ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা Logo পাংশা সরকারী কলেজে জুলাই শহিদ দিবস পালিত Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কুষ্টিয়া চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ Logo কিছু কিছু দল বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরী বানাচ্ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo মধুখালীতে কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ কম হওয়ায় কৃষকেরা হতাশ Logo কালুখালী থেকে কুষ্টিয়া আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে হামলার শিকার Logo ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে ‌‌ আলোচনা সভা ‌ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়া সীমান্তে পৃথক অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক ২ Logo জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ‌ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত 
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

হুমকিতে পরিবেশ, গাছের গুড়ি পুড়িয়ে কয়লা

হুমকিতে পরিবেশ গাছের গুড়ি পুড়িয়ে কয়লা, ঢাকা সাভার বাকুর্তা এলাকায় অবৈধভাবে গাছের গুড়ি ও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। এ কয়লার কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। চুল্লি থেকে নির্গত ধোয়ায় পরিবেশ দূষিত ও ফসল নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া আশেপাশের এলাকার মানুষ কাশি সহ নানা সমস্যায় ভুগছেন।
ঢাকা সাভার বাকর্তা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গাছের গুড়ি দিয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। এক-একটি কারখানায় রয়েছে ১৫ থেকে ২০ টি করে চুল্লি। বিভিন্ন এলাকায় থেকে শ্রমিক নিয়ে এসে কাজ করা হচ্ছে। শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায়, গাছের গুড়ি দিয়ে কয়লা বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাত করা হয়। চল্লির চারদিকে রাখা গাছের গুড়ি ও শুকনা কাঠ ও লাকড়ি। এক একটি মালিকের ২০ টি থেকে ২৫ টি চুল্লিতে আগুন জ্বলছে। কালো ধোয়ায় চারদিকে ছেয়ে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ জায়গা জুড়ে কয়লা তৈরীর কারখানা। চারদিকে রয়েছে ফসলের মাঠ ও বসতবাড়ি।
চুল্লি বানিয়ে মাটির প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা সাভার বাকর্তা এলাকায় ৪ থেকে ৫ টি কয়লার কারখানা রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ গাছের গুরির ধোয়ায় । সচেতন মহল বলেন, এলাকায় অনেক গাছপালা ছিল এখন তেমন গাছ পালাও নেই। কয়লা তৈরির কারণে আমাদের শ্বাসকষ্ট সহ নানাবিধ রোগ দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে চুল্লির মালিক সিদ্দিক মিয়া বলেন, কয়লা তৈরির জন্য চুল্লির অনুমতি প্রশাসন দেয় না।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা বলেন, কয়লা তৈরি চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করা হচ্ছে পরিবেশ, শিশুসহ বয়স্করাও শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের আক্রমণজানিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এলাকাবাসীরা আরো বলেন, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভোগান্তি হতে হবে আমাদের ।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা

error: Content is protected !!

হুমকিতে পরিবেশ, গাছের গুড়ি পুড়িয়ে কয়লা

আপডেট টাইম : ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
টিপু সুলতান, বিশেষ প্রতিনিধি :
হুমকিতে পরিবেশ গাছের গুড়ি পুড়িয়ে কয়লা, ঢাকা সাভার বাকুর্তা এলাকায় অবৈধভাবে গাছের গুড়ি ও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। এ কয়লার কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। চুল্লি থেকে নির্গত ধোয়ায় পরিবেশ দূষিত ও ফসল নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া আশেপাশের এলাকার মানুষ কাশি সহ নানা সমস্যায় ভুগছেন।
ঢাকা সাভার বাকর্তা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গাছের গুড়ি দিয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। এক-একটি কারখানায় রয়েছে ১৫ থেকে ২০ টি করে চুল্লি। বিভিন্ন এলাকায় থেকে শ্রমিক নিয়ে এসে কাজ করা হচ্ছে। শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায়, গাছের গুড়ি দিয়ে কয়লা বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাত করা হয়। চল্লির চারদিকে রাখা গাছের গুড়ি ও শুকনা কাঠ ও লাকড়ি। এক একটি মালিকের ২০ টি থেকে ২৫ টি চুল্লিতে আগুন জ্বলছে। কালো ধোয়ায় চারদিকে ছেয়ে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ জায়গা জুড়ে কয়লা তৈরীর কারখানা। চারদিকে রয়েছে ফসলের মাঠ ও বসতবাড়ি।
চুল্লি বানিয়ে মাটির প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা সাভার বাকর্তা এলাকায় ৪ থেকে ৫ টি কয়লার কারখানা রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ গাছের গুরির ধোয়ায় । সচেতন মহল বলেন, এলাকায় অনেক গাছপালা ছিল এখন তেমন গাছ পালাও নেই। কয়লা তৈরির কারণে আমাদের শ্বাসকষ্ট সহ নানাবিধ রোগ দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে চুল্লির মালিক সিদ্দিক মিয়া বলেন, কয়লা তৈরির জন্য চুল্লির অনুমতি প্রশাসন দেয় না।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা বলেন, কয়লা তৈরি চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করা হচ্ছে পরিবেশ, শিশুসহ বয়স্করাও শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের আক্রমণজানিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এলাকাবাসীরা আরো বলেন, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভোগান্তি হতে হবে আমাদের ।

প্রিন্ট