ঢাকা , মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারীকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ Logo ভূরুঙ্গামারীতে স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo দৌলতপুর সিমান্তের চিহ্নিত সন্ত্রাসী অস্ত্র ও মাদক কারবারী আমজাদ মাস্তান পুলিশের হাতে গ্রেফতার Logo চির শান্তির অঘোর ঘুমে কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হোসেনউদ্দীন হোসেন Logo তানোরে কানেক্টিং ও এইচবিবি রাস্তাসহ খাল পুনঃখনন Logo রাত পোহালেই ভোট, ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা Logo কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন Logo কালুখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে ৫ জন আহত Logo বোয়ালমারীতে বালু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ Logo কুষ্টিয়ায় ৪ উপজেলায় ভোটঃ কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম, ব্যালট পেপার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দৌলতপুরে ২৫০ গ্রাহকের ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে ক্ষুব্ধ গ্রাহক: তদন্তের দাবি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি গ্রামের প্রায় ২৫০ জন গ্রাহকের ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন তারা। উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন ধর্মদহ গ্রামের গ্রাহকদের মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিল কারো দ্বিগুণ, কারো তিনগুণ আবার কারো পাঁচ-ছয় গুণেরও বেশি লাগামহীন ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল আসায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটার রিডার বাড়ি বাড়ি না গিয়ে মিটার না দেখে অফিসে বসেই ইচ্ছামত ভৌতিক বিল তৈরি করে গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করেছেন।ধর্মদহ গ্রামের আব্দুস সামাদ অভিযোগ করে বলেন, তার দুটি আবাসিক মিটার রয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসে একটি মিটারে ৩১৭ টাকা, অপরটিতে ১৩৫ বিল এসেছিল। কিন্তু মার্চে দুটি মিটারে একটিতে ৮১০ টাকা অপরটিতে ৫১০ টাকা বিল এসেছে।একই গ্রামের মাসিকুল ইসলামের অভিযোগ, ফেব্রুয়ারি মাসে (আবাসিক) তার বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ২৬৭ টাকা, মার্চ এসেছে ৬৫৮ টাকা।আরেক বিদ্যুৎ গ্রাহক মজিবর রহমান বলেন, তার দুটি দোকানে পৃথক বাণিজ্যিক মিটার আছে।

একটিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৪১৬ টাকা বিল পরিশোধ করেছি। কিন্তু মার্চ মাসে তা প্রায় নয়গুণ বাড়িয়ে ৩ হাজার ৬৫৭ টাকা বিল দেয়া হয়েছে। অপর মিটারে ফেব্রুয়ারির ১৯৪ টাকা বিল পরিশোধ করেছি। কিন্তু মার্চ মাসে বিল এসেছে ৬৫১ টাকা।এছাড়াও জামাল হোসেন নামে অপর এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছি। কিন্তু মার্চ মাসে বিদ্যুৎ বিল এসছে ১ হাজার ১০০ টাকা। একই অভিযোগ ধর্মদহ গ্রামের শত শত বিদ্যুৎ গ্রাহকের।

 

তাদের দাবি এ ধরণের ভৌতিক বিলের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির ব্যবস্থা করা হোক এবং ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল থেকে সাধারণ গ্রাহকদের বাঁচানো হোক।ভৌতিক বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে প্রাগপুর বিদ্যুতের সাব-জোনাল অফিসের মিটার রিডার দায়েম উদ্দিন বলেন, শীতের পরপরই রমজান মাস ও প্রচণ্ড গরমে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করেছে। ফলে মার্চ মাসে সব গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে।

বাড়ি গিয়ে মিটার দেখে রিডিং না লেখার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি প্রতি মাসেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং করে থাকি।কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রাগপুর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রাম থেকে এ ধরনের বেশ কিছু অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। তবে গত দুই মাসে মিটার রিডার দায়েম উদ্দিন সরোজমিনে গিয়ে রিডিং নেয়নি।

 

মার্চ মাসের রিডিং এপ্রিলের ৯ তারিখে নেয়ার কথা থাকলেও একসাথে ৪৭ দিনের রিডিং করেছে এপ্রিল মাসের ২২ তারিখে। ফলে দেড় মাসেরও বেশি সময়ের বিল এসেছে। যার কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে। তবে মিটার রিডার দায়েম উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রামের লোকজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য আমি কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর তা পাঠিয়েছি।বিদ্যুৎ গ্রাহকদের দাবি ভৌতিক বিল না করে ন্যায্য বিল করে প্রতারণা থেকে সাধারণ গ্রাহকদের বাঁচানো

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারীকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ

error: Content is protected !!

