ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বাঘায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আফজালের দাফন সম্পন্ন Logo লালপুরে অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যার প্রতিবাদ ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ Logo সদরপুরে এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo নাটোরে ছিনতাইকালে ৫ নারী ছিনতাইকারী আটক Logo আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে আম বাগান ও কালাইখেত গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ Logo আলফাডাঙ্গা ব্রিক্স ফিল্ডে ইট পুড়ানোর শুভ সূচনা Logo আমতলীতে উপজেলা জামায়েত আমীরের শপথ গ্রহন Logo ইসকন নিষিদ্ধ ও সাইফুল হত্যার বিচারের দাবীতে সালথায় বিক্ষোভ মিছিল Logo রূপগঞ্জে অটোরিক্সা চালক বাবুল হত্যায় জড়িত ৫ জন গ্রেপ্তার, অটোরিক্সা উদ্ধার Logo ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে কালুখালীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী যা বললেন

-ছবি প্রতীকী।

রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি পুলিশ কনস্টেবল কাওসার আহমেদের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। কাওসার উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দাড়েরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর ছেলে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হায়াত আলী ছেলের ঘটনার বিষয়ে আজ রোববার বেলা তিনটা পর্যন্ত কিছুই জানেন না।

বেলা   ৩ টা ১৫ মিনিটের দিকে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে প্রায় ১৬ মিনিট কথা হয় কাওসারের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিনের। স্বামীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন তিনি।

নিলুফার ভাষ্য, তাঁর স্বামীর ঘটনার বিষয়ে গতকাল শনিবার রাত তিনটার দিকে জানতে পারেন। ঢাকা থেকে আমজাদ হোসেন নামে পুলিশের এক কর্মকর্তা মুঠোফোনে বিষয়টি তাঁকে জানান। এ ঘটনা জানার পর তিনি তাঁর শ্বশুর হায়াত আলীকে জানাননি। তাঁর শ্বশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বয়স ৮০ বছর। ছেলের এ ঘটনা জানলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, এ জন্য তাঁকে জানানো হয়নি। তবে শাশুড়ি মাবিয়া খাতুনকে জানিয়েছেন নিলুফা।  কাওসারের দুই সন্তান আছে।

২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৬ সালের মাঝামাঝি তিনি বিয়ে করেন। সংসারে কোনো ঝামেলা বা কলহ নেই বলে জানালেন স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, শনিবার রাত আটটার দিকে সর্বশেষ কাওসার তাঁর মা–বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল বিকেলের দিকে। সে সময় কাওসার বলেছিলেন, ঈদের ছুটি নেওয়ার জন্য ৪ তারিখ আবেদন করেছেন। এবার ঈদে বাড়িতে আসবেন।

নিলুফা বললেন, ‘কাওসারের মানসিক সমস্যা ছিল। রাঙামাটির বরকলে চাকরি করার সময় তিনি মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এরপর বিভিন্ন সময় সরকারিভাবেই তাঁকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে অন্তত তিনবার চিকিৎসা করানো হয়েছিল। নিয়মিত ওষুধও সেবন করতেন। কাওসারের কাছে প্রেসক্রিপশনও আছে।’

তবে কাওসার গুলি করে সহকর্মীকে হত্যা করতে পারেন, তা বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁর স্ত্রী। নিলুফা বলেন, ‘আমার এখনো বিশ্বস হচ্ছে না যে গুলি করার মতো কোনো ঘটনা তিনি ঘটাতে পারেন। কীভাবে কী হয়েছে, সেটা বুঝতেছি না।’

কথার একপর্যায়ে নিলুফা জানালেন, কিছুদিন ধরে কাওসার খুবই কম কথা বলতেন। ঈদের কেনাকাটার জন্য বাড়িতে টাকাও পাঠিয়েছিলেন। সংসারে কোনো অভাব–অনটন ছিল না। তবে চাকরি নিয়ে খুবই টেনশন করেন তিনি। ছয় ঘণ্টার ডিউটি আট ঘণ্টা হতো। এ ছাড়া নানা বিষয় নিয়ে তিনি (কাওসার) টেনশন করতেন। এ ছাড়া তেমন কিছু জানা নেই।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাঘায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আফজালের দাফন সম্পন্ন

error: Content is protected !!

সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী যা বললেন

আপডেট টাইম : ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
মোঃ জিয়াউর রহমান দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি পুলিশ কনস্টেবল কাওসার আহমেদের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। কাওসার উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দাড়েরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর ছেলে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হায়াত আলী ছেলের ঘটনার বিষয়ে আজ রোববার বেলা তিনটা পর্যন্ত কিছুই জানেন না।

বেলা   ৩ টা ১৫ মিনিটের দিকে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে প্রায় ১৬ মিনিট কথা হয় কাওসারের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিনের। স্বামীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন তিনি।

নিলুফার ভাষ্য, তাঁর স্বামীর ঘটনার বিষয়ে গতকাল শনিবার রাত তিনটার দিকে জানতে পারেন। ঢাকা থেকে আমজাদ হোসেন নামে পুলিশের এক কর্মকর্তা মুঠোফোনে বিষয়টি তাঁকে জানান। এ ঘটনা জানার পর তিনি তাঁর শ্বশুর হায়াত আলীকে জানাননি। তাঁর শ্বশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বয়স ৮০ বছর। ছেলের এ ঘটনা জানলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, এ জন্য তাঁকে জানানো হয়নি। তবে শাশুড়ি মাবিয়া খাতুনকে জানিয়েছেন নিলুফা।  কাওসারের দুই সন্তান আছে।

২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৬ সালের মাঝামাঝি তিনি বিয়ে করেন। সংসারে কোনো ঝামেলা বা কলহ নেই বলে জানালেন স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, শনিবার রাত আটটার দিকে সর্বশেষ কাওসার তাঁর মা–বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল বিকেলের দিকে। সে সময় কাওসার বলেছিলেন, ঈদের ছুটি নেওয়ার জন্য ৪ তারিখ আবেদন করেছেন। এবার ঈদে বাড়িতে আসবেন।

নিলুফা বললেন, ‘কাওসারের মানসিক সমস্যা ছিল। রাঙামাটির বরকলে চাকরি করার সময় তিনি মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এরপর বিভিন্ন সময় সরকারিভাবেই তাঁকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে অন্তত তিনবার চিকিৎসা করানো হয়েছিল। নিয়মিত ওষুধও সেবন করতেন। কাওসারের কাছে প্রেসক্রিপশনও আছে।’

তবে কাওসার গুলি করে সহকর্মীকে হত্যা করতে পারেন, তা বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁর স্ত্রী। নিলুফা বলেন, ‘আমার এখনো বিশ্বস হচ্ছে না যে গুলি করার মতো কোনো ঘটনা তিনি ঘটাতে পারেন। কীভাবে কী হয়েছে, সেটা বুঝতেছি না।’

কথার একপর্যায়ে নিলুফা জানালেন, কিছুদিন ধরে কাওসার খুবই কম কথা বলতেন। ঈদের কেনাকাটার জন্য বাড়িতে টাকাও পাঠিয়েছিলেন। সংসারে কোনো অভাব–অনটন ছিল না। তবে চাকরি নিয়ে খুবই টেনশন করেন তিনি। ছয় ঘণ্টার ডিউটি আট ঘণ্টা হতো। এ ছাড়া নানা বিষয় নিয়ে তিনি (কাওসার) টেনশন করতেন। এ ছাড়া তেমন কিছু জানা নেই।


প্রিন্ট