ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাঘায় মালিকবিহীন দুই মোটরসাইকেল জব্দ

 পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মালিকানার দাবি মাদক ব্যবসায়ীর

রাজশাহীর বাঘায় গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মালিকবিহীন দু’টি মোটরসাইকেল জব্দের পর একজন একটি মোটরসাইকেল নিজের বলে দাবি করেছেন। সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে মোটরসাইকেলটি নিজের দাবি করে পুলিশের বিরুদ্ধে উৎকোচ না দেওয়ায় বাড়ির গেটের সামনে থেকে মোটর সাইকেলটি তুলে আনার অভিযোগ তুলেছেন রয়েল ওরফে রুহেল(২৬)। সে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোত কাদিরপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। পরে রয়েলের অবৈধ ব্যবসার তথ্য বেরিয়ে আসে।
পুলিশ জানায়, থানায় রয়েলের বিরুদ্ধে মাদক, মারামারি ও চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। নিজের অপকর্মের মামলা থেকে বাঁচার কৌশল হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তুলেছেন। রয়েলসহ অপর এক সহযোগী এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি পুলিশের। রয়েলের ফেন্সিডিল বিক্রিয়ের একটি ভিডিও সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরল ইসলাম জানান, গত ১৪ মে পাকুড়িয়া এলাকায় ডিউটি করছিলেন। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে,পাকুড়িয়া বেলালের মোড় হতে দক্ষিন-পূর্ব পাশে পদ্মা নদীতে নামার রাস্তায় দু’টি মোটর সাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে মালিকের সন্ধান না পেয়ে মোটর সাইকেল দুটি জব্দ করে বিধি মোতাবেক  মালিকানা যাচাইয়ের জন্য ডায়রিভুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মাদক নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার কারণেই মোটর সাইকেল দুটি ফেলে রেখে যায় বলে ধারনা করা হয়।
পরে নিজেকে নিরাপদ দাবি করে রাজশাহীর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন এবং গত ৭ জুন শহরের একটি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ করেন রয়েল। এসআই শাহনেওয়াজ বলেন,আমি ওই সময় এলাকায় ছিলাম না। অথচ আমাকে জড়িয়েও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। এধরনের   অভিযোগ মাদক ও চোরাকারবারীর অপকৌশল বলে দাবি তার।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)  আমিনুল ইসলাম জানান, রয়েল বাঘা থানার একজন তালিকা ভুক্ত ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে থানায় একাধিক মাদক মামলাসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে। গত ১৪ মে রয়েলসহ তার সহযোগীর ফেন্সিডিল পাচারের বিষয়টি জানতে পেরে থানার এক পুলিশ অফিসার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পাকুড়িয়া সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিলে দু’টি মোটরসাইকেল ফেলে রেখে মাদক নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। সর্বশেষ গত ১৭ মার্চ একশত বোতল ফেন্সিডিল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে রয়েলের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি। তবে কেউ মিথ্যা অভিযোগে ফেঁসে না যায়,সে বিষয়গুলোও তদন্ত করে দেখা হবে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বাঘায় মালিকবিহীন দুই মোটরসাইকেল জব্দ

আপডেট টাইম : ১০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
রাজশাহীর বাঘায় গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মালিকবিহীন দু’টি মোটরসাইকেল জব্দের পর একজন একটি মোটরসাইকেল নিজের বলে দাবি করেছেন। সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে মোটরসাইকেলটি নিজের দাবি করে পুলিশের বিরুদ্ধে উৎকোচ না দেওয়ায় বাড়ির গেটের সামনে থেকে মোটর সাইকেলটি তুলে আনার অভিযোগ তুলেছেন রয়েল ওরফে রুহেল(২৬)। সে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোত কাদিরপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। পরে রয়েলের অবৈধ ব্যবসার তথ্য বেরিয়ে আসে।
পুলিশ জানায়, থানায় রয়েলের বিরুদ্ধে মাদক, মারামারি ও চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। নিজের অপকর্মের মামলা থেকে বাঁচার কৌশল হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তুলেছেন। রয়েলসহ অপর এক সহযোগী এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি পুলিশের। রয়েলের ফেন্সিডিল বিক্রিয়ের একটি ভিডিও সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরল ইসলাম জানান, গত ১৪ মে পাকুড়িয়া এলাকায় ডিউটি করছিলেন। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে,পাকুড়িয়া বেলালের মোড় হতে দক্ষিন-পূর্ব পাশে পদ্মা নদীতে নামার রাস্তায় দু’টি মোটর সাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে মালিকের সন্ধান না পেয়ে মোটর সাইকেল দুটি জব্দ করে বিধি মোতাবেক  মালিকানা যাচাইয়ের জন্য ডায়রিভুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মাদক নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার কারণেই মোটর সাইকেল দুটি ফেলে রেখে যায় বলে ধারনা করা হয়।
পরে নিজেকে নিরাপদ দাবি করে রাজশাহীর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন এবং গত ৭ জুন শহরের একটি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ করেন রয়েল। এসআই শাহনেওয়াজ বলেন,আমি ওই সময় এলাকায় ছিলাম না। অথচ আমাকে জড়িয়েও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। এধরনের   অভিযোগ মাদক ও চোরাকারবারীর অপকৌশল বলে দাবি তার।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)  আমিনুল ইসলাম জানান, রয়েল বাঘা থানার একজন তালিকা ভুক্ত ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে থানায় একাধিক মাদক মামলাসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে। গত ১৪ মে রয়েলসহ তার সহযোগীর ফেন্সিডিল পাচারের বিষয়টি জানতে পেরে থানার এক পুলিশ অফিসার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পাকুড়িয়া সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিলে দু’টি মোটরসাইকেল ফেলে রেখে মাদক নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। সর্বশেষ গত ১৭ মার্চ একশত বোতল ফেন্সিডিল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে রয়েলের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি। তবে কেউ মিথ্যা অভিযোগে ফেঁসে না যায়,সে বিষয়গুলোও তদন্ত করে দেখা হবে।