ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মাদ্রাসাছাত্রীর (১৫) গর্ভপাতের ঘটনায় মিজানুর রহমান (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী। রোববার রাতে ওই ব্যক্তিকে পুলিশে দেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দারা। ভুক্তভোগীর মায়ের মামলায় মিজানুরকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালে মিজানুরের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় ভুক্তভোগীর মায়ের। শ্বশুরবাড়িতেই থাকত সে। পাঁচ মাস আগে ফাঁকা বাড়িতে স্ত্রীর প্রথম পক্ষের কিশোরী মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে মিজানুর। কাউকে জানালে হত্যারও হুমকি দেয়।
পরে মেয়েটির পেটে ব্যথা শুরু হয়। রোববার সকালে তাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান মা ও সৎ বাবা। এতে জানা যায়, মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তখন তাকে ওষুধ সেবন করিয়ে গর্ভপাত করানো হয়। রাতেই বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী মিজানুরকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ এলে তাকে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে সোমবার সকালে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মিজানুরকে আজ সােমবার ১০ জুন দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আকিবুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে
প্রিন্ট