ঢাকা , রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দুইশ বছর পরেও স্মরণ করার মানে হচ্ছে প্রশ্নাতীতভাবে ‘মাইকেল মধুসূদন অমর’ Logo পাবনা মিছিল করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৫ Logo কুমারখালীতে দেড়শ রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করলো ইয়থ ডেভলপমেন্ট ফোরাম Logo আমিরাতের ৫২ জন সিআইপিকে সম্মাননা প্রদান Logo গুঁজিশহর মেলা বাণিজ্যের অর্থ নয়ছয় দুদুকের হস্তক্ষেপ কামনা Logo নাটোরে মিষ্টিতে ভ্যাট না কমালে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির Logo বড়াইগ্রামে লালন স্মরণ উৎসব অনুষ্ঠিত Logo সদ্য কারা মুক্ত বিডিআর সদস্যকে ভেড়ামারা বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ফুল দিয়ে সংবর্ধনা Logo জাকিরের যন্ত্রণায় জনজীবন অতিষ্ঠ, প্রশাসন নির্বিকার Logo সময়ের প্রত্যাশা’য় সংবাদ প্রকাশের পর বসন্তপুর বিলের জলাবদ্ধতার সমাধান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী

কুষ্টিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে শিরিনা খাতুন (৪০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মিন্টু আলীর বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার হরিনারায়ণপুরের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সোমবার রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিরিনা খাতুন। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন।

শিরিনা খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারকি ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামের ওসমান আলীর মেয়ে। তার স্বামী মিন্টু উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের।

নিহতের বাবা ওসমান অভিযোগ করে  বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন চালাতেন মিন্টু। সে আমার মেয়েকে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। এরপর মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে। আজ সকালে মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালের মর্গে এসে দেখি, আমার মেয়ে আর নেই। মর্গে তার লাশ পড়ে আছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই। আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

নিহতের স্বজনরা বলেন, বিয়ের পর থেকেই শিরিনাকে মারধর করতেন স্বামী। আজ সকালে শিরিনার মৃত্যুর খবর শুনে তার শ্বশুরবাড়িতে যাই আমরা। সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তারা পলাতক রয়েছেন। শিরিনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামী মিন্টু ও তার পরিবারের লোকজন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত মিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

দুইশ বছর পরেও স্মরণ করার মানে হচ্ছে প্রশ্নাতীতভাবে ‘মাইকেল মধুসূদন অমর’

error: Content is protected !!

স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী

আপডেট টাইম : ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

কুষ্টিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে শিরিনা খাতুন (৪০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মিন্টু আলীর বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার হরিনারায়ণপুরের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সোমবার রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিরিনা খাতুন। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন।

শিরিনা খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারকি ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামের ওসমান আলীর মেয়ে। তার স্বামী মিন্টু উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের।

নিহতের বাবা ওসমান অভিযোগ করে  বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন চালাতেন মিন্টু। সে আমার মেয়েকে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। এরপর মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে। আজ সকালে মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালের মর্গে এসে দেখি, আমার মেয়ে আর নেই। মর্গে তার লাশ পড়ে আছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই। আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

নিহতের স্বজনরা বলেন, বিয়ের পর থেকেই শিরিনাকে মারধর করতেন স্বামী। আজ সকালে শিরিনার মৃত্যুর খবর শুনে তার শ্বশুরবাড়িতে যাই আমরা। সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তারা পলাতক রয়েছেন। শিরিনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামী মিন্টু ও তার পরিবারের লোকজন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত মিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট