বিভিন্ন কারণে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক হয়রানি। তার উপরে যদি বিল কারসাজি করে বাড়ানো হয় প্রতিমাসে, তাহলেতো সাধারণ মানুষের বিপদের অন্ত নেই। এগুলো কোনো মনগড়া গল্প নয়। দেশের বিভিন্ন যায়গার মতো কিছুদিন আগেই নরসিংদির শিবপুরে এমন একটি ঘটনা সরাসরি ধরা হয়। পরে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারও হয়। আবারো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার নরসিংদী সদরের পশ্চিম কান্দাপাড়ায় আলম মৃধা নামে এক গ্রাহকের বাড়িতে ঘটেছে বিল কারসাজির ঘটনা।
ওই বাড়িতে মাত্র একটা ফ্রিজ, একটা ফ্যান, ৩ ওয়াটের একটা বাতি চলে। হাবেজা বেগম নামে এক বৃদ্ধা মহিলা বসবাস করেন সেখানে। তবে উনি বাড়িতে খুব একটা থাকেন না এমনটাই স্বীকার করেন মিটার রিডার নাজমুল ইসলাম। কারণ তার মেয়ে ও ছেলের বাড়িতেই থাকেন অধিকাংশ সময়। তবুও বিদ্যুৎ বিল মাসে ১০০ ইউনিট !
নাজমুল ইসলাম স্বীকার করে বলেন, দুইদিন আগে আমি বিল লেখে নিয়ে গেছি ওই বাড়িতে দুই দিনে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় ১৭ ইউনিট। তার কথা অনুযায়ী এক মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ার কথা ২৫৫ ইউনিট। তাহলে কিভাবে মনগড়া মত বিদ্যুৎ ইউনিট লেখা হয় ১০০ ইউনিট।
জনমনে প্রশ্ন, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ তাদের মনগড়া মত মিটারের ইউনিট থেকে অতিরিক্ত বিল বানিয়ে জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
গত (২৩ জুন) ওই বাড়িতে গতমাসের বিদ্যুৎ বিল ৭০ ইউনিট, তার আগের মাসে ১০০ ইউনিট, এই মাসে পুনরায় ১০০ ইউনিট দেখে সন্দেহ হয় সবার। সবমিলিয়ে বিদ্যুৎ বিল ১৩৫৩ টাকা। আর জরিমানা সহ ১৩৮৮ টাকা। অবশেষে ক্ষিপ্ত হয়ে মাঠকর্মীকে আটক করে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে হাজির হন অফিসের কর্তারা।
এ বিষয়ে জানতে, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম মনোয়ার মোরশেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
- আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে!
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুতের সমিতি -২ এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ৫০ হাজার। এর মানে নরসিংদী জেলাতে গ্রাহকের পরিমাণ প্রায় ৮ লক্ষ। নরসিংদী জেলা থেকে দুর্নীতি করে পল্লী বিদ্যুৎ হাতিয়ে নিচ্ছে জনগণের কোটি কোটি টাকা। সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা নরসিংদীর জেলার সচেতন মহলের।
প্রিন্ট