ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আলতাব আলী ফাউন্ডেশন প্রবাসী বাঙালিদের অবদানের স্বীকৃতি দাবি করেছে Logo বাসায় ফেরার পথে অরক্ষিত রেল ক্রচিং ট্রেনে কাটা পড়ে এসআই নিহত Logo চাটমোহরে বিভিন্ন নদীতে অবৈধভাবে মাটি ও বালি কাটার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে কবি মিনতি দত্ত মিশ্রর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, আহত ৪০% Logo কুষ্টিয়ায় কাভার্ড ভ্যান-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ Logo মাগুরায় চুরি যাওয়া ১০২টি স্মার্ট ফোন ও বিকাশ প্রতারণার টাকা উদ্ধার করে হস্তান্তর Logo ২য় ধাপে মাগুরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে Logo ইতালিতে বাংলাদেশ ‘ইমিগ্র্যান্টস’ অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন Logo গোয়ালন্দে প্রতীক পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা মুন্সির বিশাল শোডাউন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী বৃহৎ উপজেলা দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা

গরমের তিব্রতা বাড়ার সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়তে শুরু করেছে রোগীর সংখা। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও গরম জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আজ (২৩ এপ্রিল) মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য বলছে, ৫০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি হয়েছে ৯০ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি আছে ৩২ জন। যার ২৮ জনই হচ্ছে শিশু।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,  ৫০ শয্যার এই  হাসপাতালে ১৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও  জনবল সংকটে তা ছিলো  ৯ জন।  সপ্তাহ খানেক  আগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য ৫ জন চিকিৎসক চলে যাওয়ায় এখন সংকট দেখা দিয়েছে চরমে।

বর্তমানে উপজেলার এই হাসপাতালটি  দু’জন নারী মেডিকেল অফিসার দিয়েই চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে দাপ্তরিক কাজের জন্য আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ  স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাও  নিয়োজিত আছেন। তারা দুজন দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি দিচ্ছেন চিকিৎসা সেবাও।

এ বিষয়ে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার বিপাশা বৈশাখি বলেন, আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারনে আমাদের সেবা প্রদানে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আমরা মাত্র দু’জন  মেডিকেল অফিসার আছি দু’জনই নারী। দু’জনকে শিফট ভাগ করে ডিউটি করতে হচ্ছে।

এদিকে এতো সংকটের মাঝেও নিরলস পরিশ্রমের কারনে সেবা নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন রোগীর স্বজনেরা। চিকিৎসক সংকট থাকলেও সেবিকারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করায় বিষয়টি আঁচ করতে পারেননি রোগীর স্বজনেরা।

আশিক ইসলাম নামের এক রোগীর স্বজন জানান, আমি আমার জমজ দুই বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি সবাই খুব আন্তরিক।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সিনিয়র নার্স উজালা পারভীর বলেন, তাপপ্রবাহের সাথে সাথে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এখন হাসপাতালে শয্যার থেকেও রোগীর সংখ্যা বেশি। আমরা রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছি তবুও নিরলস ভাবে আমরা রোগীদের সেবা নিশ্চিত করছি।

এ বিষয়ে দৌলতপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন,  একদিকে হাসপাতালে রোগীর সংখা বাড়ছে অন্যদিকে হাসপাতালের শয্যা ও চিকিৎসক সংকট। মাত্র দু’জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. মো. আকুল উদ্দিন বলেন, দ্রুত এই সংকট নিরসনের ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের জারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন তাদের দিয়ে হলেও  আমরা সংকট নিরসের চেষ্টা করতেছি ।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আলতাব আলী ফাউন্ডেশন প্রবাসী বাঙালিদের অবদানের স্বীকৃতি দাবি করেছে

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী বৃহৎ উপজেলা দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা

আপডেট টাইম : ০২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

গরমের তিব্রতা বাড়ার সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়তে শুরু করেছে রোগীর সংখা। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও গরম জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আজ (২৩ এপ্রিল) মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য বলছে, ৫০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি হয়েছে ৯০ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি আছে ৩২ জন। যার ২৮ জনই হচ্ছে শিশু।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,  ৫০ শয্যার এই  হাসপাতালে ১৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও  জনবল সংকটে তা ছিলো  ৯ জন।  সপ্তাহ খানেক  আগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য ৫ জন চিকিৎসক চলে যাওয়ায় এখন সংকট দেখা দিয়েছে চরমে।

বর্তমানে উপজেলার এই হাসপাতালটি  দু’জন নারী মেডিকেল অফিসার দিয়েই চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে দাপ্তরিক কাজের জন্য আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ  স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাও  নিয়োজিত আছেন। তারা দুজন দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি দিচ্ছেন চিকিৎসা সেবাও।

এ বিষয়ে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার বিপাশা বৈশাখি বলেন, আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারনে আমাদের সেবা প্রদানে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আমরা মাত্র দু’জন  মেডিকেল অফিসার আছি দু’জনই নারী। দু’জনকে শিফট ভাগ করে ডিউটি করতে হচ্ছে।

এদিকে এতো সংকটের মাঝেও নিরলস পরিশ্রমের কারনে সেবা নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন রোগীর স্বজনেরা। চিকিৎসক সংকট থাকলেও সেবিকারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করায় বিষয়টি আঁচ করতে পারেননি রোগীর স্বজনেরা।

আশিক ইসলাম নামের এক রোগীর স্বজন জানান, আমি আমার জমজ দুই বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি সবাই খুব আন্তরিক।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সিনিয়র নার্স উজালা পারভীর বলেন, তাপপ্রবাহের সাথে সাথে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এখন হাসপাতালে শয্যার থেকেও রোগীর সংখ্যা বেশি। আমরা রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছি তবুও নিরলস ভাবে আমরা রোগীদের সেবা নিশ্চিত করছি।

এ বিষয়ে দৌলতপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন,  একদিকে হাসপাতালে রোগীর সংখা বাড়ছে অন্যদিকে হাসপাতালের শয্যা ও চিকিৎসক সংকট। মাত্র দু’জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. মো. আকুল উদ্দিন বলেন, দ্রুত এই সংকট নিরসনের ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের জারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন তাদের দিয়ে হলেও  আমরা সংকট নিরসের চেষ্টা করতেছি ।