ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পাংশায় রেলওয়ে ভুমি হতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

-রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম এমপি শনিবার দুপুরে পাংশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রেলওয়ে ভূমি হতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।

রেলপথ মন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলের এক বিন্দু পরিমান জমিও ছাড় দেওয়া যাবে না। রেলের জমি লিজ নিয়ে যারা বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেছেন তারা ঠিক করেন নাই। তথ্য গোপন করে যারা রেলের সম্পত্তি বেচা- কেনা করেছেন তারাও ঠিক করে নাই। ভুয়া কাগজে যারা রেলের জমি কিনেছেন তারা এখন সমস্যায় পড়েছেন। যাদের কাগজপত্র সঠিক আছে বলে দাবি করছেন- তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র জমা দিন। যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে পাংশা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পাংশা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেলওয়ে ভুমি হতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

রেলপথ মন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে (রেলপথ মন্ত্রী) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি কালো বিড়াল হতে চাই না। আমার নিজ এলাকা পাংশা থেকে রেলের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। ভুয়া কাগজ তৈরি করে সারাদেশের প্রায় ২৩হাজার একরের বেশি রেলের জমি বেদখল করেছে লোকজন। রেলওয়ের বেদখল হওয়া সকল জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। উচ্ছেদ অভিযান চলমান প্রক্রিয়া। এটি অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি বলেন, তেলের দাম বেড়েছে। বগি ও ইঞ্জিন স্বল্পতা আছে। লোকবল সংকটের কারণে অনেক স্টেশন বন্ধ আছে। লোকবল নিয়োগ করে বন্ধ থাকা প্রত্যেকটি স্টেশন আবার চালু করা হবে।
ট্রেনে আপাতত ভাড়া বৃদ্ধি করা হচ্ছে না উল্লেখ করে রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি বলেন, রেলভ্রমণ অতি নিরাপদ, খরচও কম। আগে রেলের খাবার জনপ্রিয় ছিল। ইতোমধ্যে রেলের খাবারের মান যাচাই করা হয়েছে। এখন খাবারের মান উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রেলে অভিযোগ বক্স রাখা হবে। যাত্রী সাধারণ সেখানে অভিযোগ বা মতামত দিতে পারবেন। রেলকে আধুনিকায়ন করা এবং রেলপথ সম্প্রসারণে রেলপথ মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

মতবিনিময় সভায় রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম এমপির নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান ভুক্তভোগীদের সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে বলেন, চলতি মার্চ মাসের শেষ দিন পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পাংশার আপত্তি-মিনতি দেখা হবে। এ সময়ের মধ্যে রেলওয়ে বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত নোটিশে মালিকানা দাবিদার ব্যক্তিদের রাজবাড়ীর কানুনগোর নিকট কাগজপত্র জমা প্রদানের জন্য তিনি আহবান জানান। তিনি বলেন, ন্যায় বিচারের মাধ্যমে ভূ-মালিকানা নিষ্পত্তি করা হবে।

 

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ বক্তব্য রাখেন।

 

 

মতবিনিময় সভায় উচ্ছেদ হওয়া আয়াশ রেস্টুরেন্টের মালিক তৈমুর হাসান এছাড়া সুশান্ত নামের অপর একজন ব্যবসায়ী নিজ নিজ জমির বিষয়ে নিজেদের অভিমত তুলে ধরেন।

 

পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শ্যামল কুমার বিশ্বাসের উপস্থাপনায় মতবিনিময় সভায় রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জিআরএম নূর মোহাম্মদ, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, পাংশার এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমান রুবেল, পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার, পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাছপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মাতৃকণ্ঠ সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

পাংশায় রেলওয়ে ভুমি হতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

রেলপথ মন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলের এক বিন্দু পরিমান জমিও ছাড় দেওয়া যাবে না। রেলের জমি লিজ নিয়ে যারা বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেছেন তারা ঠিক করেন নাই। তথ্য গোপন করে যারা রেলের সম্পত্তি বেচা- কেনা করেছেন তারাও ঠিক করে নাই। ভুয়া কাগজে যারা রেলের জমি কিনেছেন তারা এখন সমস্যায় পড়েছেন। যাদের কাগজপত্র সঠিক আছে বলে দাবি করছেন- তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র জমা দিন। যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে পাংশা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পাংশা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেলওয়ে ভুমি হতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

রেলপথ মন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে (রেলপথ মন্ত্রী) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি কালো বিড়াল হতে চাই না। আমার নিজ এলাকা পাংশা থেকে রেলের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। ভুয়া কাগজ তৈরি করে সারাদেশের প্রায় ২৩হাজার একরের বেশি রেলের জমি বেদখল করেছে লোকজন। রেলওয়ের বেদখল হওয়া সকল জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। উচ্ছেদ অভিযান চলমান প্রক্রিয়া। এটি অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি বলেন, তেলের দাম বেড়েছে। বগি ও ইঞ্জিন স্বল্পতা আছে। লোকবল সংকটের কারণে অনেক স্টেশন বন্ধ আছে। লোকবল নিয়োগ করে বন্ধ থাকা প্রত্যেকটি স্টেশন আবার চালু করা হবে।
ট্রেনে আপাতত ভাড়া বৃদ্ধি করা হচ্ছে না উল্লেখ করে রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি বলেন, রেলভ্রমণ অতি নিরাপদ, খরচও কম। আগে রেলের খাবার জনপ্রিয় ছিল। ইতোমধ্যে রেলের খাবারের মান যাচাই করা হয়েছে। এখন খাবারের মান উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রেলে অভিযোগ বক্স রাখা হবে। যাত্রী সাধারণ সেখানে অভিযোগ বা মতামত দিতে পারবেন। রেলকে আধুনিকায়ন করা এবং রেলপথ সম্প্রসারণে রেলপথ মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

মতবিনিময় সভায় রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম এমপির নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান ভুক্তভোগীদের সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে বলেন, চলতি মার্চ মাসের শেষ দিন পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পাংশার আপত্তি-মিনতি দেখা হবে। এ সময়ের মধ্যে রেলওয়ে বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত নোটিশে মালিকানা দাবিদার ব্যক্তিদের রাজবাড়ীর কানুনগোর নিকট কাগজপত্র জমা প্রদানের জন্য তিনি আহবান জানান। তিনি বলেন, ন্যায় বিচারের মাধ্যমে ভূ-মালিকানা নিষ্পত্তি করা হবে।

 

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ বক্তব্য রাখেন।

 

 

মতবিনিময় সভায় উচ্ছেদ হওয়া আয়াশ রেস্টুরেন্টের মালিক তৈমুর হাসান এছাড়া সুশান্ত নামের অপর একজন ব্যবসায়ী নিজ নিজ জমির বিষয়ে নিজেদের অভিমত তুলে ধরেন।

 

পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শ্যামল কুমার বিশ্বাসের উপস্থাপনায় মতবিনিময় সভায় রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জিআরএম নূর মোহাম্মদ, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, পাংশার এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমান রুবেল, পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার, পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাছপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মাতৃকণ্ঠ সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।