ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভায় মহিলা লীগ নেত্রী, দিলেন বক্তব্যও Logo মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রোগী কর্তৃক অগ্নিসংযোগ ও অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর Logo সদরপুরে হেরোইনসহ যুবক আটক Logo নাটোরের বড়াইগ্রামে শয়নকক্ষ থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo মধুখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সেই ভ্যানের দুই যাত্রীর মৃত্যু Logo ক্লিন ইমেজের প্রার্থীর খোঁজে বিএনপি রাজশাহী-১ আলোচনায় যারা Logo দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানায় ওপেন হাউজ-ডে অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন কমিটি গঠন Logo বসতভিটায় মিন্টুর শখের বাগান Logo ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের গ্রেপ্তার এবং গাজা গণহত্যায় বন্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর শাখার ক্যাশিয়ারের জাল টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ

মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে জাল টাকা বাণিজ্যের অভ উঠেছে। প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগে ব্যাংক গ্রাহক  জানান, আমি মোছাঃ শিউলি বেগম (৫৩), স্বামীঃ মৃত শের আলী খান, সাং-টুপিপাড়া, থানাঃ শ্রীপুর, জেলাঃ মাগুরা। এই মর্মে আপনার বরাবর লিখিত ভাবে অভিযোগ করিতেছি যে, আমার সোনালী ব্যাংকে একটা একাউন্ট খোলা আছে প্রায় ৮/৯ বছর।
দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্যাংকে লেন দেন করে আসছি। কোন দিন এমন ঘটনা ঘটেনি। গত ২৩/০৬/২০২৪ ইং তারিখ সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় সোনালী ব্যাংক থেকে আমি ৭০,০০০/= (সত্তর হাজার) টাকা এত্তালন করি। সোনালী ব্যাংক থেকে আমাকে ৫০০ টাকার ১০০ টা নট আর ১০০০ হাজার টাকার ২০টা নট দুই বান্ডিল করে আমাকে দিয়েছিলো। আমি টাকা গুনে বের হয়ে অগ্রণী ব্যাংকে আমার ছেলের একাউন্টে গিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার আমাকে বলছে এই টাকা শকুন পাখী খেয়ে গেছে। আমি বল্লাম এই মাত্র সোনালী ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসলাম। উনি আমাকে বল্লেন আন্টি এই টাকাতো জাল, আপনি ওই সোনালী ব্যাংকে গিয়ে বলেন আপনারা জাল টাকা দিয়েছেন কেন। আমি অগ্রণী ব্যাংক থেকে বের হয়ে সোনালী ব্যাংকে আসি।
ওখানকার ক্যাশিয়ারকে বলি আমি একটা মহিলা মানুষ আপনি আমাকে জাল টাকা দিয়েছেন কেন। উনি আমার কাছ থেকে ১০০০ হাজার টাকার ২০টা নোট আমার কাছ থেকে নিয়ে চেক করে দেখে আমাকে আবারও ১০০০ হাজার টাকার নোট দিতে গিয়েছিলো, আমি উনাকে বল্লাম আমি ১০০০ হাজার টাকার নোট নিব না আপনি ৫০০ শত টাকার নোট দেন। উনি আমাকে ১টা ১০০০ হাজার টাকার নোট যেটা জাল সেটা আমার হাতে দিয়ে আর বাকী ১৯ হাজার টাকার ৫০০ টাকার নোট দিয়েছেন।
আমি উনাকে বল্লাম এই জাল ১০০০ হাজার টাকা আমি কি করবো, আপনারা আমাকে এই জাল টাকা দিয়েছেন, এখন বলছেন আমরা এই টাকা দিতে পারবো না। আমি উনাদের সাথে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেই যাচ্ছি তারা আমাকে বলে আপনার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে আপনি ওই দিকে যেয়ে বসেন। আমি তার পরেও অনেক বার বলছি ক্যাশিয়ারকে আপনারা আমার টাকা দিয়েছেন আপনারাই আমার টাকা দেবেন। অগ্রণী ব্যাংক থেকে জাল টাকা ফুটা করে দিয়েছিলো তাই সোনালী ব্যাংক থেকে সেই ফুটা টাকা নেবে না। পরে আমি কোন উপাই না পেয়ে আমার কাছ থেকে ১০০০ হাজার টাকা দিয়ে আমার ছেলেকে পাঠালাম।
এখন সোনালী ব্যাংক থেকে আমার নামে কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে যে, আমি নাকি বাড়ি থেকে জাল টাকা নিয়ে এসে উনাদের হেরাস করছি। এমতাবস্থায় আমি আমার মানসম্মান বাঁচানোর জন্য কোন উপাই না পেয়ে আপনার বরাবর হাজির হয়ে অভিযোগ করিতে বাধ্য হলাম।
অতএব, ঘটনার বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে মর্জি হয়। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর শাখার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের সাথে কথা বললে তারা জানান, ঐ গ্রাহক খামাখা ঝামেলা করছে। আমরা তাকে কোন জাল টাকা দিইনি।
ভুক্তভোগী গ্রাহক এ ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান, এমডি ও শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য যে এই ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে জাল টাকা কারবারিদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার অভিযোগ রয়েছে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভায় মহিলা লীগ নেত্রী, দিলেন বক্তব্যও

error: Content is protected !!

সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর শাখার ক্যাশিয়ারের জাল টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
মো: রনি আহমেদ রাজু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে জাল টাকা বাণিজ্যের অভ উঠেছে। প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগে ব্যাংক গ্রাহক  জানান, আমি মোছাঃ শিউলি বেগম (৫৩), স্বামীঃ মৃত শের আলী খান, সাং-টুপিপাড়া, থানাঃ শ্রীপুর, জেলাঃ মাগুরা। এই মর্মে আপনার বরাবর লিখিত ভাবে অভিযোগ করিতেছি যে, আমার সোনালী ব্যাংকে একটা একাউন্ট খোলা আছে প্রায় ৮/৯ বছর।
দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্যাংকে লেন দেন করে আসছি। কোন দিন এমন ঘটনা ঘটেনি। গত ২৩/০৬/২০২৪ ইং তারিখ সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় সোনালী ব্যাংক থেকে আমি ৭০,০০০/= (সত্তর হাজার) টাকা এত্তালন করি। সোনালী ব্যাংক থেকে আমাকে ৫০০ টাকার ১০০ টা নট আর ১০০০ হাজার টাকার ২০টা নট দুই বান্ডিল করে আমাকে দিয়েছিলো। আমি টাকা গুনে বের হয়ে অগ্রণী ব্যাংকে আমার ছেলের একাউন্টে গিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার আমাকে বলছে এই টাকা শকুন পাখী খেয়ে গেছে। আমি বল্লাম এই মাত্র সোনালী ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসলাম। উনি আমাকে বল্লেন আন্টি এই টাকাতো জাল, আপনি ওই সোনালী ব্যাংকে গিয়ে বলেন আপনারা জাল টাকা দিয়েছেন কেন। আমি অগ্রণী ব্যাংক থেকে বের হয়ে সোনালী ব্যাংকে আসি।
ওখানকার ক্যাশিয়ারকে বলি আমি একটা মহিলা মানুষ আপনি আমাকে জাল টাকা দিয়েছেন কেন। উনি আমার কাছ থেকে ১০০০ হাজার টাকার ২০টা নোট আমার কাছ থেকে নিয়ে চেক করে দেখে আমাকে আবারও ১০০০ হাজার টাকার নোট দিতে গিয়েছিলো, আমি উনাকে বল্লাম আমি ১০০০ হাজার টাকার নোট নিব না আপনি ৫০০ শত টাকার নোট দেন। উনি আমাকে ১টা ১০০০ হাজার টাকার নোট যেটা জাল সেটা আমার হাতে দিয়ে আর বাকী ১৯ হাজার টাকার ৫০০ টাকার নোট দিয়েছেন।
আমি উনাকে বল্লাম এই জাল ১০০০ হাজার টাকা আমি কি করবো, আপনারা আমাকে এই জাল টাকা দিয়েছেন, এখন বলছেন আমরা এই টাকা দিতে পারবো না। আমি উনাদের সাথে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেই যাচ্ছি তারা আমাকে বলে আপনার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে আপনি ওই দিকে যেয়ে বসেন। আমি তার পরেও অনেক বার বলছি ক্যাশিয়ারকে আপনারা আমার টাকা দিয়েছেন আপনারাই আমার টাকা দেবেন। অগ্রণী ব্যাংক থেকে জাল টাকা ফুটা করে দিয়েছিলো তাই সোনালী ব্যাংক থেকে সেই ফুটা টাকা নেবে না। পরে আমি কোন উপাই না পেয়ে আমার কাছ থেকে ১০০০ হাজার টাকা দিয়ে আমার ছেলেকে পাঠালাম।
এখন সোনালী ব্যাংক থেকে আমার নামে কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে যে, আমি নাকি বাড়ি থেকে জাল টাকা নিয়ে এসে উনাদের হেরাস করছি। এমতাবস্থায় আমি আমার মানসম্মান বাঁচানোর জন্য কোন উপাই না পেয়ে আপনার বরাবর হাজির হয়ে অভিযোগ করিতে বাধ্য হলাম।
অতএব, ঘটনার বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে মর্জি হয়। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর শাখার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের সাথে কথা বললে তারা জানান, ঐ গ্রাহক খামাখা ঝামেলা করছে। আমরা তাকে কোন জাল টাকা দিইনি।
ভুক্তভোগী গ্রাহক এ ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান, এমডি ও শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য যে এই ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে জাল টাকা কারবারিদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার অভিযোগ রয়েছে।

প্রিন্ট