মানিকগঞ্জ দিল্লি বাজার এলাকায়, বিষাক্ত তামাক চাষে ঝুঁকছে কৃষক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ। তামাক কোম্পানির প্রলোভনে পড়ে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে বিষাক্ত তামাক চাষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে কৃষক। তামাক চাষ মাটি, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও তামাক চাষের দিকে ঝুঁকছে কৃষকরা।
মানিকগঞ্জ উপজেলার দিল্লি বাজার এলাকায় দিনে দিনে ব্যাপক হারে তামাক চাষ বাড়ছে। এতে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন তামাক চাষের জমিতে অন্য ফসল চাষ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়াও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যেনেও তামাক চাষ করছে চাষীরা।
মানিকগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে মতে, মানিকগঞ্জ উপজেলা ২০২৪ অর্থবছরের আবাদি জমিতে বিষাক্ত তামাক চাষ করা হচ্ছে এরমধ্যে দিল্লি বাজারে এলাকায় সবচেয়ে বেশী।
মানিকগঞ্জ উপজেলায় দিল্লি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এ এলাকা গুলোতে বর্তমানে কৃষকরা তামাক চাষের দিকে বেশী ঝুঁকছে। মাঠ পর্যায়ে তামাক চাষের পরিমাণ আরো বেশি রয়েছে। মানিকগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গুলোতে তামাক কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত মুনাফার লোভ দেখিয়ে চাষীদের দিয়ে তামাক চাষ করিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় তামাক চাষিরা জানান, খাদ্য শষ্য রোপণ করে খুব বেশি লাভবান হতে পারেননি। প্রতি বিঘা জমিতে তামাক চাষের বীজ, সার,কীটনাশক ও পরিচর্যাসহ মোট ব্যায় হয় ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা। সহজ শর্তে বিনিয়োগ করেন তামাক কোম্পানিরা। দাম ও ভালো পাওয়া যায় লোকসানের কোন সম্ভাবনা নেই। এ কারণেই চাষিরা তামাক চাষের দিকে ঝুকছেন।
মানিকগঞ্জ উপজেলা দিল্লি বাজার এলাকায় আবু কালাম বলেন তামাক চাষে প্রচুর পরিশ্রম ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তবুও বিষাক্ত তামাক চাষ করছি। তামাক পাতা চাষ ও বিক্রি নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা লোকসানের ও সম্ভাবনা নেই। তামাক কোম্পানি অগ্রিম নগদ অর্থসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকেন।
একই এলাকায় উজ্জল হোসেন বলেন তামাক চাষ ক্ষতিকর। তিনি আরো বলেন তামাক চাষ করলে ক্যান্সার রোগের আশঙ্কা বেশিরভাগী। তামাক চাষিরা তামাক কোম্পানির সহযোগিতায় অধিক মুনাফার জন্য তামাক চাষ করে যাচ্ছে।
ক্ষতিকর তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করার জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি এবং কৃষকদের এর ক্ষতিকর দ্বিগুণগুলো সম্পর্কে বুঝাচ্ছি। যাতে তারা তামাক চাষ বাদ দিয়ে খাদ্য শস্য চাষে ফিরে আসেন।
প্রিন্ট