মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে কোপেনহেগেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীত সহকারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় করে বিশেষ দোয়া করা হয়। পরে ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় বাংলাদেশ দুতাবাস ডেনমার্কের মান্যবর রাষ্ট্রদূত একেএম শাহিদুল করিমের সভাপতিত্বে এবং দুতাবাসের সচিব মেহেবুব জামানের পরিচালনায় অংশগ্রহন করেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি খোকন মজুমদার,সাধারন সস্পাদক মাহবুবুর রহমান,ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টার মন্ডলীর প্রধান বাবু সুভাষ ঘোষ,ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা মজুমদার বাচ্চু প্রমূখ।এসময় উপস্হিত ছিলেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম টিটু,সহসভাপতি কাজী আনোয়ার,যুগ্ম সাধারন সস্পাদক নাঈম উদ্দিন খান,যুগ্ম সাধারন সস্পাদক মোছাদ্দেকুর রহমান রাসেল,সাংগঠনিক সস্পাদক রুমেল মিয়া সোহাগ,আওয়ামী লীগের সদস্য রকিব উদ্দিন,রাফি আর রহমান খান সহ ডেনমার্ক দূতাবাসের কর্মকর্তা ও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী।
রাষ্ট্রদূত একেএম শহিদুল করিম বলেন,একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু বাংলা ভাষাকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করে নাই,একইসঙ্গে আত্মসচেতনতা সমৃদ্ধ জাতীয় জাগরণের অনুপ্রেরণার উৎস হিসাবে কাজ করেছে।বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে তথা বাংলাদেশ গঠনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
একুশের পথ ধরেই বাঙালি জাতি নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে।তাই একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির কাছে চির প্রেরণার প্রতীক।একইসঙ্গে বিশ্বের প্রতিটি জাতির মাতৃভাষার মর্যাদা, স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও মানুষের বাঁচার দাবির সংগ্রামে দুর্জয় অনুপ্রেরণার উৎস একুশে ফেব্রুয়ারি। ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন তিনি আরো বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাফল্যের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রিন্ট