ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বুধবার (১০ এইপ্রিল) ছেলেকে বাচাঁতে গিয়ে পদ্মা নদীতে ডুবে নিখোঁজ থাকা শাহাদাৎ খান (৫৫) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস। ডুবে যাওয়ার প্রায় ১৭ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার (১১এপ্রিল) ঈদের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপালপুর ঘাট হতে প্রায় আধা কিলোমিটার দুরে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য বৃন্দ।
লাশটি উদ্ধার করে প্রাথমিক ভাবে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে সংশ্লিষ্টরা।
লাশটি উদ্ধারের বিষয়ে চরভদ্রাসন ফায়ার ষ্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মুর্তজা ফকির জানান, খবর পেয়ে ঘটনারদিন তারা নদীতে ডবুরি নামিয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছেন। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় ঐদিন অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের নামাজের পর পুনরায় তারা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল হতে কিছু দুরে ভাসমান অবস্থায় লাসটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনার ব্যাপারে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সল বিন করিম বলেন নদীতে গোসল করতে নেমে এক ব্যাক্তি নিখোঁজের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে বলা হয়। ঘটনার পরের দিন লাশটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। তিনি বলেন ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের বিষয়ে নিহতের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসি আমার নিকট এসেছিল। তাদের কারো কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য ছেলেকে বাাঁচাতে গিয়ে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ হয় শাহাদাৎ খান (৫৫)নামের এই ব্যাক্তি। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কুটি খানের ছেলে। শাহাদাৎ এর বড় ছেলে মুস্তাফিজ জানায় তার বাবা ঢাকায় আড়ং এ প্রডিউসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদ করতে তারা গ্রামের বাড়িতে আসে। ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে তার বাবা ছোট ভাই সিয়াম (১৬)কে নিয়ে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। হঠাৎ শ্রোতের তোড়ে সিয়াম ভেসে যেতে থাকলে তার বাবা সিয়ামকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন। তিনি সিয়ামকে নদীর চরে নিরাপদে উঠাতে পারলেও নিজে পানিতে তলিয়ে যান।
প্রিন্ট