গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে পাবনার চাটমোহরে পোল্ট্রি শিল্পে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত ১৫ দিনে বেশি সময় ধরে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে স্বস্তি নেই জনজীবনে। বিরূপ প্রভাব পড়েছে পোল্ট্রি খামারেও। কমতে শুরু করেছে মাংস ও ডিমের উৎপাদন। মুরগি রক্ষায় খামারের ঘর সার্বক্ষনিক শীতল রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন খামারিরা। দিনে ৪/৫ বার পানি স্প্রে করছেন। এছাড়াও স্যালাইনসহ বিভিন্ন ওষুধ খাওয়াচ্ছেন।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সরেজমিনে কয়েকটি খামার ঘুরে দেখা গেছে, খামারের মুরগি প্রচন্ড গরমে ছটফট করছে। মুরগিগুলো হাঁসফাঁস করছে গরমে।
একটি পোলট্রি খামারের শ্রমিক আনিসুর রহমান বলেন,গরম শুরুর পর থেকেই খামারে মুরগির ছটফটানি শুরু হয়েছে। ফ্যানের বাতাসেও ঘর ঠান্ডা হচ্ছে না। প্রতিদিন কয়েকবার করে মুরগির শরীরে পানি ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার বোঁথর গ্রামের লেয়ার মুরগি খামারী আজিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন,গরম শুরুর পর থেকে মুরগিকে ওষুধ ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী দিনের বেলায় খাবারও কম দেওয়া হচ্ছে। এতে ডিমের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। মুরগির গরমও লাগছে বেশি। এই গরমে মুরগির শরীরে পানি ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না।
চাটমোহর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে জানান,চাটমোহর উপজেলায় তালিকাভুক্ত মুরগির খামার রয়েছে ১ হাজার ৬০২টি। এই তালিকার বাইরে ২ শতাধিক খামার আছে। ব্রয়লার মুরগির তালিকাভুক্ত খামার রয়েছে ৮৭৭টি। এছাড়া দেশি মুরগির খামারও রয়েছে এ উপজেলায়।
প্রচন্ড গরম থেকে খামার রক্ষায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারিদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। খামার ঘরের টিনের চালে চটের বস্তা বিছিয়ে পানি ঢালা,মুরগির শরীরে পানি ছিটানো এবং মুরগিকে স্যালাইনসহ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি খেতে দিতে বলা হচ্ছে। দুপুরে অতিরিক্ত গরমের সময় খাবার না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
প্রিন্ট