রাজশাহীর তানোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন তানোর উপজেলার দিব্যস্থল গ্রামের আলোচিত আদিবাসি নারী ধর্ষণের ঘটনা অবশেষে ধাঁমাচাঁপা পড়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন পর ঘটনা জানাজনি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে, জনমনেও মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) দিব্যস্থল গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুস সামাদ (৪০) একই এলাকার জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী আদিবাসি নারীকে (২৫) জোরপুর্বক ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদি হয়ে আব্দুস সামাদকে আসামি করে তানোর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
গ্রামবাসির অভিযোগ, অজ্ঞাত কারণে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে আপোষের সুযোগ করে দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, কাজলকেশর গ্রামের আকবর আলীর পুত্র এমদাদুল (৩৪) ও বড়বাকইল গ্রামের মৃত ইসরাইলের পুত্র মুজিবুরের (৪২) নেতৃত্বে রাজশাহীর নওদাপাড়া আমচত্ত্বর একটি বাড়িতে বসে ধর্ষণের অভিযোগ আপোষ করতে ভিকটিম পরিবারকে বাধ্য করা হয়েছে। এদিন ৩০০ টাকা মুল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যামে অঙ্গীকারনামা লিখে ভিকটিমের স্বাক্ষর নেয়া হয়। অঙ্গীকার নামা লিখেছেন মুক্তার হোসেন।
এদিকে ভিকটিমের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বিগত ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে ভিকটিমের স্বামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার হাটবাকুইল ফুটবল মাঠে ফুটবল খেলার জন্য যায়। বাড়ির অন্য সদস্য তার শশুর, শাশুরী, দেবর ও জা মানুষের জমিতে দিন মুজুরির কাজ করতে নিজামপুর গ্রামে ছিলেন। এদিন সন্ধায় ভিকটিম একাই বাড়ীতে রান্না করছিলেন। এ সময় আব্দুস সামাদ তার বাড়ীর পার্শ্বেে ধানের জমিতে পানি সেচ দিতে এসে, বাড়ীতে ভিকটিমকে একা পেয়ে ঝাপটাইয়া ধরে রুমের মেঝেতে পাটির উপর চিত করিয়া শোয়াইয়া পরনের শাড়ী প্যাডিকোট খুলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপুর্বক ধর্ষণ করেছে। এদিকে এ ঘটনায় বিচার না পেয়ে ভিকটিমের স্বামী ভিকটিমকে বিগত ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারী বাবার বাড়ী চাপাইনব্বাবঞ্জে পাঠাইয়া দিয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। স্থানীয়রা পুনঃরায় ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) ওয়াজেদ আলী বলেন, তিনি ঘটনা লোকমুখে শুনেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুস সামাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ধর্ষন নয় একটু ঝামেলা হয়েছিল, সেটা আপোষ-মিমাংসা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, এই ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তিনি বলেন, ধর্ষন আপোষযোগ্য অপরাধ নয়, কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।