সরকারী বিধির দোহাই দিলেও রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় বিধিবিধানের কোন তায়াক্কা না করে শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা চলছে। নিয়োগকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম রাইপুর কালিকাপুর শ্রীপুর মশুরিয়া একাডেমি। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৪ সালে কালুখালী ( তৎকালীন পাংশা)উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৯ সালে দৈনিক গতকাল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়টিতে মো: জয়নাল আবেদিন নামক এক প্রার্থীকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ২০১৩ সালের তথ্য পর্যালোচনা করে তার প্রমান মেলে। ৬/৮/২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে পরিচালনা কমিটি ওই সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করে। কিন্তু কিছুদিন পরই সেই নিয়ম উল্টে যায়। কমিটি নিয়মের তোয়াক্কা না করে পুনরায় একজন সহকারী (মৌলভী) শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করেন। নিয়ম মোতাবেক উপযুক্ত দোষে দোষী সাব্যস্ত না হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যায় না।
কিন্তু তা না মেনেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়ে একই পদে তার জুনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদটিও শূন্য হয়নি। তারপরও শূন্যপদের কথা বলে সংবাদপত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ১০/১/২০২৪ ইং তারিখে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: জয়নাল আবেদিন জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করে দাবী করেছেন তার অপসারন অবৈধ। তিনি বিষয়টির তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। ওই আবেদন নিস্পত্তি না হতেই তরিঘরি করে পদটিতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি খোন্দকার আনোয়ার হোসেন জানান, জয়নাল আবেদিনকে আমি সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করিনি, আগের সভাপতি করেছে।
তিনি আরো বলেন, নিয়োগের জন্য পরপর ৩ বার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ১ম ও ২য় বারের আবেদনকারীদের বাদ রেখে বৃহস্পতিবার ৩য় বারের আবেদনকারীদের বাছাই করা হয়েছে। বাছাইকাজে উনি (সভাপতি) উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান।
স্থানীয়রা মনে করে প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ বাণিজ্য করনের জন্য এ ধরনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে দৃষ্টি প্রদানের জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন়়।
প্রিন্ট