পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের ট্রেনে এক ছেলে শিশুর জন্ম হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।ট্রেনে সন্তান জন্মদানকারী প্রসূতি স্বর্ণা আক্তার (২০) ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের হুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী।
আন্ত:নগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে কর্তব্যরত খুলনার ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ইলিয়াস কবীর সেলিম বলেন, সোমবার খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ৭০৫ নম্বর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি নারী তার পরিবারসহ দর্শনা রেলস্টেশন থেকে ‘ঙ’ নম্বর বগিতে ওঠে। ট্রেনটি সকাল পৌনে ১১টার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনে এলে ওই প্রসূতি নারীর প্রসব বেদনা ওঠে।
এ সময় ওই ট্রেনের কন্ট্রাক্টর (ট্রেন পরিচালক গার্ড) তাপস কুমার আমাকে জানান যে ‘ঙ’ নম্বর বগিতে এক প্রসূতি নারীর প্রসব বেদনা উঠেছে। এ সময় আমি মাইকিং করি যে ট্রেনে কোনো ডাক্তার আছে কিনা? তখন এ ট্রেনের যাত্রী ও ঢাকাস্থ বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার দ্রুত ‘ঙ’ নম্বর বগিতে এসে পরিচয় দেন যে তিনি ডাক্তার।
এরপর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা ১২টার দিকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এলে একটি ছেলে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়।
ওই ট্রেনের যাত্রী এবং নবজাতক-শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার বলেন, আমি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলাম। মাইকিং শোনার পর আমি ‘ঙ’ বগিতে যাই। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে দেওয়ার পর তিন সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। বাচ্চাটি নরমাল ডেলিভারিতে বেশ সুস্থভাবেই জন্ম নিয়েছে। তাই কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছে।
- আরও পড়ুনঃ e-Paper-09.04.2024
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে মা ও শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তারা সুস্থ আছে।
প্রিন্ট