অনুসন্ধানে জানা গেছে, হোসেন আলী গোপালগঞ্জ সাব রেজিস্টার অফিস ও গোপালগঞ্জ কোর্ট এরিয়ায় নিয়মিত ঘোরাফেরা করে। জায়গা জমির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সাব রেজিস্টার অফিস ও কোর্টে আগত মানুষদের সাথে প্রথমে সখ্যতা গড়ে তুলে, পরে তাদের জায়গা জমির সমস্যা সমাধানের কথা বলে জমির কাগজপত্র হাতিয়ে নেয়। এরপর সু্যোগ সুবিধা বুঝে তাদের সাথে ক্রয় বিক্রয়ের বায়না পত্র ও পাওয়ার নিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে শুরু করে। এছাড়াও ভূমিদস্যু হোসেন আলি গোপালগঞ্জ শহরের ইসলাম পাড়া এলাকায় সরকারি খাস জায়গা দখল করে ওয়ালসেট ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে।
মামলার বাদী আহসান হাবীব সাংবাদিকদের বলেন, আমি চাকুরির সুবাদে পরিবার নিয়ে শহরে বসবাস করি, ভূমিদস্যু হোসেন আলি গোপনে আমার মৃত ভাইয়ের সহজ সরল স্ত্রীর কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে জমি ক্রয় করেছে। বর্তমানে ওই সূত্র ধরে পেশি শক্তি খাটিয়ে আমি সহ আমার অনন্য শরিকদের ভোগ দখল কৃত ভিটেবাড়ী ও কৃষি জমি জবরদখল করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও গত ২৩ মার্চ তারিখে প্রকাশ্যে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। চাঁদা না দিলে আমার গ্ৰামের জায়গা জমিতে বিভিন্ন ঝামেলা সৃষ্টি করার হুমকি দিয়েছে। আমি প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। বর্তমানে হোসেন আলী ও তার ভাইয়েরা মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
শুকতাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রানা মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, হোসেন আলী দীর্ঘদিন ধরে সহজ সরল মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। সে খুবই বেপরোয়া মানুষ, শুনেছি আহসান হাবীবের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত হোসেন আলী তার বিরুদ্ধে করা চাঁদাবাজি মামলা সহ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রিন্ট