ঢাকা , বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী Logo কালুখালীতে স্বাস্থ্য সেবার মান পরিবর্তন! Logo কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টিটু সুমন ও টুকটুকি বিজয়ী Logo ফরিদপুর তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা Logo তানোরে চেয়ারম্যান পদে ময়না, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর রেজা ও সোনিয়া নির্বাচিত Logo বাঘায় তিরস্কারমূূলক কথা বলার জেরে মারধর, আহত-৪ Logo নলছিটিতে চোরাই অটোরিকশাসহ আটক -২ Logo তীব্র গরমে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী Logo কুষ্টিয়া বিএডিসি (সার) অফিসের এডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ Logo কুষ্টিয়া ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলাঃ আচরণ‌বি‌ধি লঙ্ঘ‌নের অ‌ভি‌যো‌গে কাউন্সিলর আটক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

যশোর শহরের বড়বাজারে আলিফ ফিসের মালিক আজাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

-ছবি প্রতীকী।

যশোর শহরের বড় বাজারের আলিফ ফিসের মালিক হাফিজুর রহমান আজাদের (৫২) বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা ও মারপিটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গত ৬ এপ্রিল রাতে কোতয়ালী থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। বাদী আদালতে এই মামলাটি করেছেন। বাদী শহরের লোন অফিসপাড়ার বাসিন্দা। আসামি হাফিজুর রহমান আজাদ শহরতলীর বালিয়াডাঙ্গা বিসিক এলাকা মতিয়ার রহমান গাজীর ছেলে।

 

মামলায় বাদী বলেছেন, যশোর শহরের লোন অফিসপাড়ায় তার দুটি ফ্লাট বাড়ি রয়েছে। একটিতে নিজে বসবাস করেন এবং অন্যটি ভাড়া দেয়া। এর মধ্যে রাস্তা- ঘাটে দেখা হলে আসামি বাদীকে বিভিন্ন ধরণের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে কিছু না জানিয়ে বাদীর ঘরে প্রবেশ করে। এসময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাদীকে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয় ধর্ষণের চিত্র মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বাদীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে আজাদ। এছাড়া বাদীর নিজ নামীয় দুটি ফ্লাটের অর্ধেক অংশ নিজ নামে রেজিস্ট্রি করে নেয় আসামি আজাদ।

 

পরবর্তীতে বাদী থানা পুলিশের শরণাপন্ন হলে ফ্লাট বাড়ি ও টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়। কিন্তু ফ্লাট ও টাকা ফেরত না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে আসামি। সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আজাদ আবারও বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করেন। এসময় আবারও জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। শুধু তাই নয় বাদীকে মারপিট করায় চিৎকার করলে তার মোবাইল ফোনসেট ও গলায় থাকা তিন ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।

 

 

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, যশোর ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে এই ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় মামলা করার জন্য যান বাদী। কিন্তু মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় থানা পুলিশ। ফলে বাধ্য হয়ে বাদী এই ব্যাপারে গত ৪ এপ্রিল যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ অভিযোগ করেন। বিচারক অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে বেকর্ড করা করার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। গত ৬ এপ্রিল মামলাটি রেকর্ড করা হলেও আসামি আজদকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এমরানুর কবীর বলেছেন, আসামি আজাদকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী

error: Content is protected !!

যশোর শহরের বড়বাজারে আলিফ ফিসের মালিক আজাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

আপডেট টাইম : ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

যশোর শহরের বড় বাজারের আলিফ ফিসের মালিক হাফিজুর রহমান আজাদের (৫২) বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা ও মারপিটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গত ৬ এপ্রিল রাতে কোতয়ালী থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। বাদী আদালতে এই মামলাটি করেছেন। বাদী শহরের লোন অফিসপাড়ার বাসিন্দা। আসামি হাফিজুর রহমান আজাদ শহরতলীর বালিয়াডাঙ্গা বিসিক এলাকা মতিয়ার রহমান গাজীর ছেলে।

 

মামলায় বাদী বলেছেন, যশোর শহরের লোন অফিসপাড়ায় তার দুটি ফ্লাট বাড়ি রয়েছে। একটিতে নিজে বসবাস করেন এবং অন্যটি ভাড়া দেয়া। এর মধ্যে রাস্তা- ঘাটে দেখা হলে আসামি বাদীকে বিভিন্ন ধরণের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে কিছু না জানিয়ে বাদীর ঘরে প্রবেশ করে। এসময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাদীকে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয় ধর্ষণের চিত্র মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বাদীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে আজাদ। এছাড়া বাদীর নিজ নামীয় দুটি ফ্লাটের অর্ধেক অংশ নিজ নামে রেজিস্ট্রি করে নেয় আসামি আজাদ।

 

পরবর্তীতে বাদী থানা পুলিশের শরণাপন্ন হলে ফ্লাট বাড়ি ও টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়। কিন্তু ফ্লাট ও টাকা ফেরত না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে আসামি। সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আজাদ আবারও বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করেন। এসময় আবারও জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। শুধু তাই নয় বাদীকে মারপিট করায় চিৎকার করলে তার মোবাইল ফোনসেট ও গলায় থাকা তিন ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।

 

 

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, যশোর ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে এই ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় মামলা করার জন্য যান বাদী। কিন্তু মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় থানা পুলিশ। ফলে বাধ্য হয়ে বাদী এই ব্যাপারে গত ৪ এপ্রিল যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ অভিযোগ করেন। বিচারক অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে বেকর্ড করা করার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। গত ৬ এপ্রিল মামলাটি রেকর্ড করা হলেও আসামি আজদকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এমরানুর কবীর বলেছেন, আসামি আজাদকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।