মানিক কুমার দাসঃ
ফরিদপুরের নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলের অসহায় নারী-পুরুষকে স্বাবলম্বি করতে হাঁস-মুরগি, ছাগল-ভেড়া পালনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে প্রাণীসম্পদ দপ্তর।
সমন্বিত প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চরাঞ্চলের অসহায় নারীদের হাঁস-মুরগির খামারের ঘর এবং পুরুষদের জন্য ছাগল-ভেড়া পালনের ঘর করে দেওয়া হচ্ছে এই প্রকল্পে।
আজ বুধবার সকালের দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের আয়োজনে ১৩০ পরিবারের নারীদের হাতে ১৩টি করে হাঁস তুলে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস, সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
জানা যায়, ফরিদপুরের সদর উপজেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত ডিক্রিরচর, নর্থ চ্যানেল, আলিয়াবাদ ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের হতদরিদ্র নারী-পুরুষদের উন্নয়নের জন্য সমন্বিত প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর। এ প্রকল্পের আওতায় চরাঞ্চলের অসহায় নারী-পুরুষদের হাঁস-মুরগির ও ছাগল-ভেড়া পালনের জন্য ঘরও তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক ঘরের জন্য ব্যায় ধরা হয়েছে ১২ হাজার টাকা করে। এ এলাকার ৫ হাজার ৮৩৬ জন হতদরিদ্র খামারীদের মাঝে পর্যায়ক্রমে বিনামূল্যে হাঁস-মুরগী, ছাগল-ভেড়া বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যেই তাদেরকে দুইদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, হতদরিদ্র নারী-পুরুষকে স্বাবলম্বি করতে এ উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। খামারিদের বাছাই করে তাদের দুই দিনের প্রশিক্ষন শেষে হাঁস-মুরগী, ছাগল-ভেড়া প্রদান করা হচ্ছে। হাঁস-মুরগী, ছাগল-ভেড়া পালনের মাধ্যমে হতদরিদ্র মানুষ তাদের আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
প্রিন্ট