ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বালিয়াকান্দিতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত Logo শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা: হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড, খালাস ৩ Logo সংযুক্ত আরব আমিরাতে আ.লীগ নেতাদের সম্পদের পাহাড়, টাকা ফেরত দিতে ইতিবাচক সাড়া Logo ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র Logo ছাড়া পেয়ে সাংবাদিকদের যা বললেন উপদেষ্টার মাথায় বোতল ছুড়ে মারা সেই শিক্ষার্থী Logo গোমস্তাপুরে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু Logo সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক ‌ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ Logo কিশোর গ্যাংদের কোপে দুই কিশোর নিহতের ঘটনার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo ৪০ রোহিঙ্গাকে সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে ভারত! Logo মঙ্গলকোট থানার লাখুড়িয়ায় শান্তির খোঁজে বসছে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

থানায় হামলাঃ কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা ১২ জন আহতরা পুলিশ হেফাজতে

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় হামলাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় ১২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ।

এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ একজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। বিষয়টি ডেইলি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা।

শৈলকুপা থানায় হামলার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন-শৈলকুপা থানার ধাওড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ (৬১), আলী আকবর (২০), জান্নাত হোসেন (২৮), মুহিম শিকদার (১৭), রাজিব (১৯), হারুন (৩৫), কুতুব উদ্দিন (২২), আ. ওহাব আলী (৫২), সাব্বির হোসেন (১৭), আলামিন (৩০), আকরাম হোসেন (৩৮) ও আব্দুস সালাম (৬৭)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহতরা বিকেলে একের পর এক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আসতে থাকে। আঘাত প্রাপ্তরা সবাই রক্তাক্ত ছিলেন। ১৩ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কেউ জরুরি বিভাগে আবার কেউ ওয়ার্ডে ভর্তি হন। এর কিছু পরই পুলিশ হাসপাতালে এসে তাদের ঘিরে রাখে। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনকে চিকিৎসকরা ঢাকায় পাঠান হয়েছ।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, গুরুত্বর অবস্থায় ফিরোজ শিকদার নামে গুলিবিদ্ধ একজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে কতজন ভর্তি হয়েছেন এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে শৈলকুপার ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মোস্তাক সিকদারকে এক মামলায় আটক করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সমর্থকরা বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য ও কমপক্ষে ২০ হামলাকারী আহত হন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ জানান, শৈলকুপা থানা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তাদের আটক করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু এটা অন্য জেলার ঘটনা সেহেতু আহতদের কেউ হামলায় জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

বালিয়াকান্দিতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত

error: Content is protected !!

থানায় হামলাঃ কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা ১২ জন আহতরা পুলিশ হেফাজতে

আপডেট টাইম : ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, ষ্টাফ রিপোর্টার :
ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় হামলাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় ১২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ।

এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ একজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। বিষয়টি ডেইলি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা।

শৈলকুপা থানায় হামলার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন-শৈলকুপা থানার ধাওড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ (৬১), আলী আকবর (২০), জান্নাত হোসেন (২৮), মুহিম শিকদার (১৭), রাজিব (১৯), হারুন (৩৫), কুতুব উদ্দিন (২২), আ. ওহাব আলী (৫২), সাব্বির হোসেন (১৭), আলামিন (৩০), আকরাম হোসেন (৩৮) ও আব্দুস সালাম (৬৭)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহতরা বিকেলে একের পর এক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আসতে থাকে। আঘাত প্রাপ্তরা সবাই রক্তাক্ত ছিলেন। ১৩ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কেউ জরুরি বিভাগে আবার কেউ ওয়ার্ডে ভর্তি হন। এর কিছু পরই পুলিশ হাসপাতালে এসে তাদের ঘিরে রাখে। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনকে চিকিৎসকরা ঢাকায় পাঠান হয়েছ।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, গুরুত্বর অবস্থায় ফিরোজ শিকদার নামে গুলিবিদ্ধ একজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে কতজন ভর্তি হয়েছেন এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে শৈলকুপার ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মোস্তাক সিকদারকে এক মামলায় আটক করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সমর্থকরা বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য ও কমপক্ষে ২০ হামলাকারী আহত হন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ জানান, শৈলকুপা থানা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তাদের আটক করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু এটা অন্য জেলার ঘটনা সেহেতু আহতদের কেউ হামলায় জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট