রাজশাহীর তানোরে ধানখেতে ইঁদুরের উপদ্রবেে কৃষকেরা দিশেহারা। ইঁদুর ধান গাছের গোড়া কেটে দেয়ায় ধান গাছ মরে যাচ্ছে। কিন্ত্ত বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে আগাম জাতের ধানগাছে শুরু হয়েছে ইঁদুরের উপদ্রব। উপজেলায় এবার আবহাওয়া অনুকুল থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। সরিষার জমিতে রোপণকৃত আগাম জাতের ব্রি-৫ ধানখেতে ইঁদুরের বেশী উপদ্রব দেখা দিয়েছে।
এদিকে গতকাল সরেজমিন উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) ছাঐড়, হরিপুর, হাতিশাইল মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সরিষার জমিতে রোপণকৃত ধানখেতে ইঁদুরের বেশী উপদ্রব। কামারগাঁ ইউপি সদস্য(মেম্বার) বুলু বলেন, তিনি সরিষা তুলে ওই জমিতে আগাম জাতের ব্রি-৫ ধান গাছ রোপণ করেছেন। কিন্তু ধান গাছ থোড় হবার পরপরই শুরু হয়েছে ইঁদুরের উপদ্রব। ইঁদুর মাটির নিচে ধান গাছের গোড়া কেটে দেয়ায় ধান গাছ মরে যাচ্ছে।
ছাঐড় গ্রামের কৃষক আব্দুল ও আয়ুব বলেন, তাদের ১০ কাঠা জমির আগাম জাতের ব্রি-৫ ধান ইঁদুরের আক্রমণে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) কৃষক আব্দুল হালিমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এবার এখানো আবহাওয়া অনুকুল রয়েছে, তিনি এবার ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।তিনি আড়াই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলেন। সরিষা তোলার পর সেখানে আগাম জাতের ধান চাষ করেছেন। কিন্তু ধানখেতে ইঁদুরের উপদ্রব ফসলহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া এবার শ্রমিকের মজুরি, সার-কীটনাশক ও সেচের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ বেশী হচ্ছে।
উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) কামারগাঁ গ্রামের কৃষক ফারুক বলেন, তিনি এবার হাতিশাইল মাঠে সরিষা তোলার পর তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধানচাষ করেছেন।কিন্ত্ত ধানখেতে ইঁদুরের উপদ্রব তার কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তানোরে চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এখানো আবহাওয়া অনুকুল রয়েছে। তিনি বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ববনা রয়েছে। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের কৃষি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রিন্ট