পাবনার চাটমোহরে গুমানী নদী, বড়াল নদ ও নিমাইচড়া গাঙে অবৈধভাবে এক্সভেটর(ভেকুু) দিয়ে মাটি ও বালি কাটার বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ প্রহন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গণ আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষানা দিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বড়াল রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নে কুমারগাড়া গ্রামে বড়াল বিদ্যা নিকেতন চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন।
বাপা ও বড়াল রক্ষা আন্দোলন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য জয়দেব কুন্ডু।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাপা’র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এসএম মিজানুর রহমান, সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চাটমোহরের গুমানী নদী, বড়াল নদে নিমাইচড়া গাঙে এলাকার প্রভাবশালী নদী খেকো গোষ্টী কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দিনে রাতে নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে নদীর অবকাঠামো ধংস করা সহ পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
বাপা ও বড়াল রক্ষা আন্দোলন এবং চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে বারবার উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে মাটি কাটা বন্ধ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের লিখিত আবেদন জানানো হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহনের আম্বাস দিলেও কোন এক অদৃশ্য কারণে পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় নাই। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়। সরকার যেখানে নদী, হাওর, বিল, জলাশয় রক্ষার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে সেই মর্মার্থ অনুধাবন করতে পারছে না।
এসএম মিজানুর রহমান বলেন, বড়াল নদ প্রতিদিনই দখল দূষণ করা হচ্ছে। উপজেলা নদী রক্ষা কমিটি থাকলেও তার কোন সভা কখনোই হয় না। এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বারবার তাগাদা দিয়েও সভা করা সম্ভব হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে নদীর মাটি ও বালি উত্তোলনকারি ও দখল দূষণকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় বাপা ও বড়াল রক্ষা আন্দোলন পরিবেশবাদী নদী প্রেমী ও এলাকার মানুষদের সংগঠিত করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষাণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে পাবনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হেলাল উদ্দিন, পরিতোষ সরকার সহ অন্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে এক্সভেটরের ব্যাটারি খুলে নিয়ে এসেছি। আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে।
প্রিন্ট