গোপালগঞ্জে রাতের আঁধারে সিঁধকেটে ঘরে ঢুকে শারমিন খানম নামের এক গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে শারমিন খানমের বুক ও পিঠের অধিকাংশ স্থান ঝলসে গেছে। আহত অবস্থায় রাতেই গ্ৰামবাসী ও ভিকটিমের স্বজনেরা গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭নং উরফি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়া গ্ৰামে।
এঘটনায় এলাকাজুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ভিকটিম শারমিন খানম হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা দিকে শব্দ শুনে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মুখ বেধে ফেলে। এসময় আধো আলোতে প্রতিবেশী শাহীন মুন্সী, সুমি বেগম ও আনিচ মুন্সীকে দেখতে পাই। তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা লড়াই করতে নিষেধ করে। একপর্যায়ে শাহীন মুন্সী আমাকে পানিজাতীয় কিছু ছুঁড়ে মারলে আমি ছটফট করতে থাকি। এখন বুঝতে পারছি আমাকে এসিড মারা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ভিকটিমের নোনদ ঝুমা খানম বলেন, জমিজমা নিয়ে ঝামেলা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর আগেও শাহীন মুন্সীর ৮ বছরের মেয়ে সোহানা কে দিয়ে গত ৫ জানুয়ারি ২০২৪ সালে ধর্ষন মামলা করেছিল। ঐ মামলায় বর্তমান ভিকটিমের পিতা সিরাজুল হক (কালু মুন্সী) জেলহাজতে আছে।
- আরও পড়ুনঃ একটি ছবি অজস্র কথা
প্রিন্ট