ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ৭ই ডিসেম্বর কর্মশালা সফল করার লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে সার পচার, বিতরণে অনিয়ম, হট্টগোল ও মারপিট Logo ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে Logo সুন্দরবন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর আত্মহত্যা ! Logo কালুখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

হুমকিতে পরিবেশ, গাছের গুড়ি পুড়িয়ে কয়লা

হুমকিতে পরিবেশ গাছের গুড়ি পুড়িয়ে কয়লা, ঢাকা সাভার বাকুর্তা এলাকায় অবৈধভাবে গাছের গুড়ি ও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। এ কয়লার কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। চুল্লি থেকে নির্গত ধোয়ায় পরিবেশ দূষিত ও ফসল নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া আশেপাশের এলাকার মানুষ কাশি সহ নানা সমস্যায় ভুগছেন।
ঢাকা সাভার বাকর্তা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গাছের গুড়ি দিয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। এক-একটি কারখানায় রয়েছে ১৫ থেকে ২০ টি করে চুল্লি। বিভিন্ন এলাকায় থেকে শ্রমিক নিয়ে এসে কাজ করা হচ্ছে। শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায়, গাছের গুড়ি দিয়ে কয়লা বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাত করা হয়। চল্লির চারদিকে রাখা গাছের গুড়ি ও শুকনা কাঠ ও লাকড়ি। এক একটি মালিকের ২০ টি থেকে ২৫ টি চুল্লিতে আগুন জ্বলছে। কালো ধোয়ায় চারদিকে ছেয়ে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ জায়গা জুড়ে কয়লা তৈরীর কারখানা। চারদিকে রয়েছে ফসলের মাঠ ও বসতবাড়ি।
চুল্লি বানিয়ে মাটির প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা সাভার বাকর্তা এলাকায় ৪ থেকে ৫ টি কয়লার কারখানা রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ গাছের গুরির ধোয়ায় । সচেতন মহল বলেন, এলাকায় অনেক গাছপালা ছিল এখন তেমন গাছ পালাও নেই। কয়লা তৈরির কারণে আমাদের শ্বাসকষ্ট সহ নানাবিধ রোগ দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে চুল্লির মালিক সিদ্দিক মিয়া বলেন, কয়লা তৈরির জন্য চুল্লির অনুমতি প্রশাসন দেয় না।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা বলেন, কয়লা তৈরি চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করা হচ্ছে পরিবেশ, শিশুসহ বয়স্করাও শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের আক্রমণজানিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এলাকাবাসীরা আরো বলেন, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভোগান্তি হতে হবে আমাদের ।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু

error: Content is protected !!

হুমকিতে পরিবেশ, গাছের গুড়ি পুড়িয়ে কয়লা

আপডেট টাইম : ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
টিপু সুলতান, বিশেষ প্রতিনিধি :
হুমকিতে পরিবেশ গাছের গুড়ি পুড়িয়ে কয়লা, ঢাকা সাভার বাকুর্তা এলাকায় অবৈধভাবে গাছের গুড়ি ও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। এ কয়লার কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। চুল্লি থেকে নির্গত ধোয়ায় পরিবেশ দূষিত ও ফসল নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া আশেপাশের এলাকার মানুষ কাশি সহ নানা সমস্যায় ভুগছেন।
ঢাকা সাভার বাকর্তা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গাছের গুড়ি দিয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। এক-একটি কারখানায় রয়েছে ১৫ থেকে ২০ টি করে চুল্লি। বিভিন্ন এলাকায় থেকে শ্রমিক নিয়ে এসে কাজ করা হচ্ছে। শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায়, গাছের গুড়ি দিয়ে কয়লা বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাত করা হয়। চল্লির চারদিকে রাখা গাছের গুড়ি ও শুকনা কাঠ ও লাকড়ি। এক একটি মালিকের ২০ টি থেকে ২৫ টি চুল্লিতে আগুন জ্বলছে। কালো ধোয়ায় চারদিকে ছেয়ে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ জায়গা জুড়ে কয়লা তৈরীর কারখানা। চারদিকে রয়েছে ফসলের মাঠ ও বসতবাড়ি।
চুল্লি বানিয়ে মাটির প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা সাভার বাকর্তা এলাকায় ৪ থেকে ৫ টি কয়লার কারখানা রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ গাছের গুরির ধোয়ায় । সচেতন মহল বলেন, এলাকায় অনেক গাছপালা ছিল এখন তেমন গাছ পালাও নেই। কয়লা তৈরির কারণে আমাদের শ্বাসকষ্ট সহ নানাবিধ রোগ দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে চুল্লির মালিক সিদ্দিক মিয়া বলেন, কয়লা তৈরির জন্য চুল্লির অনুমতি প্রশাসন দেয় না।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা বলেন, কয়লা তৈরি চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করা হচ্ছে পরিবেশ, শিশুসহ বয়স্করাও শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের আক্রমণজানিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এলাকাবাসীরা আরো বলেন, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভোগান্তি হতে হবে আমাদের ।

প্রিন্ট