হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহজাহান মিয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি বেগম ছোটবেলা থেকেই শহরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট যৌনপল্লীতে বড় হয়েছেন। এজন্য তার বাবা-মায়ের পরিচয় কারও জানা নেই বা সেভাবে সামনে আসেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সেখানে স্বামীর জায়গায় নাম ছিল আজিম নামে এক ব্যক্তির।
ওই পল্লীর বাসিন্দারা জানান, সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় থাকতেই শহরের রথখোলা এলাকার আজিম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিন মাস আগে আজিম বিয়ে করে বৃষ্টিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কথা বলে সিএন্ডবি ঘাট থেকে রথখোলা এলাকায় নিয়ে যান। এরপর থেকে আজিমের সঙ্গেই ছিল বৃষ্টি।
তারা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে একটি রিকশায় করে গুরুতর আহত অবস্থায় বৃষ্টিকে রথখোলা থেকে সিঅ্যান্ডবি ঘাট যৌনপল্লীতে পাঠিয়ে দেয় আজিম। সেখানে গেলে আহত অবস্থায় অন্য যৌনকর্মীরা বৃষ্টিকে দ্রুত জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহজাহান মিয়া বলেন, বৃষ্টির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার যৌনাঙ্গেও ক্ষত ছিল। গতকাল সকাল ১০টা থেকেই হাসপাতালের নিচতলায় মারামারিতে আহত রোগীদের সঙ্গে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই রাত ৮টার দিকে মারা যান।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান জানান, আজিম নামে বৃষ্টির কথিত প্রেমিক বা স্বামী তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রিন্ট