ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ৭ই ডিসেম্বর কর্মশালা সফল করার লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে সার পচার, বিতরণে অনিয়ম, হট্টগোল ও মারপিট Logo ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে Logo সুন্দরবন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর আত্মহত্যা ! Logo কালুখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গভীর রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর ঈদ উপহার প্রদান

ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নিম্ন আয়ের লোকেদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গভীর রাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি, দুধসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন গুচ্ছগ্রামে ঘুরে ঘুরে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের হাতে তিনি এসব ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন। গভীর রাতে মন্ত্রীর হাত থেকে উপহার সামগ্রী পেয়ে খুশিতে আত্মহারা অসহায় মানুষেরা।

এর আগে রাত ১১টার দিকে মন্ত্রী তার নিজ বাড়ী কামালদিয়া থেকে রওনা দেন। মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে থাকা ছিন্নমূল মানুষের হাতে তুলে দেন শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি ও দুধ। এরপর দুই উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের ডেকে তুলে তাদের হাতে তুলে দেন ঈদ সামগ্রী। এভাবে চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত।

গভীর রাতে এভাবে মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এবং তার হাত থেকে উপহার সামগ্রী পেয়ে খুশি অসহায় মানুষগুলো। অনেকেই নিজ চোখে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হিসেবে আব্দুর রহমানকে দেখলেন তারা।

মধুখালী উপজেলার মেছরদিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা রাশেদা বেগম বলেন, ‘নিজের চোখের সামনে মন্ত্রীকে প্রথম দেখলাম। তার হাত থেকে উপহার পেয়েছি। পরিবারের সবাই খুশি। ঈদের মাত্র একদিন বাকি, এই সময়ে মন্ত্রী এসে আমাদের শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি দিলেন। আমরা উনার কাছে কৃতজ্ঞ।’

সড়কের পাশে ছোট্ট খুপরি ঘরে থাকেন সাহেব আলী। তাকেও ডেকে তুললেন মন্ত্রী। সাহেব আলী মন্ত্রীকে দেখে অবাক, তাও এতো রাতে। তার কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে বলে জানালেন সাহেব আলী। তিনি বলেন, মন্ত্রীকে ভোট দিয়েছিলাম না দেখে। এবার তাকে প্রথমবার সামনে দেখতে পেলাম। খুবই ভালো লাগছে, তার হাত থেকে ঈদের উপহারও পেলাম। আজকের দিনটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

চলতি পথে দেখা আসমা বেগমের সাথে। গাড়ি থামালেন মন্ত্রী। এরপর তাকে ডেকে তার হাতে তুলে দিলেন শাড়ি। আসমা বেগম আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন। তিনি বলেন, ‘শুধু টিভিতে আর পোস্টারে তাকে দেখেছি। সামনে আজকে প্রথমবারের মতো দেখলাম। আমার কাছে আজই ঈদ মনে হচ্ছে।’

শুধুমাত্র আসমা বেগম, সাহেব আলী, রাশেদা বেগমই নয় রাতে ঘুরে ঘুরে দুই শতাধিক অসহায় মানুষের হাতে মন্ত্রী তুলে দিয়েছেন ঈদ উপহার।
গত চার দিন যাবত নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুর-১ (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) আসনের অসহায় মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ও নিজস্ব তহবিল থেকে ১০ হাজার অসহায় মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন শাড়ি, লুঙ্গিসহ বিভিন্ন সামগ্রী।

 

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো: আব্দুর রহমান এমপি বলেন, ‘অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই রাতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে তাদের হাতে উপহার তুলে দিয়েছি। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত এই মানুষগুলোর পাশে থেকে তাদের মুখের হাসি ধরে রাখতে চাই। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেওয়া ঘরের বাসিন্দাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পেরেছি এ জায়গায় নিজের কাছে আরো ভালো লাগছে।’


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু

error: Content is protected !!

গভীর রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর ঈদ উপহার প্রদান

আপডেট টাইম : ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
দীপঙ্কর পোদ্দার অপু, বিশেষ প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নিম্ন আয়ের লোকেদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গভীর রাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি, দুধসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন গুচ্ছগ্রামে ঘুরে ঘুরে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের হাতে তিনি এসব ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন। গভীর রাতে মন্ত্রীর হাত থেকে উপহার সামগ্রী পেয়ে খুশিতে আত্মহারা অসহায় মানুষেরা।

এর আগে রাত ১১টার দিকে মন্ত্রী তার নিজ বাড়ী কামালদিয়া থেকে রওনা দেন। মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে থাকা ছিন্নমূল মানুষের হাতে তুলে দেন শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি ও দুধ। এরপর দুই উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের ডেকে তুলে তাদের হাতে তুলে দেন ঈদ সামগ্রী। এভাবে চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত।

গভীর রাতে এভাবে মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এবং তার হাত থেকে উপহার সামগ্রী পেয়ে খুশি অসহায় মানুষগুলো। অনেকেই নিজ চোখে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হিসেবে আব্দুর রহমানকে দেখলেন তারা।

মধুখালী উপজেলার মেছরদিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা রাশেদা বেগম বলেন, ‘নিজের চোখের সামনে মন্ত্রীকে প্রথম দেখলাম। তার হাত থেকে উপহার পেয়েছি। পরিবারের সবাই খুশি। ঈদের মাত্র একদিন বাকি, এই সময়ে মন্ত্রী এসে আমাদের শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি দিলেন। আমরা উনার কাছে কৃতজ্ঞ।’

সড়কের পাশে ছোট্ট খুপরি ঘরে থাকেন সাহেব আলী। তাকেও ডেকে তুললেন মন্ত্রী। সাহেব আলী মন্ত্রীকে দেখে অবাক, তাও এতো রাতে। তার কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে বলে জানালেন সাহেব আলী। তিনি বলেন, মন্ত্রীকে ভোট দিয়েছিলাম না দেখে। এবার তাকে প্রথমবার সামনে দেখতে পেলাম। খুবই ভালো লাগছে, তার হাত থেকে ঈদের উপহারও পেলাম। আজকের দিনটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

চলতি পথে দেখা আসমা বেগমের সাথে। গাড়ি থামালেন মন্ত্রী। এরপর তাকে ডেকে তার হাতে তুলে দিলেন শাড়ি। আসমা বেগম আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন। তিনি বলেন, ‘শুধু টিভিতে আর পোস্টারে তাকে দেখেছি। সামনে আজকে প্রথমবারের মতো দেখলাম। আমার কাছে আজই ঈদ মনে হচ্ছে।’

শুধুমাত্র আসমা বেগম, সাহেব আলী, রাশেদা বেগমই নয় রাতে ঘুরে ঘুরে দুই শতাধিক অসহায় মানুষের হাতে মন্ত্রী তুলে দিয়েছেন ঈদ উপহার।
গত চার দিন যাবত নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুর-১ (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) আসনের অসহায় মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ও নিজস্ব তহবিল থেকে ১০ হাজার অসহায় মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন শাড়ি, লুঙ্গিসহ বিভিন্ন সামগ্রী।

 

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো: আব্দুর রহমান এমপি বলেন, ‘অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই রাতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে তাদের হাতে উপহার তুলে দিয়েছি। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত এই মানুষগুলোর পাশে থেকে তাদের মুখের হাসি ধরে রাখতে চাই। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেওয়া ঘরের বাসিন্দাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পেরেছি এ জায়গায় নিজের কাছে আরো ভালো লাগছে।’


প্রিন্ট