আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে দেশের ১৫২ টি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ভোট প্রার্থনায় ব্যাস্ত সময় পার করছে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। তাই উপজেলার বিভিন্ন বাড়ি ও গুরত্বপূর্ন স্থানে উঠান বৈঠক করে ভোট প্রার্থনা করছেন তারা।
এরই মধ্যে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ শেষে প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচনী আচরন বিধিমালা বিষয়ক মতবিনিময় সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিস। প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক
ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের প্রতিক সম্বলিত পোস্টারে। বিভিন্ন হাট-বাজার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি লিফলেট বিতরন করছেন প্রার্থীরা। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন বাড়ি ও গুরত্বপূর্ন স্থানে উঠান বৈঠক করে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি ভোটারদের কাছে করছেন নানা অঙ্গীকার।
উপজেলার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার বিষয়ে বৃহস্পতিবার জানতে চাইলে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মোতালেব হোসেন মোল্যা বলেন “আমি এ বছর দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি। এর আগে এই পরিষদে বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম এবং খন্ডকালীন সময়ে চেয়ারম্যান পদেও দায়ীত্ব পালন করেছি। এ বছর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হতে পারলে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সহযোগীতা করার পাশাপাশি অত্র উপজেলাকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করার চেষ্টা করব। আমি পূর্বেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম
ভবিষ্যতেও আমার এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারনায় কোন বাধার সম্মুক্ষীন হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে মোটর সাইকেল প্রতিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ খবীরউদ্দীন বলেন “আমি সাধারন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছি এতে কোন বাধার সম্মুক্ষীন হইনি। তবে আমার বিরুদ্ধে একটা শ্রেনী অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছি। আমি ভোটারদের উদ্দ্যেশে বলব আপনারা গুজবে কান দিবেন না।
তিনি বলেন, চেয়াম্যান হতে পারলে উপজেলার উন্নয়ন ও মাদক নির্মুলে প্রশাসনের পাশাপাশি এমপি নিক্সন চৌধুরীর সাথে
একাত্বতা প্রকাশ করে উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করব।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্র জানায়, এ বছর চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে অনলাইনে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী
মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মোঃ ফয়সাল হাসান ঋন খেলাপির কারনে নির্বাচন করতে পারছেন না।
বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ কাউছার চেয়ারম্যান পদে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এছাড়া চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ আনোয়ার আলী মোল্যা আনারস প্রতিক, গাজীরটেক ইউনিয়নের বাসিন্দা টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ নিজামউদ্দীন আহাম্মেদ ও হেলিকপ্টার প্রতিকে মোঃ ফারুক হোসেন মৃধা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্দিতা করছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেক সোলায়মান ও শামীম রেজা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যাচাই বাছাই শেষে বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাউছার হোসেন পেয়েছেন টিউবওয়েল, মোন্নাফ মোল্লা তালা, মোশারফ হোসেন টিয়া পাখি, মোঃ সামসুদ্দিন মোল্লা মাইক ও জান-এ আল পেয়েছেন চশমা প্রতিক।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানজিলা আকতার পেয়েছেন প্রজাপতি, রওশন আরা পারভীন ফুটবল, হামেদা বেগম বৈদ্যুতিক পাখা ও নাজমা বেগম পেয়েছেন কলস প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছেন বলে জানা যায়।
নির্বাচন অফিস সুত্র জানায় এ বছর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩১০৫ জন এর মধ্যে পুরুষ ৩১৮০৬ জন ও মহিলা ভোটার ৩১২৯৯ জন।
প্রিন্ট