ঢাকা , মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo অপারেশন ডেবিল হান্টঃ রূপগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেফতার-৩ Logo একই মঞ্চে ওসি-বিএনপি ও আ.লীগের এক ঝাঁক নেতা, ফেসবুকে আলোচনার ঝড় Logo বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেঃ-মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo মাধবপুরের যুগান্তরের রজত জয়ন্তী উৎযাপিত Logo বড়াইগ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫ Logo বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি বর্ষণে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক গ্রেপ্তার Logo শিবপুরে থানা পুলিশকে হুমকি দিয়ে পেটালো স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জজ মিয়া Logo কাশিয়ানীতে রাতের আঁধারে প্রতিমা ভাংচুর Logo অদম্য নারীর বিভাগীয় সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক তপুর মা Logo ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খননের মহোৎসব
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী বৃহৎ উপজেলা দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা

গরমের তিব্রতা বাড়ার সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়তে শুরু করেছে রোগীর সংখা। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও গরম জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আজ (২৩ এপ্রিল) মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য বলছে, ৫০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি হয়েছে ৯০ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি আছে ৩২ জন। যার ২৮ জনই হচ্ছে শিশু।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,  ৫০ শয্যার এই  হাসপাতালে ১৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও  জনবল সংকটে তা ছিলো  ৯ জন।  সপ্তাহ খানেক  আগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য ৫ জন চিকিৎসক চলে যাওয়ায় এখন সংকট দেখা দিয়েছে চরমে।

বর্তমানে উপজেলার এই হাসপাতালটি  দু’জন নারী মেডিকেল অফিসার দিয়েই চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে দাপ্তরিক কাজের জন্য আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ  স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাও  নিয়োজিত আছেন। তারা দুজন দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি দিচ্ছেন চিকিৎসা সেবাও।

এ বিষয়ে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার বিপাশা বৈশাখি বলেন, আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারনে আমাদের সেবা প্রদানে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আমরা মাত্র দু’জন  মেডিকেল অফিসার আছি দু’জনই নারী। দু’জনকে শিফট ভাগ করে ডিউটি করতে হচ্ছে।

এদিকে এতো সংকটের মাঝেও নিরলস পরিশ্রমের কারনে সেবা নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন রোগীর স্বজনেরা। চিকিৎসক সংকট থাকলেও সেবিকারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করায় বিষয়টি আঁচ করতে পারেননি রোগীর স্বজনেরা।

আশিক ইসলাম নামের এক রোগীর স্বজন জানান, আমি আমার জমজ দুই বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি সবাই খুব আন্তরিক।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সিনিয়র নার্স উজালা পারভীর বলেন, তাপপ্রবাহের সাথে সাথে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এখন হাসপাতালে শয্যার থেকেও রোগীর সংখ্যা বেশি। আমরা রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছি তবুও নিরলস ভাবে আমরা রোগীদের সেবা নিশ্চিত করছি।

এ বিষয়ে দৌলতপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন,  একদিকে হাসপাতালে রোগীর সংখা বাড়ছে অন্যদিকে হাসপাতালের শয্যা ও চিকিৎসক সংকট। মাত্র দু’জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. মো. আকুল উদ্দিন বলেন, দ্রুত এই সংকট নিরসনের ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের জারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন তাদের দিয়ে হলেও  আমরা সংকট নিরসের চেষ্টা করতেছি ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অপারেশন ডেবিল হান্টঃ রূপগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেফতার-৩

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী বৃহৎ উপজেলা দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা

আপডেট টাইম : ০২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
মোঃ জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

গরমের তিব্রতা বাড়ার সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়তে শুরু করেছে রোগীর সংখা। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও গরম জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আজ (২৩ এপ্রিল) মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য বলছে, ৫০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি হয়েছে ৯০ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি আছে ৩২ জন। যার ২৮ জনই হচ্ছে শিশু।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,  ৫০ শয্যার এই  হাসপাতালে ১৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও  জনবল সংকটে তা ছিলো  ৯ জন।  সপ্তাহ খানেক  আগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য ৫ জন চিকিৎসক চলে যাওয়ায় এখন সংকট দেখা দিয়েছে চরমে।

বর্তমানে উপজেলার এই হাসপাতালটি  দু’জন নারী মেডিকেল অফিসার দিয়েই চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে দাপ্তরিক কাজের জন্য আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ  স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাও  নিয়োজিত আছেন। তারা দুজন দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি দিচ্ছেন চিকিৎসা সেবাও।

এ বিষয়ে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার বিপাশা বৈশাখি বলেন, আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারনে আমাদের সেবা প্রদানে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আমরা মাত্র দু’জন  মেডিকেল অফিসার আছি দু’জনই নারী। দু’জনকে শিফট ভাগ করে ডিউটি করতে হচ্ছে।

এদিকে এতো সংকটের মাঝেও নিরলস পরিশ্রমের কারনে সেবা নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন রোগীর স্বজনেরা। চিকিৎসক সংকট থাকলেও সেবিকারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করায় বিষয়টি আঁচ করতে পারেননি রোগীর স্বজনেরা।

আশিক ইসলাম নামের এক রোগীর স্বজন জানান, আমি আমার জমজ দুই বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি সবাই খুব আন্তরিক।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সিনিয়র নার্স উজালা পারভীর বলেন, তাপপ্রবাহের সাথে সাথে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এখন হাসপাতালে শয্যার থেকেও রোগীর সংখ্যা বেশি। আমরা রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছি তবুও নিরলস ভাবে আমরা রোগীদের সেবা নিশ্চিত করছি।

এ বিষয়ে দৌলতপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন,  একদিকে হাসপাতালে রোগীর সংখা বাড়ছে অন্যদিকে হাসপাতালের শয্যা ও চিকিৎসক সংকট। মাত্র দু’জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. মো. আকুল উদ্দিন বলেন, দ্রুত এই সংকট নিরসনের ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের জারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন তাদের দিয়ে হলেও  আমরা সংকট নিরসের চেষ্টা করতেছি ।


প্রিন্ট