দৌলতপুরে ২৫০ গ্রাহকের ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে ক্ষুব্ধ গ্রাহক: তদন্তের দাবি

আপডেট টাইম : ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি গ্রামের প্রায় ২৫০ জন গ্রাহকের ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন তারা। উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন ধর্মদহ গ্রামের গ্রাহকদের মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিল কারো দ্বিগুণ, কারো তিনগুণ আবার কারো পাঁচ-ছয় গুণেরও বেশি লাগামহীন ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল আসায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটার রিডার বাড়ি বাড়ি না গিয়ে মিটার না দেখে অফিসে বসেই ইচ্ছামত ভৌতিক বিল তৈরি করে গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করেছেন।ধর্মদহ গ্রামের আব্দুস সামাদ অভিযোগ করে বলেন, তার দুটি আবাসিক মিটার রয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসে একটি মিটারে ৩১৭ টাকা, অপরটিতে ১৩৫ বিল এসেছিল। কিন্তু মার্চে দুটি মিটারে একটিতে ৮১০ টাকা অপরটিতে ৫১০ টাকা বিল এসেছে।একই গ্রামের মাসিকুল ইসলামের অভিযোগ, ফেব্রুয়ারি মাসে (আবাসিক) তার বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ২৬৭ টাকা, মার্চ এসেছে ৬৫৮ টাকা।আরেক বিদ্যুৎ গ্রাহক মজিবর রহমান বলেন, তার দুটি দোকানে পৃথক বাণিজ্যিক মিটার আছে।

একটিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৪১৬ টাকা বিল পরিশোধ করেছি। কিন্তু মার্চ মাসে তা প্রায় নয়গুণ বাড়িয়ে ৩ হাজার ৬৫৭ টাকা বিল দেয়া হয়েছে। অপর মিটারে ফেব্রুয়ারির ১৯৪ টাকা বিল পরিশোধ করেছি। কিন্তু মার্চ মাসে বিল এসেছে ৬৫১ টাকা।এছাড়াও জামাল হোসেন নামে অপর এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছি। কিন্তু মার্চ মাসে বিদ্যুৎ বিল এসছে ১ হাজার ১০০ টাকা। একই অভিযোগ ধর্মদহ গ্রামের শত শত বিদ্যুৎ গ্রাহকের।

 

তাদের দাবি এ ধরণের ভৌতিক বিলের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির ব্যবস্থা করা হোক এবং ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল থেকে সাধারণ গ্রাহকদের বাঁচানো হোক।ভৌতিক বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে প্রাগপুর বিদ্যুতের সাব-জোনাল অফিসের মিটার রিডার দায়েম উদ্দিন বলেন, শীতের পরপরই রমজান মাস ও প্রচণ্ড গরমে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করেছে। ফলে মার্চ মাসে সব গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে।

বাড়ি গিয়ে মিটার দেখে রিডিং না লেখার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি প্রতি মাসেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং করে থাকি।কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রাগপুর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রাম থেকে এ ধরনের বেশ কিছু অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। তবে গত দুই মাসে মিটার রিডার দায়েম উদ্দিন সরোজমিনে গিয়ে রিডিং নেয়নি।

 

মার্চ মাসের রিডিং এপ্রিলের ৯ তারিখে নেয়ার কথা থাকলেও একসাথে ৪৭ দিনের রিডিং করেছে এপ্রিল মাসের ২২ তারিখে। ফলে দেড় মাসেরও বেশি সময়ের বিল এসেছে। যার কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে। তবে মিটার রিডার দায়েম উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রামের লোকজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য আমি কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর তা পাঠিয়েছি।বিদ্যুৎ গ্রাহকদের দাবি ভৌতিক বিল না করে ন্যায্য বিল করে প্রতারণা থেকে সাধারণ গ্রাহকদের বাঁচানো