ঢাকা , বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোপালগঞ্জে সিঁধকেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ

গোপালগঞ্জে রাতের আঁধারে সিঁধকেটে ঘরে ঢুকে শারমিন খানম নামের এক গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে শারমিন খানমের বুক ও পিঠের অধিকাংশ স্থান ঝলসে গেছে। আহত অবস্থায় রাতেই গ্ৰামবাসী ও ভিকটিমের স্বজনেরা গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭নং উরফি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়া গ্ৰামে।

 

এঘটনায় এলাকাজুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ভিকটিম শারমিন খানম হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা দিকে শব্দ শুনে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মুখ বেধে ফেলে। এসময় আধো আলোতে প্রতিবেশী শাহীন মুন্সী, সুমি বেগম ও আনিচ মুন্সীকে দেখতে পাই। তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা লড়াই করতে নিষেধ করে। একপর্যায়ে শাহীন মুন্সী আমাকে পানিজাতীয় কিছু ছুঁড়ে মারলে আমি ছটফট করতে থাকি। এখন বুঝতে পারছি আমাকে এসিড মারা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

 

ভিকটিমের নোনদ ঝুমা খানম বলেন, জমিজমা নিয়ে ঝামেলা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর আগেও শাহীন মুন্সীর ৮ বছরের মেয়ে সোহানা কে দিয়ে গত ৫ জানুয়ারি ২০২৪ সালে ধর্ষন মামলা করেছিল। ঐ মামলায় বর্তমান ভিকটিমের পিতা সিরাজুল হক (কালু মুন্সী) জেলহাজতে আছে।

এবিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ভিকটিমের ভাষ্য অনুযায়ী অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। পাশাপাশি তদন্ত চলছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুড়িগ্রামে বাইরে থেকে আটকানো ঘরে মিলল শিশুর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ

error: Content is protected !!

গোপালগঞ্জে সিঁধকেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ

আপডেট টাইম : ০২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

গোপালগঞ্জে রাতের আঁধারে সিঁধকেটে ঘরে ঢুকে শারমিন খানম নামের এক গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে শারমিন খানমের বুক ও পিঠের অধিকাংশ স্থান ঝলসে গেছে। আহত অবস্থায় রাতেই গ্ৰামবাসী ও ভিকটিমের স্বজনেরা গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭নং উরফি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়া গ্ৰামে।

 

এঘটনায় এলাকাজুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ভিকটিম শারমিন খানম হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা দিকে শব্দ শুনে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মুখ বেধে ফেলে। এসময় আধো আলোতে প্রতিবেশী শাহীন মুন্সী, সুমি বেগম ও আনিচ মুন্সীকে দেখতে পাই। তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা লড়াই করতে নিষেধ করে। একপর্যায়ে শাহীন মুন্সী আমাকে পানিজাতীয় কিছু ছুঁড়ে মারলে আমি ছটফট করতে থাকি। এখন বুঝতে পারছি আমাকে এসিড মারা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

 

ভিকটিমের নোনদ ঝুমা খানম বলেন, জমিজমা নিয়ে ঝামেলা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর আগেও শাহীন মুন্সীর ৮ বছরের মেয়ে সোহানা কে দিয়ে গত ৫ জানুয়ারি ২০২৪ সালে ধর্ষন মামলা করেছিল। ঐ মামলায় বর্তমান ভিকটিমের পিতা সিরাজুল হক (কালু মুন্সী) জেলহাজতে আছে।

এবিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ভিকটিমের ভাষ্য অনুযায়ী অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। পাশাপাশি তদন্ত চলছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।