ে চেক করে দেখে আমাকে আবারও ১০০০ হাজার টাকার নোট দিতে গিয়েছিলো, আমি উনাকে বল্লাম আমি ১০০০ হাজার টাকার নোট নিব না আপনি ৫০০ শত টাকার নোট দেন। উনি আমাকে ১টা ১০০০ হাজার টাকার নোট যেটা জাল সেটা আমার হাতে দিয়ে আর বাকী ১৯ হাজার টাকার ৫০০ টাকার নোট দিয়েছেন।
আমি উনাকে বল্লাম এই জাল ১০০০ হাজার টাকা আমি কি করবো, আপনারা আমাকে এই জাল টাকা দিয়েছেন, এখন বলছেন আমরা এই টাকা দিতে পারবো না। আমি উনাদের সাথে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেই যাচ্ছি তারা আমাকে বলে আপনার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে আপনি ওই দিকে যেয়ে বসেন। আমি তার পরেও অনেক বার বলছি ক্যাশিয়ারকে আপনারা আমার টাকা দিয়েছেন আপনারাই আমার টাকা দেবেন। অগ্রণী ব্যাংক থেকে জাল টাকা ফুটা করে দিয়েছিলো তাই সোনালী ব্যাংক থেকে সেই ফুটা টাকা নেবে না। পরে আমি কোন উপাই না পেয়ে আমার কাছ থেকে ১০০০ হাজার টাকা দিয়ে আমার ছেলেকে পাঠালাম।
এখন সোনালী ব্যাংক থেকে আমার নামে কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে যে, আমি নাকি বাড়ি থেকে জাল টাকা নিয়ে এসে উনাদের হেরাস করছি। এমতাবস্থায় আমি আমার মানসম্মান বাঁচানোর জন্য কোন উপাই না পেয়ে আপনার বরাবর হাজির হয়ে অভিযোগ করিতে বাধ্য হলাম।
অতএব, ঘটনার বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে মর্জি হয়। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর শাখার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের সাথে কথা বললে তারা জানান, ঐ গ্রাহক খামাখা ঝামেলা করছে। আমরা তাকে কোন জাল টাকা দিইনি।
ভুক্তভোগী গ্রাহক এ ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান, এমডি ও শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য যে এই ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে জাল টাকা কারবারিদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার অভিযোগ রয়েছে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালমারীতে দেউলিয়া মিলটির পাশেই নতুন জুটমিল প্রতিষ্ঠিত করেছেন পরিচালনাকারীরা

error: Content is protected !!

সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর শাখার ক্যাশিয়ারের জাল টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
মো: রনি আহমেদ রাজু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে জাল টাকা বাণিজ্যের অভ উঠেছে। প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগে ব্যাংক গ্রাহক  জানান, আমি মোছাঃ শিউলি বেগম (৫৩), স্বামীঃ মৃত শের আলী খান, সাং-টুপিপাড়া, থানাঃ শ্রীপুর, জেলাঃ মাগুরা। এই মর্মে আপনার বরাবর লিখিত ভাবে অভিযোগ করিতেছি যে, আমার সোনালী ব্যাংকে একটা একাউন্ট খোলা আছে প্রায় ৮/৯ বছর।
দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্যাংকে লেন দেন করে আসছি। কোন দিন এমন ঘটনা ঘটেনি। গত ২৩/০৬/২০২৪ ইং তারিখ সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় সোনালী ব্যাংক থেকে আমি ৭০,০০০/= (সত্তর হাজার) টাকা এত্তালন করি। সোনালী ব্যাংক থেকে আমাকে ৫০০ টাকার ১০০ টা নট আর ১০০০ হাজার টাকার ২০টা নট দুই বান্ডিল করে আমাকে দিয়েছিলো। আমি টাকা গুনে বের হয়ে অগ্রণী ব্যাংকে আমার ছেলের একাউন্টে গিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার আমাকে বলছে এই টাকা শকুন পাখী খেয়ে গেছে। আমি বল্লাম এই মাত্র সোনালী ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসলাম। উনি আমাকে বল্লেন আন্টি এই টাকাতো জাল, আপনি ওই সোনালী ব্যাংকে গিয়ে বলেন আপনারা জাল টাকা দিয়েছেন কেন। আমি অগ্রণী ব্যাংক থেকে বের হয়ে সোনালী ব্যাংকে আসি।
ওখানকার ক্যাশিয়ারকে বলি আমি একটা মহিলা মানুষ আপনি আমাকে জাল টাকা দিয়েছেন কেন। উনি আমার কাছ থেকে ১০০০ হাজার টাকার ২০টা নোট আমার কাছ থেকে নিয়ে চেক করে দেখে আমাকে আবারও ১০০০ হাজার টাকার নোট দিতে গিয়েছিলো, আমি উনাকে বল্লাম আমি ১০০০ হাজার টাকার নোট নিব না আপনি ৫০০ শত টাকার নোট দেন। উনি আমাকে ১টা ১০০০ হাজার টাকার নোট যেটা জাল সেটা আমার হাতে দিয়ে আর বাকী ১৯ হাজার টাকার ৫০০ টাকার নোট দিয়েছেন।
আমি উনাকে বল্লাম এই জাল ১০০০ হাজার টাকা আমি কি করবো, আপনারা আমাকে এই জাল টাকা দিয়েছেন, এখন বলছেন আমরা এই টাকা দিতে পারবো না। আমি উনাদের সাথে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেই যাচ্ছি তারা আমাকে বলে আপনার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে আপনি ওই দিকে যেয়ে বসেন। আমি তার পরেও অনেক বার বলছি ক্যাশিয়ারকে আপনারা আমার টাকা দিয়েছেন আপনারাই আমার টাকা দেবেন। অগ্রণী ব্যাংক থেকে জাল টাকা ফুটা করে দিয়েছিলো তাই সোনালী ব্যাংক থেকে সেই ফুটা টাকা নেবে না। পরে আমি কোন উপাই না পেয়ে আমার কাছ থেকে ১০০০ হাজার টাকা দিয়ে আমার ছেলেকে পাঠালাম।
এখন সোনালী ব্যাংক থেকে আমার নামে কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে যে, আমি নাকি বাড়ি থেকে জাল টাকা নিয়ে এসে উনাদের হেরাস করছি। এমতাবস্থায় আমি আমার মানসম্মান বাঁচানোর জন্য কোন উপাই না পেয়ে আপনার বরাবর হাজির হয়ে অভিযোগ করিতে বাধ্য হলাম।
অতএব, ঘটনার বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে মর্জি হয়। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর শাখার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের সাথে কথা বললে তারা জানান, ঐ গ্রাহক খামাখা ঝামেলা করছে। আমরা তাকে কোন জাল টাকা দিইনি।
ভুক্তভোগী গ্রাহক এ ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান, এমডি ও শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য যে এই ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে জাল টাকা কারবারিদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার অভিযোগ রয়েছে।

প্রিন্ট