রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার চরাঞ্চলে দু একটা রাসেল’স ভাইপার থাকলেও বিভিন্ন মিডিয়া প্রচারনা তা অনেকগুন বেড়ে গেছে। ফলে কালুখালীর মানুষ এর আতংকে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গুজব ছড়ানোর কারনে অনেক জায়গায় ফসল পরিচর্যার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। হাট বাজার, চা দোকান সর্বত্র চলছে রাসেল’স ভাইপার এর গুজব ছড়ানো গল্প।
প্রথম ২০২০ সালে কালুখালীর লস্করদিয়া নায়াপুর চরে রাসেল’স ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপের সন্ধান মেলে। ওই সময় সাপটি মারতে গেলে কালুখালী প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাপটি না মারার জন্য চরের মানুষদের অনুরোধ করেন। তারা সাপটি জীবীত ধরে। পরে তা কালুখালীর সর্প খামারে পালন করতে দেয়। এর ২ বছর পর ২০২২ সালে বেলগাছীর পুরাতন বাজার এলাকায় এক জেলের মাছ ধরা দুয়ারীতে ১টি রাসেল’স ভাইপার ধরা পরে। সেটি ধরার পরই স্থানীয়রা সাপটি মেরে মাটিতে পুতে রাখে। এরপর আর কখনো কালুখালীর চরাঞ্চলে রাসেল’স ভাইপার বা চন্দ্র বোড়া সাপের দেখা মেলেনি। তারপর প্রতিদিন নদীর স্রোতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সাপ আতংক।
সোমবার বিকেলে কালুখালীর নজরুলের চা দোকানে গল্প চলছিলো রাসেল’স ভাইপার নিয়ে। গল্পে অংশগ্রহনকারীদের বয়স ৫০ থেকে ৭০ বছর। তারা জানায়, জীবনে এ সাপ দেখিনি। মোবাইলে দেখছি তাই ভয় লাগে।
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া আফরোজ জানান, আদিকাল থেকেই চন্দ্রবোড়া সাপ আমাদের দেশে আছে। এ নিয়ে আতংকিত হবার কিছু নেই। কালুখালীর বিভিন্ন এলাকায় রাসেল’স ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ খোজা হচ্ছে কিন্তু দেখা মেলেনি।
কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা ইশরাত জাহান উম্মন জানান, সাপে দংশন করা রোগী পেয়েছি কিন্তু রাসেল’স ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপের রোগী পাইনি। এ সাপে কারো কামড় দিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি ।
তিনি জানান, কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত এন্টি বেনম আছে। সময় মতো হাসপাতালে আনলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। তিনি বলেন, সাপে কামড় দিলে ক্ষতস্থান নাড়াচাড়া, ধুয়া মুছা না করে হাসপাতালে আনলে বেশি ভালো হয়।
প্রিন্ট